ETV Bharat / state

Justice Ashok Ganguly: অভূতপূর্ব সংকট, রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে রাজীবার নিয়োগই প্রশ্নের মুখে: অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজীবা সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ না করায় তাঁর নিয়োগই এবার প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল ৷ এমন অভূতপূর্ব সংকট রাজ্যে বেনজির ৷ মত সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের ৷

Justice Ashok Ganguly
Justice Ashok Ganguly
author img

By

Published : Jun 22, 2023, 2:21 PM IST

টেলিফোনে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতা, 22 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে হিংসা, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের রায় - এ সব তো ছিলই ৷ এ বার তাতে নয়া ইস্যু সংযোজিত হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহাকে ঘিরে ৷ তাঁর জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ না করে ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ এর ফলে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে আদৌ ভোট হবে কি না, বা হলেও কার নেতৃত্বে হবে, এমনই নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে নানা মহলে ৷ রাজ্যপালের এই পদক্ষেপের পর কী হতে পারে পরিস্থিতি ? রাজীবা সিনহাকে কি অপসারণ করা হবে ? এ সব প্রশ্নের উত্তর পেতে ইটিভি ভারত কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৷ তিনি বোঝালেন নানা আইনি দিক ৷

সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির মতে, রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ না করায় অভূতপূর্ব সংকট দেখা দিল ৷ তিনি বলেন, এই ঘটনায় একটা সংকট দেখা দিল ৷ এমন অভূতপূর্ব সংকট এর আগে দেখা যায়নি ৷ এর আগেও পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে, তবে এমন সংকট আগে দেখা যায়নি ৷ সুতরাং এখন আইনি জটিলতার সৃষ্টি হল ৷ এর ফল কী হবে তা বলা শক্ত ৷

রাজ্যপালের এই পদক্ষেপে রাজীবা সিনহার নিয়োগটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল বলে জানান অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় ৷ নিয়োগের আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, "ওঁর নিয়োগটাই প্রশ্নচিহ্নের মুখে ৷ নিযুক্ত হওয়ার পর জয়েনিং রিপোর্ট পাঠাতে হয় ৷ যিনি নিয়োগ করছেন, জয়েনিং রিপোর্ট তাঁকেই পাঠাতে হয় ৷ সেই রিপোর্ট গ্রহণের উপরই নিয়োগের বৈধতা নির্ভর করে ৷ এখানে রাজ্যপাল যখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ করছেন না, তখন তো এই নিয়োগটাই প্রশ্নচিহ্নের মুখে এসে দাঁড়াল ৷"

আরও পড়ুন: রাজীবার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরালেন রাজ্যপাল ! ভোটের মুখে কমিশনে সাংবিধানিক সংকট

রাজ্যপাল কি তাহলে অন্য কারওকে ওই পদে নিযুক্ত করতে পারেন ? সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বলেছেন, "এমন কিছু সংবিধানে বলা নেই ৷ সংবিধানের 243(ক) ধারায় বলা আছে যে, নিয়োগটা দেবেন রাজ্যপাল ৷ সেই মতো তিনি নিয়োগ দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তিনি জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ করলেন না ৷ তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়াটাই সম্পূর্ণ হল না ৷ আর এটা না হলে তাঁর পক্ষে এই সাংবিধানিক গুরুদায়িত্ব পালন করা শক্ত ৷"

রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়েছেন ৷ এর ফলে বিরোধীরা যদি রাজীবাকে অপসারণ করে অন্য নির্বাচন কমিশনার আনার দাবি তোলেন, তা কী করা সম্ভব ? এই প্রশ্নের জবাবে অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের যুক্তি, নিয়োগটাই তো ঠিক নেই, অপসারণের প্রশ্নই আসছে না ৷ আর একবার নিয়োগ হয়ে গেলে অপসারণ করা শক্ত ৷

সবমিলিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে তা সময়ই বলবে ৷ তবে বর্তমানে যে রাজ্যে বেনজির ও অভূতপূর্ব এক সংকট দেখা দিয়েছে, সেই কথাই জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ৷ কীভাবে কাটবে সেই সংকট ? সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী ৷

টেলিফোনে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতা, 22 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে হিংসা, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের রায় - এ সব তো ছিলই ৷ এ বার তাতে নয়া ইস্যু সংযোজিত হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহাকে ঘিরে ৷ তাঁর জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ না করে ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ এর ফলে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে আদৌ ভোট হবে কি না, বা হলেও কার নেতৃত্বে হবে, এমনই নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে নানা মহলে ৷ রাজ্যপালের এই পদক্ষেপের পর কী হতে পারে পরিস্থিতি ? রাজীবা সিনহাকে কি অপসারণ করা হবে ? এ সব প্রশ্নের উত্তর পেতে ইটিভি ভারত কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৷ তিনি বোঝালেন নানা আইনি দিক ৷

সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির মতে, রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ না করায় অভূতপূর্ব সংকট দেখা দিল ৷ তিনি বলেন, এই ঘটনায় একটা সংকট দেখা দিল ৷ এমন অভূতপূর্ব সংকট এর আগে দেখা যায়নি ৷ এর আগেও পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে, তবে এমন সংকট আগে দেখা যায়নি ৷ সুতরাং এখন আইনি জটিলতার সৃষ্টি হল ৷ এর ফল কী হবে তা বলা শক্ত ৷

রাজ্যপালের এই পদক্ষেপে রাজীবা সিনহার নিয়োগটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল বলে জানান অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় ৷ নিয়োগের আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, "ওঁর নিয়োগটাই প্রশ্নচিহ্নের মুখে ৷ নিযুক্ত হওয়ার পর জয়েনিং রিপোর্ট পাঠাতে হয় ৷ যিনি নিয়োগ করছেন, জয়েনিং রিপোর্ট তাঁকেই পাঠাতে হয় ৷ সেই রিপোর্ট গ্রহণের উপরই নিয়োগের বৈধতা নির্ভর করে ৷ এখানে রাজ্যপাল যখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ করছেন না, তখন তো এই নিয়োগটাই প্রশ্নচিহ্নের মুখে এসে দাঁড়াল ৷"

আরও পড়ুন: রাজীবার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরালেন রাজ্যপাল ! ভোটের মুখে কমিশনে সাংবিধানিক সংকট

রাজ্যপাল কি তাহলে অন্য কারওকে ওই পদে নিযুক্ত করতে পারেন ? সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বলেছেন, "এমন কিছু সংবিধানে বলা নেই ৷ সংবিধানের 243(ক) ধারায় বলা আছে যে, নিয়োগটা দেবেন রাজ্যপাল ৷ সেই মতো তিনি নিয়োগ দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তিনি জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ করলেন না ৷ তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়াটাই সম্পূর্ণ হল না ৷ আর এটা না হলে তাঁর পক্ষে এই সাংবিধানিক গুরুদায়িত্ব পালন করা শক্ত ৷"

রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়েছেন ৷ এর ফলে বিরোধীরা যদি রাজীবাকে অপসারণ করে অন্য নির্বাচন কমিশনার আনার দাবি তোলেন, তা কী করা সম্ভব ? এই প্রশ্নের জবাবে অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের যুক্তি, নিয়োগটাই তো ঠিক নেই, অপসারণের প্রশ্নই আসছে না ৷ আর একবার নিয়োগ হয়ে গেলে অপসারণ করা শক্ত ৷

সবমিলিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে তা সময়ই বলবে ৷ তবে বর্তমানে যে রাজ্যে বেনজির ও অভূতপূর্ব এক সংকট দেখা দিয়েছে, সেই কথাই জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ৷ কীভাবে কাটবে সেই সংকট ? সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.