কলকাতা, 7 জুলাই: বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে বাংলার রক্তক্ষরণ রুখবেন। তার জন্য যা যা করণীয় তিনি সেটাই করবেন। ধারাবাহিকভাবে তিনি যে জেলা পরিদর্শন করছেন আগামিকাল ভোটের দিনেও তা বজায় রাখবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
সূত্রের খবর, শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন সকাল 6টা 15 মিনিট নাগাদ রাজভবন থেকে বের হবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রথমে উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গা থানার বাসুদেবপুর গ্রামে যাবেন তিনি। মৃত একাদশ শ্রেণির ছাত্র ইমরান হোসেনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। সংলগ্ন এলাকার পরিস্থিতি খোঁজখবর নিয়ে সেখান থেকে রাজ্যপাল চলে যাবেন নদিয়ায়। সেই জেলার স্পর্শকাতর এলাকাগুলি ঘুরে দেখার পাশাপাশি তিনি ভোট হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখান থেকে বেলা 12টা নাগাদ রাজভবনের শান্তি কক্ষে ফিরবেন রাজ্যপাল।
তবে এখানেই সেদিনের মতো রাজ্যপালের জেলা সফর শেষ নয় ৷ বিকেল নাগাদ আবারও দক্ষিণ 24 পরগনার হিংসা কবলিত এলাকায় যাবেন রাজ্যপাল। হিংসা কবলিত এলাকার সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারছেন কি না বা তারা কোনওরকম বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কি না; সমস্ত বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন রাজ্যপাল ৷ সার্বিকভাবে ভোটের দিনও রাস্তায় থেকে রাজ্যের সাংবাধিক প্রধান হিসেবে কর্তব্য পালনে বদ্ধপরিকর সিভি আনন্দ বোস।
নির্বাচনেের আগেরদিন শুক্রবার রাজ্যপাল মুর্শিদাবাদে পৌঁছনোর আগেই রানিনগরে এক কংগ্রেস কর্মী খুন হন। মুর্শিদাবাদ থেকেই রাজ্যপাল স্পষ্ট বার্তা দেন ভোটের দিনও তিনি রাস্তাতেই থাকবেন। সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় যাবতীয় পদক্ষেপ নেবেন। ভোটের দিনে তিন জেলা পরিদর্শন তারই অংশ বলে রাজভবন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: আদালত ও রাজভবনের শ্যেন দৃ্ষ্টি ! 'অগ্নিপরীক্ষা'য় রাজীবা
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার ঘিরে দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুর অঞ্চলে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ রাতে বোমাবাজি শুরু হয়। মিছিলের মধ্যভাগে ছিল ইমরান। ওই সময় বোমা আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ইমরান। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। শুরু হয় পালটা আক্রমণ। রাজনৈতিক হিংসা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। এখনও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বুধবার দুপুরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ইমরানের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। যাবতীয় বিষয়ে খোঁজ নেন। কাদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ রয়েছে। দোষীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের তরফে কোনরকম গাফিলতি আছে কি না। এই মুহূর্তে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কিনা ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে রাজ্যপাল ইমরানের পরিবারের থেকে খোঁজ খবর নেন। সন্তানহারা পরিবারের পাশে থাকার যাবতীয় আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল।