কলকাতা, 8 জুলাই: পঞ্চায়েত ভোটে রক্তক্ষরণ রুখতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । তাঁর দেওয়া কথা মতো ভোটের দিন রাস্তাতেই ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । কিন্তু তাঁর চেষ্টা সত্ত্বেও এড়ানো যায়নি হিংসা, রক্তপাত ৷ শনিবার ভোটপর্বজুড়ে নানা জেলা থেকে এসেছে হিংসা, অশান্তি, বুথজ্যাম, ভোট লুটের খবর ৷ ভোটের মধ্যেই হিংসার বলি হয়েছেন কমপক্ষে 18 জন ৷ গোটা ঘটনায় বিচলিত রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ৷ তিনি জিনিয়েছেন, সাংবিধানিক ক্ষমতা মেনে যা করণীয় তিনি তা করবেন ৷
রাজ্যপাল জানিয়েছেন তিনি এদিন ভোটপর্ব পর্যবেক্ষণ করেছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি প্রথমে তাঁর মত জানাবেন ৷ তারপর তাঁর সাংবিধানিক অধিকার ও ক্ষমতা প্রয়োগ করে যা করার করবেন ৷ উল্লেখ্য, এদিন সকাল 6টা 20 মিনিট নাগাদ রাজভবন থেকে জেলা পরিদর্শনে বের হন রাজ্যপাল । প্রথমে উত্তর 24 পরগনার বারাসত কদম্বগাছি এলাকায় যান তিনি । নির্বাচনী হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে । বারাসত জেলা হাসপাতালে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন ।
এরপর কল্যাণী হাইওয়ে ধরে উত্তর 24 পরগনারই বাসুদেবপুর পৌঁছন সিভি আনন্দ বোস । সেখানেও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । কিন্তু ভোটপর্ব চলায় কোনও বুথ এলাকায় যাননি রাজ্যপাল । বেলা 12 টা নাগাদ রাজভবন ফেরেন তিনি । ফের উত্তর 24 পরগনার বসিরহাটের উদ্দেশ্যে বেলা 3টে নাগাদ রওনা দেন । গ্রামের রাস্তা ধরে গোটরা পঞ্চায়েতের তেঘরিয়া এলাকায় ঘোরেন । যদিও তিনি গাড়ি থেকে নামেননি । স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয়দের সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি । ফেরার পথে চা পানের জন্য মালঞ্চ দাঁড়ান রাজ্যপাল । সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি ।
আরও পড়ুন: কেমন গেল নির্বাচন? জানতে চেয়ে সুকান্তকে ফোন নাড্ডা-শাহের
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন সিভি আনন্দ বোস বলেন," হিংসায় মৃতের সংখ্যার বিষয়ে আমি অবগত । আমি পর্যবেক্ষণ করেছি । আমি জানি এটার মোকাবিলা কীভাবে করতে হয় । এটার সম্মুখীন কীভাবে হতে হয় । আমার ক্ষমতার মধ্যেই তা করব । সঠিক সময়ে আমার সাংবিধানিক সহকর্মীকে আমি জানাব । তৃতীয় ব্যক্তিকে জানানোর আগে আমি নিজে সবার প্রথমে তাঁকে জানাব । তারপরেই সাধারণ মানুষকে জানাব ।"এছাড়াও এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন,"আমি যা দেখলাম, তা দুর্ভাগ্যজনক, হিংসা খুন হয়েছে । গরিবরা মারা গিয়েছেন । নেতারা সেখানে ছিলেন না । রাজনীতি ছিল, সঙ্গে হিংসা ছিল । হিংসা কারও নয় । আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে রাজ্যে শান্তি-সম্প্রীতি পুনস্থাপন হয় । আমার শান্তির মিশন অব্যাহত থাকবে । হিংসা ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে । সাংবিধানিক ক্ষমতা মেনে বাংলার মানুষের স্বার্থরক্ষা করব আমি ।"