কলকাতা, 30 এপ্রিল: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা শোনা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মুখে । রবিবার রাজভবনে 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের শততম এপিসোডের স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয় । সেই এপিসোড শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান নিয়ে একাধিক গুণগানসূচক শব্দ শোনা যায় রাজ্যপালের গলায় ।
এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি 'মন কি বাত'-এর সঙ্গে রামধনুর তুলনা টানেন ৷ পরক্ষণেই বলেন, "আমি এটাকে ইন্দ্রধনুস বলব না, বরং নরেন্দ্র ধনুস বলব ।" প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন কি বাত অনুষ্ঠানের 100তম পর্বের সম্প্রচার উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকেই রাজভবনে নানারকম কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় । বাচ্চাদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, বৃক্ষরোপণ, এ পর্যন্ত 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে উঠে আসা গ্রাম ভারতের বিভিন্ন কাহিনি, প্রকল্প নিয়ে প্রদর্শনী আয়োজিত হয় । এদিন বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান শেষে 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের মূলপর্বে রাজ্যপাল যোগ দেন ।
রাজ্য থেকে পদ্মশ্রী প্রাপক ও এই অনুষ্ঠানে আসা বিভিন্ন গুণীজনদের সংবর্ধনা প্রদান শেষে বক্তব্য পেশ করতে ওঠেন রাজ্যপাল । সেই বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সিভি আনন্দ বোসের গলায় ছিল 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের গুণগান ৷ এই অনুষ্ঠানের পরিধি ও তার বিস্তার নিয়ে বলেন রাজ্যপাল । এদিন রাজ্যপাল বোস বলেন, "আজ মন কি বাতের 100তম এপিসোড পুরো হয়েছে । এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মনের সঙ্গে মন জুড়েছে । ঠিক যেন ইন্দ্রধনুসের কাজ করেছে । কিন্তু আমি এটাকে ইন্দ্রধনুস বলব না, নরেন্দ্র ধনুস বলব । আমাদের যেমন শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং তার পরিচর্যার প্রয়োজন হয়, তেমনই মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যারও প্রয়োজন আছে । যে কাজটা 'মান কি বাত' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে । দেশের ক্ষুদ্র অংশের মানুষ, প্রান্তিক অংশের মানুষও এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের মনের কথা বলতে পারছেন, নিজেদের কাজকর্মকে তুলে ধরতে পারছেন ৷"
আরও পড়ুন: মন কি বাতের 100তম পর্বে অংশ নিলেন ইউনেস্কোর প্রধান, আমেরিকা-ব্রিটেনে আপ্লুত প্রবাসীরা
এই অনুষ্ঠান আঁধার ঘুচিয়ে আলো এনেছে বলেও দাবি করেন রাজ্যপালে ৷ তিনি আরও জানান, 'মন কি বাত'-এ যে তথ্য মিলেছে, তাকে মন্থন করতে হবে । তবেই, এর গুরুত্ব বুঝতে পারবে সকলে । সাধারণ মানুষের কী প্রয়োজন সেটা গুরুত্ব দিয়ে বুঝেছেন প্রধানমন্ত্রী । তিনি ছোট ছোট বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন ৷