কলকাতা, 8 অক্টোবর: অবশেষে কলকাতা ফিরছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বাগডোগরা থেকে দমদম, বিমানে ফিরবেন তিনি। যদিও রাজভবন সূত্রের দাবি, শনিবারই রাজ্য সরকারের কাছে মৌখিকভাবে আধিকারিক মারফত হেলিকপ্টার চেয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু রাজ্য সরকার তা দিতে অস্বীকার করে। রাজভবন সূত্রের দাবি, রাজ্য সরকারের তরফে রাজভবনকে বলা হয়েছে হেলিকপ্টার মেরামতির পর্যায়ে রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে হেলিকপ্টার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই, বিমানে চেপে দার্জিলিং থেকে কলকাতা আসতে হচ্ছে রাজ্যপালকে।
তবে রাজ্য সরকারের কাছে হেলিকপ্টার চেয়ে না-পাওয়ার ঘটনা রাজভবনের কাছে নতুন নয়। এর আগেও বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রয়োজনীয়তার কারণে হেলিকপ্টার চেয়ে রাজভবনের তরফে রাজ্য সরকারকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তখনও মেলেনি। এই ঘটনায় রাজ্যপাল আধিকারিক মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিকে রাজ্যপাল এই মুহূর্তে কলকাতা রাজভবনে না থাকায় শাসক দল অভিযোগ তুলেছে ৷ তৃণমূলের ভয়ে রাজভবন ছেড়ে দিল্লি পালিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস, এমনটাই বলা হচ্ছে শাসকদলের তরফে ৷
দিল্লি থেকে উত্তরবঙ্গে এলেও কেন কলকাতা আসতে পারলেন না প্রশ্ন তুলেছিল শাসক শিবির ৷ এরপর দার্জিলিংয়ে রাজভবনের তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে ডেকে পাঠানোকেও 'রাজ্যপালের জমিদারি' হিসাবে দেখেছিল শাসক দল, এমনটা মত রাজনৈতিক মহলের। যার পালটা জবাবও দিয়েছিল রাজভবন। এমনকী, শনিবার দার্জিলিং রাজভবনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার পরও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন।
আরও পড়ুন: অভিষেকের ধরনা থেকে নজর ঘোরাতেই সিবিআই তৎপরতা বলছে তৃণমূল
এমতবস্থায়, আইন ভেঙে রাজভবনের সামনে তৃণমূলের অবস্থান কেন এবং কী ব্যবস্থা নেওয়া হল ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চাওয়ায় সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ হল বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, একশো দিনের কাজের বকেয়া পাওনা আদায়ে 5 অক্টোবর থেকে রাজভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার ফলে রাজভবনের উত্তর দ্বারের সামনের রাস্তা বন্ধ রয়েছে।