কলকাতা, 8 অক্টোবর: 100 দিনের কাজে রাজ্যের ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দেখা করতে রাজি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ রবিবার কলকাতায় ফিরে রাজ্যপাল সাফ জানান, তিনি মনরেগা'র কাজে বঞ্চিতদের সঙ্গে দেখা করবেন ৷ শুধু তাই নয়, রাজ্যকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে কেন টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে তাও জানতে চাইবেন ৷ একই সঙ্গে, রাজ্যের ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দিল্লির কাছে নিয়ে যাবেন বলেও এদিন সাফ জানান রাজ্যপাল।
অন্যদিকে, রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল শহরে ফিরেই এদিন রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ৷ তৃণমূলের প্রতিনিধিদের ডেকেও পাঠানো হয় রাজভবনের তরফে ৷ কিন্তু তৃণমূলের প্রতিনিধিদল রাতে দেখা করতে অস্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এরপরই রাজ্যপাল আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে সময় দিয়েছেন বলে খবর মিলেছে ৷
রাজভবনের বাইরে আন্দোলনে অনড় তৃণমূল ৷ তাদের ধরনা অবস্থান কর্মসূচি এদিন চারদিনে পড়েছে ৷ এই বিষয়ে তৃণমূলের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন রাজ্যপাল ৷ নাম না করে এদিন অভিষেককেও কটাক্ষ করেন রাজ্যপাল ৷ সাংবাদিকদের কাছে 'সিংহ রাজকুমার' সম্পর্কে একটি রূপক গল্পও বলতে শোনা যায় তাঁকে ৷
উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে তিনদিন আগেই দার্জিলিং গিয়েছিলেন রাজ্যপাল ৷ আর সেখান থেকেই এদিন তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠিও দিয়েছেন ৷ রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন, রাজভবনের বাইরে তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কি না ৷ কীভাবে 144 ধারা জারি থাকা অবস্থায় এভাবে ধরনা অবস্তান চলতে পারে তাও জানতে চান রাজ্যপাল ৷
রাজ্যপাল এদিন বলেন, "আমি বঞ্চিতদের সঙ্গে কথা বলব। আমি সরাসরি তাদের কাছ থেকে অভিযোগ শুনব। এর পরে, আমি শুধু কেন্দ্র নয়, এর সঙ্গে জড়িত সব পক্ষের সঙ্গেও কথা বলব ৷" ঘটনাক্রমে, তিন সদস্যের তৃণমূলের প্রতিনিধিদল শনিবার দার্জিলিংয়ে রাজ্যপাল আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিল ৷ তারা এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের আর্থিক বকেয়া ছাড়পত্রের বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে দাবিও পেশ করেছিল।
আরও পড়ুন: 144 ধারার মধ্যে মঞ্চ বেঁধে কীভাবে অভিষেকদের ধরনা ? মুখ্যসচিবকে চিঠি রাজ্যপালের
তাদের সঙ্গে দেখা করার পরেই, রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, তিনি রাজ্যের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবেন। এদিন তিনি কালিম্পংয়ের তিস্তা বাজার এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতেও যান ৷ তবে শহরে ফিরে আসার পর তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজভবন রাজভবনের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করার জন্য তৃণমূলকে যথাযথ অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কি না, তা জানতে চেয়ে রাজ্যপাল মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখেছিলেন। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের তরফে জোর দিয়ে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল বিক্ষোভের জায়গায় এসে তাদের সঙ্গে দেখা না করলে বা কথা না বললে তাদের এই ধরনা আন্দোলন চলবে।