কলকাতা, 6 ডিসেম্বর: করুণার একটি স্রোত। যা প্রকৃতি এবং জীবনকে লালন করেছিলেন, আর তিনি হলেন সুগতাকুমারী। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় কবি এবং সমাজকর্মী। বুধবার কলকাতার রাজভবনে পদ্মশ্রী সুগতাকুমারী স্মৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মিজোরামের প্রাক্তন রাজ্যপাল এবং সুগতাকুমারী স্মৃতির মেন্টর-ইন-চিফ কুম্মনাম রাজশেখরন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিশেষ অতিথিগণ। এদিনের অনুষ্ঠান মিজোরামের প্রাক্তন রাজ্যপালকে সম্বর্ধনা প্রদান করেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
পদ্মশ্রী সুগতাকুমারী যিনি দক্ষিণ ভারতের কেরালায় পরিবেশ ও নারীবাদী আন্দোলনের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত। তিনি তাঁর কবি পিতার সামাজিক সক্রিয়তা এবং জাতীয়তাবাদী চেতনায় প্রভাবিত হন। তিনি প্রকৃতি সংরক্ষণ সমিতি, প্রকৃতি সংরক্ষণে অভয়া সংগঠন এবং মানসিকভাবে অসুস্থদের জন্য একটি ডে-কেয়ার সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও ছিলেন।
এদিন সুগতাকুমারী স্মৃতির মেন্টর-ইন-চিফ কুম্মনাম রাজশেখরন মালায়ালাম ভাষায় পদ্মশ্রী সুগতাকুমারীর জীবনদর্শনের উপরে আলোকপাত করেন। এদিন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় রাজভবনের হলে। এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, "আমি দিল্লি থেকে একটা টেলিগ্রাম পেয়েছিলাম । তখন ইন্টারনেট ছিল না, মোবাইলও ছিল না। আর ইংরেজি ভাষায় সেই টেলিগ্রামে সুগতাকুমারীর বিষয় উল্লেখ ছিল।"
এদিন মালায়ালম ভাষায় সুগতা কুমারীর অবদান ও তাঁর নারীবাদী আন্দোলন এবং জাতীয়তাবাদী চেতনা বাস্তবায়ন করার জন্য তাঁর ভূমিকার কথাও জানান বাংলার রাজ্যপাল। এছাড়া তিনি সুগাতা কুমারীর প্রকৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি মানসিক রোগীদের প্রতি তাঁর করুণা ও সেবাকে কেন্দ্র করে পদক্ষেপের ভূয়সী প্রসংশাও করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
আরও পড়ুন