কলকাতা, 25 নভেম্বর: বাংলা ছেড়ে নিজের রাজ্য কেরলে যাওয়ার অনুমতি পেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি নিয়ে আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার বিকেলের ফ্লাইটে তিনি কেরল যাচ্ছেন। সূত্রের খবর, দিনদু'য়েক সেখানে কাটিয়ে 28 অথবা 29 নভেম্বর তিনি কলকাতায় ফিরবেন ৷ ফেরার পথে রাজ্যপাল দিল্লিও ঘুরে আসতে পারেন বলে জানা গিয়েছে । প্রাক্তন আইএএস অফিসার সিভি আনন্দ বোসের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে এক বছর পূর্তির পরে এই প্রথম বাংলার বাইরে পা রাখবেন ।
কিন্তু নিজের রাজ্যে যাওয়ার জন্য কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি নিতে হল রাজ্যপালকে ?
এক্ষেত্রে জানা গিয়েছে একটি বিশেষ নিয়মের কথা ৷ রাজভবন সূত্রের দাবি, দেশের যে কোনও রাজ্যের নিযুক্ত রাজ্যপাল সেই রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্য বা অন্য দেশে বছরে সর্বোচ্চ 73 বার যেতে পারেন। এটাই নিয়ম । কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গত এক বছরে 73 বারের বেশি বাংলার বাইরে গিয়েছেন । বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কড়া চিঠি পৌঁছেছে রাজভবনে। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যপালকে নিয়ম মেনে চলার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু তারপরও দেখা যায় এক বছরে 73 বারের মাত্রা ছাড়িয়ে আশির ঘরে পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যপালের ভিনরাজ্য সফর ৷
ফলত পরবর্তীতে চিঠি পাঠিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় সিভি আনন্দ বোসকে কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ার আগে অনুমতি নিতে হবে। ফলে চলতি নভেম্বরের মাসে সেভাবে রাজ্যপালকে বাংলা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে দেখা যায়নি। অন্তত নভেম্বরের শেষ তিন সপ্তাহ তো নয়। তবে মাসের শুরুতেই জি-20 গোষ্ঠীর একটি অনুষ্ঠানে দিল্লিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন সিভি আনন্দ বোস। সেটাই চলতি মাসে শেষ ভিন রাজ্য সফর ছিল রাজ্যপালের ৷
কিন্তু ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার তালিকায় এবার ফের কেরলের নাম নথিভুক্ত হতে চলেছে বলে সূত্রের দাবি। জরুরি কাজ বা কোনও রাজ্যপালের সূচিতে কোনও পরিবর্তন না-ঘটলে, রবিবার বিকেল তিনটে নাগাদ তাঁর রাজভবন ছাড়ার কথা এবং এটাই রাজ্যপাল পদে দ্বিতীয় বছরের প্রথম 'ভিন রাজ্যে পাড়ি' হবে সিভি আনন্দ বোসের ।
উল্লেখ্য, রাজ্যপালের গত এক বছরের ভ্রমণ ইতিহাস বলছে তিনি একাধিকবার কেরল, দিল্লি-কলকাতা কিংবা কলকাতা-দিল্লি-কেরল গিয়েছেন । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে একদিন বা দু'দিনের হেরফেরে একই জায়গায় তিনি গিয়েছেন । ফলে 73 বারের ভিন রাজ্যে ভ্রমণের কোটা দ্রুতই পূরণ হয়ে গিয়েছে ।
শুধু তাই নয়, সূত্রের দাবি রাজ্যপালের এই ভিনরাজ্যে ভ্রমণ-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নানা কাজে বা পরিদর্শনে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিপুল টাকা খরচ হয়েছে। রাজ্যপালের এই বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণের জন্য দ্রুত টিকিট কাটা বা তার বন্দোবস্তের জন্য দু-তিনটি ট্রাভেল এজেন্সি নিযুক্ত রয়েছে । তাদের কাছে রাজভবনের বেশ কয়েক লক্ষ টাকা বকেয়াও রয়েছে ৷
আরও পড়ুন: