কলকাতা, 30 জুলাই: রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের জন্য সুখবর। ইচ্ছে করলেই সরাসরি এবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারবে তারা। জিজ্ঞাসা করতে পারবে মনের কোণে লুকিয়ে থাকা হাজারো প্রশ্ন। নতুন প্রজন্ম কে উৎসাহিত করতে এবং তাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে উঠতে রাজভবন চালু করল বিশেষ অনুষ্ঠান । যে অনুষ্ঠানে মূলত স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে কথোপকথন করবেন স্বয়ং রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাও আবার মুখোমুখি।
কিন্তু সময়টা সাত সকাল। রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ রাজভবনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়ে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। রাজভবনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রবিবার থেকে এই 'আমনে সামনে’ কার্যক্রম চালু হয়েছে। সম্প্রতি রাজভবনে আয়োজিত ইন্টারঅ্যাকটিভ প্রোগ্রামের অংশ হিসাবে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন একদল স্কুল পড়ুয়া। তাদের সঙ্গে আলোচনার পরই এই প্রোগ্রাম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যপাল এটিকে একটি উদ্ভাবনী প্রোগ্রাম বলেই অবশ্য মনে করছেন।
এই প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে নতুন প্রজন্মের যে কোনও পড়ুয়া রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারবে। কলকাতার রাজভবনে তাদের দেখা করতে আসতে হবে। সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ছ'টার মধ্যে রাজভবনের নিউজেন হাউসে রাজ্যপাল তাদের অপেক্ষায় থাকবেন। মুখোমুখি আলাপচারিতা করবেন পড়ুয়াদের সঙ্গে। তবে রাজভবন বা রাজ্যপালের সচিবালয়ের আধিকারিকদের এ বিষয়ে পড়ুয়াদের অগ্রিম জানাতে হবে। কোন পড়ুয়ারা রাজ্যপালের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চান তাও বিস্তারিত জানাতে হবে। তার জন্য ই-মেইল আইডি এবং টেলিফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। যেদিন দেখা করতে চাইবেন তার অন্তত 12 ঘণ্টা আগে রাজ্যপালের ও এসডি সন্দীপ কুমার সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তিনি এই প্রোগ্রামের নোডাল অফিসার হিসেবে পড়ুয়াদের নাম নথিভুক্ত করবেন। এ বিষয়ের রাজভবনের দেওয়া ইমেইল আইডিটি হল -Aamnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.Com
আরও পড়ুন: 'আমার হৃদয় ব্যথিত', মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে বার্তা মমতার
ই-মেইল আইডি ছাড়াও আরও একটি যোগাযোগ নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেটি হল - 03322001641 । শুধু এই প্রোগ্রামই নয়, এর আগে বর্তমান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের আমলেই সাধারণের জন্য গত পহেলা বৈশাখের রাজভবনে দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শনিবার বিকেল পাঁচটা থেকে ছ'টা রাজভবনে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে পারবেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অতিথিরা। এই হেরিটেজ ট্যুর টির দায়িত্ব আছে ভারতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।