জলপাইগুড়ি, 5 অক্টোবর: বন্যা কবলিত এলাকার ত্রাণশিবিরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে পেয়ে 100 দিনের কাজ চালুর দাবি জানালেন বানভাসিরা । রাজভবন থেকে বানিভাসি পরিবারপিছু 1000 টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল । বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের রংধামালির বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণশিবিরে তিনি মিষ্টি বিতরণ করেন ।
বুধবার জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তিস্তা নদীর চরের রংধামালি এলাকা পরিদর্শন করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে কালিম্পঙের 10 নং জাতীয় সড়ক পরিদর্শন করার পর তিনি সোজা চলে যান জলপাইগুড়িতে।
রংধামালি তিস্তা চরে বসবাসকারী মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল ৷ কোলে তুলে নেন গ্রামের শিশুদের ৷ মঙ্গলবার আচমকা গ্রামে ঢুকে পড়ায় তিস্তা নদীর জলে বানভাসি হয় বহু পরিবার ৷ ক্ষতিগ্রস্ত সেই পরিবারগুলির সদস্যদের সঙ্গে আজ কথা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ তাঁর সঙ্গে থাকা জেলা প্রসাশনের আধিকারিকদের তিনি নির্দেশ দেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারপিছু রাজভবন থেকে এক হাজার টাকা করে সাহায্য পাঠানো হবে ৷ বিডিও অফিস থেকে সেই অর্থ সংগ্রহ করে তা দুর্গতদের হাতে পৌঁছে দিতে বলেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত সিকিমে মৃত 11, 22 সেনা জওয়ান-সহ নিখোঁজ 82; মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন প্রধানমন্ত্রীর
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে অর্থসাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ জেলাশাসকের মাধ্যমে বন্যা কবলিত মানুষদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই টাকা দেওয়া হবে । এখানেই শেষ নয়, এই বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন । গ্রামের মানুষেরা তাঁর কাছে আবেদন জানান যে, অবিলম্বে যেন গ্রামে 100 দিনের কাজ চালু করা হয় । রাজ্যপাল গ্রামবাসীদের জানিয়েছেন, তিনি সরকারের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলবেন ।
এ দিন রাজ্যপালকে পেয়ে তাঁদের সমসার কথা তুলে ধরেন গ্রামবাসীরা । এরপর রাজ্যপাল জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন ৷