কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর: সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সিআইডি-তে এডিজি (সাইবার) নামে একটি নতুন পদ তৈরি করল রাজ্য সরকার । সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এই তথ্যই দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে ৷ তার পরই হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের একটি সেক্সটরসন মামলা সিআইডি-র এডিজি (সাইবার)-কে হস্তান্তর করেছেন ৷
আদালতের বক্তব্য, এটা একটা বিশাল চক্র । এর ডালপালা ছড়িয়ে রয়েছে ভিনরাজ্যে । বিচারপতি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে সিট গঠন করতে হবে । পুজোর ছুটির আগে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে । জেলা পুলিশের যে অফিসাররা এই তদন্তে এখন যুক্ত আছেন, তাঁদের এই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরানো যাবে না ।
আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে যে এডিজি (সাইবার) এর নেতৃত্বে এই তদন্তে সিট গঠন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে । সারা দেশব্যাপী এই প্রতারণার জাল ছড়িয়ে রয়েছে । ফলে সিআইডিকে বিশেষজ্ঞ অফিসারদের নিয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হোক ।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে প্রায় সর্বশান্ত হয়ে পড়েন এক বৃদ্ধ । ভিডিয়ো দেখার ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয় বৃদ্ধকে । সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দফায় দফায় 15 লক্ষ টাকা ওই বৃদ্ধের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৷ এর জেরে প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন চাকরি থেকে অবসর নেওয়া ওই ব্যাক্তি ।
অভিযোগ, ছবি প্রকাশ হলে মান খোয়ানোর ভয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি । কিন্তু সিআইডির তদন্ত ঠিকঠাক না হওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেন তাঁর ছেলে ৷ তিনি হুগলির চুঁচুড়া আদালতের আইনজীবী । ভিনরাজ্যের যোগ আছে মনে করে সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানান তিনি ।
এই ক্ষেত্রে রাজ্যের বক্তব্য ছিল, জামতারা গ্যাংয়ের কাজ এটা। তদন্ত এগিয়েছে । কিন্তু আরও বাকি । এই চক্রের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অনেক মানুষ । এই মামলাতেই এ দিন রাজ্য জানায় সাইবার অপরাধ দেখার জন্য এডিজি পদ তৈরি করা হয়েছে সিআইডিতে । তার পরই এই নির্দেশ দেয় আদালত ৷
সিআইডি সূত্রে খবর, এডিজি (সাইবার) পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হরি কিশোর কুসুমাকারকে ৷
আরও পড়ুন: বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কটূক্তি রুখতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের আবেদন হাইকোর্টে