ETV Bharat / state

যাদবপুরের সমাবর্তন নষ্ট করার চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর থেকে হাতেখড়ি নেওয়া রাজ্যপালের, বিস্ফোরক সুজন

Gov CV Ananda Bose Attempts to Spoil JU Convocation: সমাবর্তনের অনুষ্ঠান পণ্ড করতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস ৷ সেই কারণেই সমাবর্তনের আগের রাতে উপাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি ৷ পুরো বিষয়টাই পরিকল্পিত বলে এ দিন অভিযোগ করলেন সুজন চক্রবর্তী ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 24, 2023, 9:04 PM IST

Updated : Dec 25, 2023, 9:59 AM IST

আচার্য সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে 'সমাবর্তন' পণ্ড করতে চাওয়ার অভিযোগ সুজনের

কলকাতা, 24 ডিসেম্বর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রবিবার 'সমাবর্তন' অনুষ্ঠান কার্যত নির্বিঘ্নেই হল ৷ অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদ থেকে গতকাল রাতে বুদ্ধদেব সাউকে হঠাৎই সরিয়ে দেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস ৷ ফলে সমাবর্তন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল ৷ তবে, 'সমাবর্তন' হয়েছে ৷ যা নিয়ে এ বার রাজ্যপাল তথা আচার্য এবং রাজ্য সরকার, দুই পক্ষকেই নিশানা করলেন সিপিআইএম নেতা তথা যাদবপুরের প্রাক্তনী সুজন চক্রবর্তী ৷ তিনি অভিযোগ করলেন, পরিকল্পিতভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে পণ্ড করতে চেয়েছিলেন আচার্য ৷ সেই কারণেই, আগের রাতে অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে সাসপেন্ড করেছেন তিনি ৷

এ প্রসঙ্গে সুজন অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউয়ের নিয়োগ ইস্যুকেও টেনে আনেন ৷ সেই সময় সিপিআইএম নেতা বলেছিলেন, বুদ্ধদেব সাউয়ের উপাচার্য পদে বসার ক্ষেত্রে যোগ্যতা নেই ৷ অর্থাৎ, অধ্যাপনা এবং উইজিসি-র নিয়মে তিনি উপাচার্য হতে পারেন না ৷ কিন্তু, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজের পছন্দের এবং তাঁর কথা শুনে চলবেন, এমন লোককে উপাচার্য করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন সুজন ৷ এ দিন বুদ্ধদেবের অপসারণ নিয়েও, সেই একই কথা বলতে শোনা গেল তাঁকে ৷

সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘রাজ্যপাল ভেবেছিলেন তাঁর কথা অনুযায়ী কাজ করবেন ৷ কিন্তু, হয়তো আচার্যের কথা শুনছেন না তিনি ৷ তাই সমাবর্তনের আগের দিনেই ইচ্ছে করে সরিয়ে দিলেন ৷’’ আচার্য ইচ্ছাকৃতভাবে যাদবপুরের সমাবর্তন বন্ধ করতেই শেষ মুহূর্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ সুজনের ৷ এই ইস্যুতে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতির অভিযোগ তোলেন তিনি ৷ যার জন্য তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন সুজন ৷

তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য হতে চেয়েছিলেন ৷ আর সেই মুখ্যমন্ত্রীর থেকে হাতেখড়ি নিয়েছেন রাজ্যপাল ৷ তাই তিনিও সমাবর্তনটাকে নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন ৷ কিন্তু, তা সফল হয়নি ৷ 'সমাবর্তন' হয়েছে ৷’’ উল্লেখ্য, উপাচার্য হিসেবে কেউ বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই ৷ তাই ইউজিসি আইন অনুযায়ী, সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্ভব নয় ৷ সেক্ষেত্রে এই অনুষ্ঠানকে 'ডিগ্রি অ্যাওয়ার্ডিং সেরিমনি' নাম দেওয়া হয়েছে ৷ সেই কারণেই হয়তো অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ মঞ্চে থাকলেও, কোনও পড়ুয়াকে শংসাপত্র তুলে দেননি ৷ সেই কাজটা করেছেন সহ-উপাচার্য ৷

আরও পড়ুন:

রাত পোহালেই সমাবর্তন ! কয়েক ঘণ্টা আগে সাসপেন্ড যাদবপুরের ভিসি

'আড়াই হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যত নিয়ে খেলতে পারব না', অপসারণ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন যাদবপুরের উপাচার্য

কলকাতায় এসেও যাদবপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন না ইউজিসি'র চেয়ারম্যান!

আচার্য সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে 'সমাবর্তন' পণ্ড করতে চাওয়ার অভিযোগ সুজনের

কলকাতা, 24 ডিসেম্বর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রবিবার 'সমাবর্তন' অনুষ্ঠান কার্যত নির্বিঘ্নেই হল ৷ অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদ থেকে গতকাল রাতে বুদ্ধদেব সাউকে হঠাৎই সরিয়ে দেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস ৷ ফলে সমাবর্তন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল ৷ তবে, 'সমাবর্তন' হয়েছে ৷ যা নিয়ে এ বার রাজ্যপাল তথা আচার্য এবং রাজ্য সরকার, দুই পক্ষকেই নিশানা করলেন সিপিআইএম নেতা তথা যাদবপুরের প্রাক্তনী সুজন চক্রবর্তী ৷ তিনি অভিযোগ করলেন, পরিকল্পিতভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে পণ্ড করতে চেয়েছিলেন আচার্য ৷ সেই কারণেই, আগের রাতে অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে সাসপেন্ড করেছেন তিনি ৷

এ প্রসঙ্গে সুজন অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউয়ের নিয়োগ ইস্যুকেও টেনে আনেন ৷ সেই সময় সিপিআইএম নেতা বলেছিলেন, বুদ্ধদেব সাউয়ের উপাচার্য পদে বসার ক্ষেত্রে যোগ্যতা নেই ৷ অর্থাৎ, অধ্যাপনা এবং উইজিসি-র নিয়মে তিনি উপাচার্য হতে পারেন না ৷ কিন্তু, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজের পছন্দের এবং তাঁর কথা শুনে চলবেন, এমন লোককে উপাচার্য করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন সুজন ৷ এ দিন বুদ্ধদেবের অপসারণ নিয়েও, সেই একই কথা বলতে শোনা গেল তাঁকে ৷

সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘রাজ্যপাল ভেবেছিলেন তাঁর কথা অনুযায়ী কাজ করবেন ৷ কিন্তু, হয়তো আচার্যের কথা শুনছেন না তিনি ৷ তাই সমাবর্তনের আগের দিনেই ইচ্ছে করে সরিয়ে দিলেন ৷’’ আচার্য ইচ্ছাকৃতভাবে যাদবপুরের সমাবর্তন বন্ধ করতেই শেষ মুহূর্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ সুজনের ৷ এই ইস্যুতে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতির অভিযোগ তোলেন তিনি ৷ যার জন্য তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন সুজন ৷

তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য হতে চেয়েছিলেন ৷ আর সেই মুখ্যমন্ত্রীর থেকে হাতেখড়ি নিয়েছেন রাজ্যপাল ৷ তাই তিনিও সমাবর্তনটাকে নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন ৷ কিন্তু, তা সফল হয়নি ৷ 'সমাবর্তন' হয়েছে ৷’’ উল্লেখ্য, উপাচার্য হিসেবে কেউ বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই ৷ তাই ইউজিসি আইন অনুযায়ী, সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্ভব নয় ৷ সেক্ষেত্রে এই অনুষ্ঠানকে 'ডিগ্রি অ্যাওয়ার্ডিং সেরিমনি' নাম দেওয়া হয়েছে ৷ সেই কারণেই হয়তো অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ মঞ্চে থাকলেও, কোনও পড়ুয়াকে শংসাপত্র তুলে দেননি ৷ সেই কাজটা করেছেন সহ-উপাচার্য ৷

আরও পড়ুন:

রাত পোহালেই সমাবর্তন ! কয়েক ঘণ্টা আগে সাসপেন্ড যাদবপুরের ভিসি

'আড়াই হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যত নিয়ে খেলতে পারব না', অপসারণ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন যাদবপুরের উপাচার্য

কলকাতায় এসেও যাদবপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন না ইউজিসি'র চেয়ারম্যান!

Last Updated : Dec 25, 2023, 9:59 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.