কলকাতা, 10 জানুয়ারি: ফের পাচার রুখে দিল বিএসএফ ৷ উত্তর 24 পরগনার পেট্রাপোলে উদ্ধার 10টি তামা-কোটেড সোনার চুড়ি ৷ ঘটনায় পাঁচ মহিলাকে হাতেনাতে পাকড়াও করেছেন দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে 145 ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা ৷
জানা গিয়েছে, চোরাকারবারীরা এই চুড়িগুলি আইসিপি পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল । বাজেয়াপ্ত সোনার চুড়ির ওজন প্রায় 300 গ্রাম এবং যার আনুমানিক বাজার মূল্য 18 লক্ষ 81 হাজার 371 টাকা । আটক চোরাকারবারী ও বাজেয়াপ্ত সোনার চুড়ি পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য পেট্রাপোল কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে ।
আইসিপি পেট্রাপোল চোরাচালানের দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে সংবেদনশীল এলাকাগুলির মধ্যে একটি । যেখানে চোরাকারবারীরা ক্রমাগত নতুন কৌশল নিয়ে চোরাচালান চালানোর চেষ্টা করছে । কিন্তু বিএসএফ ক্রমাগত সতর্কতা এবং সচেতনতা সঙ্গে চোরাচালানকারীদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিচ্ছে । সূত্রের খবর, বিএসএফ 145 ব্যাটালিয়নের আইসিপি পেট্রাপোলের জওয়ান রুটিন টহলদারি করছিলেন ৷ সেসময় কিছু মহিলা যাত্রীদের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন তাঁরা । তারপরে কর্তব্যরত মহিলা বিএসএফ কর্মীরা আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্য (ধাতু আবিষ্কারক) তাঁদের তল্লাশি করেন । এই সময় তাঁদের কাছ থেকে 10টি সোনার চুড়ি উদ্ধার হয় ৷ এই চুড়িগুলি জওয়ানদের নজর এড়াতে তামার পুরু আবরণ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল ।
ওই মহিলারা কোনও বৈধ কাগজপত্র ও শুল্ক পত্র ছাড়াই এসব চুড়ি বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন । বিএসএফ জওয়ানরা সোনার চুড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ মহিলাকে হেফাজতে নিয়েছে । ধৃত পাচারকারীরা হলেন- আশিমা মুহুরি (21), সবিতা দাস (24), আশালতা দাস (25), নমিতা সাহা (33) এবং সর্বাণী সেন (32) ৷ তাঁরা সকলে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া ও উত্তর 24 পরগণা জেলার বাসিন্দা বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন ।
তারা আরও জানিয়েছেন, পাঁচজনেই ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য চোরাচালানকারী হিসেবে কাজ করেন । এ বছরের 4 জানুয়ারি তাঁরা সকলেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে চোরাচালান করা পণ্য নিয়ে ঢাকায় যায় এবং সেখান থেকে আইসিপি পেট্রাপোল হয়ে ভারতে ফেরার কথা ছিল তাঁদের ৷ ঢাকা থেকে আসার সময় দীপক সাহা নামে এক ব্যক্তি তাদের প্রত্যেককে দুটি করে সোনার চুড়ি দেয়, যা সোদপুর ভিত্তিক কিছু অজানা ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করার কথা হয়েছিল ৷ যার জন্য তাঁরা চুড়ি প্রতি 1000 টাকা পেতেন । কিন্তু আইসিপি পেট্রাপোল পার হওয়ার সময় সজাগ বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ানরা পাচারের আগেই সোনার চুড়ি-সহ তাদের ধরে ফেলেন ।
আরও পড়ুন: