কলকাতা, 7 এপ্রিল : বন্ধ হয়ে গেল জিডি বিড়লা স্কুল ৷ আজ সকালে স্কুলের দরজায় একটি নোটিস সেঁটে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷ সেখান থেকে ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকেরা জানতে পারে, স্কুল এখন থেকে বন্ধ (G D Birla Centre For Education in Kolkata closes school for indefinite period) ৷ বন্ধ হয়েছে কলকাতার বিখ্যাত অশোকা হল স্কুলটিও ৷
জিডি বিড়লা অভিভাবকরা স্কুলের মাইনে বাড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন, বিক্ষোভ দেখান । নোটিসে স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, "বিক্ষোভের ফলে স্কুলের মধ্যে এবং বাইরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি ৷ স্কুল খোলার নোটিস না টাঙানো অবধি স্কুল বন্ধ থাকবে ৷ আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন ৷"
স্কুলের মাইনে বাড়ানো নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা চলছিল । আজ, বৃহস্পতিবার সকালে পড়ুয়ারা স্কুলে গিয়ে দেখে স্কুলের গেটে নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ গত 4 এপ্রিল থেকে রাজ্যের অন্য স্কুলগুলির সঙ্গে সঙ্গে এই স্কুলেও শুরু হয়েছে অফলাইনে পঠনপাঠন । কলকাতা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বর্ধিত মাইনে দিয়েই অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়েছেন ।
আরও পড়ুন : School Reopening : পুনরায় স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
'ঘনশ্যাম দাস বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশন পেরেন্টস অ্যাসোসিয়েশন'-এর কার্যবাহী সভাপতি সঞ্জয় ভট্টাচার্য জানান, বেশ কিছু অভিভাবকদের বোঝানো হয়েছিল যে, এই মুহূর্তে বর্ধিত মাইনে দিতে সমস্যা হলে সেই পড়ুয়ারাদের ক্লাস করতে কর্তৃপক্ষ বাধা দিতে পারবে না । তাই গত 4 এপ্রিল স্কুল খোলার সময় যেসব পড়ুয়াদের মাইনে বাকি পড়েছে, তাদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি । ক্লাসে বসা তো অনেক দূর । এতে 7-8 জন অভিভাবক পরের দিন স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান ৷ শেষ অবধি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় । এরপর দু'দিন স্বাভাবিক নিয়মেই স্কুল চলে ৷ তবে গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট আবার যে রায় দিয়েছে, তারপরে তড়িঘড়ি আজ স্কুলে এই নোটিসটি ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ।
সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, "পুরো ঘটনাটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ৷ এর ফলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ৷ কারণ এখন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে । হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত একেবারেই উচিত নয় । তাছাড়া গত দু'বছর স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল ।" এবার যখন স্কুল খুলল দু'সপ্তাহ ভালমতো স্কুল হতে না হতে ফের বন্ধ করে দেওয়া হল । তিনি বলেন, "আমরা অভিভাবকরা মনে করি, অভিভাবকদের সঙ্গে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা স্কুল কর্তৃপক্ষ আলাদা করে বৈঠক করে মিটিয়ে নিতে পারতেন ৷ তাহলে স্কুলের পড়ুয়াদের এভাবে নাকাল হতে হত না ।" এখনও পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি ।
আরও পড়ুন : School Fees In West Bengal : বেসরকারি স্কুলে এবার দিতে হবে পুরো মাইনে, আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ অবিভাবক সংগঠন