কলকাতা, 28 মার্চ : লকডাউনের জেরে কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়েছে ভিন রাজ্যের প্রচুর শ্রমিক। রীতিমতো দুশ্চিন্তা আর সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। অনেকেই দিন কাটাচ্ছেন অনাহারে। বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া অন্যান্য রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও আটকে পড়া শ্রমিকরা সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাহায্য চাইছেন। কোথাও বা ভিডিয়ো কলে বাড়ি ফেরার আবেদন জানাচ্ছেন । তবে আজ দিল্লির ঘটনা কোথাও যেন বহু প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল সরকারকে । প্রশ্ন তুলল প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে । বর্তমানে সেখানে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের শ্রমিকরা । তাদের মধ্যে অনেকেই দিন কাটাচ্ছেন অনাহারে। কেন্দ্রের নির্দেশ আদৌ কার্যকর হবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে । সংশয় তৈরি হয়েছে শ্রমিকদের মধ্যেও ।
আজ সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের লেখা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, কোরোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউনের জেরে যেসব শ্রমিক ভিন রাজ্যে আটকে পড়েছেন তাঁদের খাবার,আশ্রয়, জামাকাপড় এবং ওষুধের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারগুলিকে করতে হবে। দিল্লির করোলবাগ, আনন্দবিহারে আটকে থাকা 10 জন বাঙালি শ্রমিক জানান, খাবারের পয়সা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন কারখানার মালিক । কিন্তু কথা রাখেননি মালিক। গত কয়েকদিনে তাঁদের হাতে থাকা সব টাকা শেষ। এখন একবেলা কোনওরকমে খাবার জোটাচ্ছেন। সেটুকুও আগামী কাল থেকে জুটবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে । ওই দশ শ্রমিকের কাতর আবেদন, “আমাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন।"
উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই আটকে পড়া শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে উদ্যোগী হয়েছেন। এ রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে 18 টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এরাজ্যে আটকে পড়া অন্যান্য রাজ্যের শ্রমিকদের খাবার এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা সব জেলার জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন। লকডাউনের প্রথম দিনেই কলকাতায় আটকে পড়া অসমের শ্রমিকদের কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় পাঠানো হয়েছে তাঁদের বাড়িতে।