কলকাতা, 14 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলার অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র খুনের ঘটনায় ধৃত তিন জন ছাড়াও লালবাজারের নজরে রয়েছে অতিরিক্ত চার পড়ুয়া। লালবাজার সুত্রের খবর এই চার ফেরার পড়ুয়াদেরর মধ্যে একজন ছাত্র ইতিমধ্যেই পাড়ি দিয়েছে ভিন রাজ্যে। লালবাজার সুত্রের খবর এই চারজন পড়ুয়ার মধ্যে যে পড়ুয়া ইতিমধ্যেই ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল এই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার হওয়া সৌরভ চৌধুরী সঙ্গে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একটি চিঠিও উদ্ধার করেছে তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর চিঠি দেখিয়ে তদন্তকারীরা মৃতের বাবার কাছ থেকে জানতে চান, এই চিঠি আদতে কার। জানা গিয়েছে, তদন্তকারীদের স্বপ্নদীপের বাবা জানিয়েছেন, চিঠির হাতের লেখা তাঁর ছেলের নয়। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে এই চিঠি কার লেখা? ইতিমধ্যেই ওই চিঠি ভালোভাবে পরীক্ষা করে এবং অভিযুক্তদের হাতের লেখা মিলিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ৷ একই সঙ্গে, সবকিছুর সত্যতাও যাচাই করতে চাইছেন তারা।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রথম গ্রেফতার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। বাঁকুড়ার দীপশিখর দত্ত, হুগলির আরামবাগের বাসিন্দা মনোতোষ এরা দুজনেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ৷ তাদেরও গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, সমাজবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মনোতোষ অন্যদিকে, দীপশিখর অর্থনৈতিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সৌরভ চৌধুরীর সঙ্গেই এই দীপশিখর এবং মনোতোষ মৃত ছাত্রের উপর মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন চালাত বলে প্রাথমিক তথ্যে দাবি করেছে পুলিশ।
তবে শুধু সৌরভ, মনোতোষ বা দীপশিখর নয়। লালবাজারের অনুমান গোটা ঘটনাটি আদতে পূর্ব পরিকল্পিত। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে একাধিক পড়ুয়া রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের রেজিস্টার খাতা থেকে সেই ছাত্রদের মোবাইল ফোনে তদন্তকারীরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তদন্তকারীদের দাবি, একাধিক ছাত্রের মোবাইল ফোন বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে মোট চার জন পড়ুয়ার উপর প্রবলভাবে সন্দেহ লালবাজারের তদন্তকারী আধিকারিকদের। আর এই চার জন পড়ুয়ার মধ্যে একজন পড়ুয়া ইতিমধ্যে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই ওই চার পড়ুয়ার নাম প্রকাশ্যে জানতে চাইছেন না তদন্তকারীরা।