কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর : মুক্তি পেয়েছিলেন মাস দুয়েক আগেই ৷ দেশদ্রোহিতার দায়ে নিম্ন আদালত দিয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাওবাদী নেতা পতিতপাবন হালদারকে । পরে হাইকোর্ট তাঁকে বেকসুর খালাস দেয় । 12 বছর জেল খাটার পর মুক্তি পান ৷ আজ ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল প্রাক্তন মাওবাদী রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরো সদস্য পতিতপাবন হালদারের । বয়স হয়েছিল 59 ।
2005 সাল । ধীরে ধীরে অশান্ত হচ্ছে জঙ্গলমহল । গোয়েন্দা রিপোর্ট জানায়, মাওবাদীদের আনাগোনা বাড়ছে ক্রমশ । পুরুলিয়া, বাঁকুড়া,পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলিতে নজরদারি শুরু করে CID ৷ ওই বছর মে'তে তৎকালীন মাওবাদী রাজ্য সম্পাদক পতিতপাবনকে গ্রেপ্তার করে CID । তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয় ৷ পরে হুগলিতে পতিতপাবনের ডেরা থেকে জিলেটিন স্টিক, আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, সোনার গয়না, নগদ ও মাওবাদী সংগঠনের নিষিদ্ধ বইপত্র উদ্ধার করা হয় ৷ 2007 সালে পতিতপাবনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত । সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন পতিতপাবন হালদার । পরে তাঁকে বেকসুর খালাস করে আদালত ৷
গতরাতে বুকে ব্যথা অনুভব করেন মাওবাদী প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক । তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে । এরপর আজ ভোররাতে মৃত্যু হয় তাঁর । APDR-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য রঞ্জিত সুর জানান, জেলে থাকার সময় থেকেই অসুস্থ ছিলেন পতিতপাবন । তাঁর অভিযোগ, সেখানে তাঁর চিকিৎসা হত না । ফলে অসুস্থতা বাড়ছিল । রঞ্জিতবাবু বলেন, "বর্তমানে জেলগুলির চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । বন্দীদের ঠিকমতো স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না । মাত্র 59 বছর বয়সে পতিতপাবনবাবুর মৃত্যু একদিনের অসুস্থতায় নয় । জেলে থাকার সময়ই তাঁর হার্ট দুর্বল হয়ে গিয়েছিল । কিন্তু, চিকিৎসা ঠিকমতো হয়নি । "