ETV Bharat / state

JU Professor Discoveries: ধনেপাতা-করমচার আইসক্রিম থেকে ভেষজ ধুনো, জনস্বার্থে নয়া আবিষ্কারে মজে যাদবপুরের প্রাক্তন অধ্যাপক - ভেষজ আইসক্রিম

করমচা, ধনেপাতা, আতা দিয়ে আইসক্রিম তৈরি করছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ৷ শুধু তাই নয়, জনস্বার্থে ও পরিবেশ রক্ষায় তিনি তৈরি করেছেন ভেষজ ধুনো ও অভিনব মোমবাতি ৷

JU Professor Discoveries
জনস্বার্থে নয়া আবিষ্কারে মজে যাদবপুরের প্রাক্তন অধ্যাপক
author img

By

Published : Apr 11, 2023, 8:25 PM IST

জনস্বার্থে নয়া আবিষ্কারে মজে যাদবপুরের প্রাক্তন অধ্যাপক

কলকাতা, 11 এপ্রিল: বয়স প্রায় 80 ৷ তবুও রোজ কিছু না কিছু অবিষ্কার করেই চলেছেন তিনি । যখন প্রচণ্ড গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত, ঠিক সেই সময় তিনি বানাচ্ছেন কদবেল-করমচার আইসক্রিম । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক অসীম চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে যা তৈরি হচ্ছে, তাতে স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে ৷ মূলত আইসক্রিম তৈরি হয় ক্রিমের সাহায্যে ৷ কিন্তু তাঁর হাতে বানানো আইসক্রিমে সে সব নেই । শুধু খাওয়ার জিনিস নয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তন অধ্যাপক তৈরি করেছেন মশা মারার তেল থেকে শুরু করে অভিনব মোমবাতি । তবে এই তৈরির পিছনে রয়েছে লম্বা এক ইতিহাস ।

চাষ করা শাক-সবজি-ফল বাজারজাত হওয়ার পরেও অর্ধেক জিনিসই চাষিরা ফিরিয়ে নিয়ে যান বিক্রি না হওয়ায় । কষ্ট করে ফলানো এমন প্রচুর সবজি নষ্ট হয়ে যায় । এই সমস্যায় জর্জরিত হাওড়ার জনৈক কৃষক নেতা পীতবসন দাস 2004 সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন ৷ সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অশোকনাথ বসুর সঙ্গে দেখা করেন তিনি । তাঁদের এই সমস্যার কথা তুলে ধরে সমাধানের পথ খুঁজতে চেয়েছিলেন কৃষক নেতা । তারপর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় এ হেন হার্বাল বিষয়ের উপর গবেষণা ।

কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক অসীম চট্টোপাধ্যায় বানিয়েছেন কদবেল, সবেদা, ধনেপাতা, করমচার আইসক্রিম । সব ধরনের ফলই তাঁর আইসক্রিম তৈরির প্রধান উপকরণ । তিনি জানান, "সিজনের ফলের রস করে আর স্বাদের জন্য অল্প চিনি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় এই আইসক্রিম । সুগার ফ্রি ব্যবহার করতাম কিন্তু তাতে মূল্য বেড়ে যেত, ফলে মানুষ পছন্দ করত না ।"

আইসক্রিম ছাড়াও তিনি বানিয়েছেন অভিনব মোমবাতি । যার বিশেষত্ব হল যতই জ্বলুক না কেন, সলতে পুড়বে না ৷ তারসঙ্গে ছড়িয়ে পড়বে সুন্দর গন্ধ । এ ছাড়াও বানিয়েছেন মশার উপদ্রব কমাতে ধুনো । যা এই বর্ষার সময় পোকা-মাকড়ের হাত থেকে রেহাই দেবে । এই সব কিছুর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন তিনি । এ সব শেখাতে এই বয়সেও চলে যান রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ।

তবে আক্ষেপের সুরও শোনা যায় অধ্যাপকের গলায় । তিনি বলেন, "মানুষ এই সব খুব একটা ভালোভাবে নেয় না । যার কারণে তৈরি হলেও তেমন চাহিদা নেই । তবে আমি চাই রাজ্যের পাশাপাশি দেশেও এ ধরনের জিনিস ছড়িয়ে পড়ুক । তাহলে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আরও উজ্জ্বল হবে ।" তবে এই অল্প চাহিদার মধ্যেও বেশ কিছু জিনিসের বেশ চাহিদা রয়েছে বলে জানালেন প্রাক্তন অধ্যাপক । তার মধ্যে রয়েছে, ধনেপাতা, আতা ও তরমুজের আইসক্রিম ।

আরও পড়ুন: মানসিক চাপ, উদ্বেগে ভুগছেন ? এই ভেষজ চা ব্যবহার করে দেখুন

জনস্বার্থে নয়া আবিষ্কারে মজে যাদবপুরের প্রাক্তন অধ্যাপক

কলকাতা, 11 এপ্রিল: বয়স প্রায় 80 ৷ তবুও রোজ কিছু না কিছু অবিষ্কার করেই চলেছেন তিনি । যখন প্রচণ্ড গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত, ঠিক সেই সময় তিনি বানাচ্ছেন কদবেল-করমচার আইসক্রিম । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক অসীম চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে যা তৈরি হচ্ছে, তাতে স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে ৷ মূলত আইসক্রিম তৈরি হয় ক্রিমের সাহায্যে ৷ কিন্তু তাঁর হাতে বানানো আইসক্রিমে সে সব নেই । শুধু খাওয়ার জিনিস নয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তন অধ্যাপক তৈরি করেছেন মশা মারার তেল থেকে শুরু করে অভিনব মোমবাতি । তবে এই তৈরির পিছনে রয়েছে লম্বা এক ইতিহাস ।

চাষ করা শাক-সবজি-ফল বাজারজাত হওয়ার পরেও অর্ধেক জিনিসই চাষিরা ফিরিয়ে নিয়ে যান বিক্রি না হওয়ায় । কষ্ট করে ফলানো এমন প্রচুর সবজি নষ্ট হয়ে যায় । এই সমস্যায় জর্জরিত হাওড়ার জনৈক কৃষক নেতা পীতবসন দাস 2004 সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন ৷ সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অশোকনাথ বসুর সঙ্গে দেখা করেন তিনি । তাঁদের এই সমস্যার কথা তুলে ধরে সমাধানের পথ খুঁজতে চেয়েছিলেন কৃষক নেতা । তারপর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় এ হেন হার্বাল বিষয়ের উপর গবেষণা ।

কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক অসীম চট্টোপাধ্যায় বানিয়েছেন কদবেল, সবেদা, ধনেপাতা, করমচার আইসক্রিম । সব ধরনের ফলই তাঁর আইসক্রিম তৈরির প্রধান উপকরণ । তিনি জানান, "সিজনের ফলের রস করে আর স্বাদের জন্য অল্প চিনি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় এই আইসক্রিম । সুগার ফ্রি ব্যবহার করতাম কিন্তু তাতে মূল্য বেড়ে যেত, ফলে মানুষ পছন্দ করত না ।"

আইসক্রিম ছাড়াও তিনি বানিয়েছেন অভিনব মোমবাতি । যার বিশেষত্ব হল যতই জ্বলুক না কেন, সলতে পুড়বে না ৷ তারসঙ্গে ছড়িয়ে পড়বে সুন্দর গন্ধ । এ ছাড়াও বানিয়েছেন মশার উপদ্রব কমাতে ধুনো । যা এই বর্ষার সময় পোকা-মাকড়ের হাত থেকে রেহাই দেবে । এই সব কিছুর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন তিনি । এ সব শেখাতে এই বয়সেও চলে যান রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ।

তবে আক্ষেপের সুরও শোনা যায় অধ্যাপকের গলায় । তিনি বলেন, "মানুষ এই সব খুব একটা ভালোভাবে নেয় না । যার কারণে তৈরি হলেও তেমন চাহিদা নেই । তবে আমি চাই রাজ্যের পাশাপাশি দেশেও এ ধরনের জিনিস ছড়িয়ে পড়ুক । তাহলে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আরও উজ্জ্বল হবে ।" তবে এই অল্প চাহিদার মধ্যেও বেশ কিছু জিনিসের বেশ চাহিদা রয়েছে বলে জানালেন প্রাক্তন অধ্যাপক । তার মধ্যে রয়েছে, ধনেপাতা, আতা ও তরমুজের আইসক্রিম ।

আরও পড়ুন: মানসিক চাপ, উদ্বেগে ভুগছেন ? এই ভেষজ চা ব্যবহার করে দেখুন

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.