ETV Bharat / state

দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই, ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

author img

By

Published : Aug 24, 2020, 10:31 PM IST

Updated : Aug 24, 2020, 10:44 PM IST

গতকাল তুলনামূলকভাবে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকায় ও বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছিল জেলা প্রশাসনিক ভবনগুলিতে ৷ কিন্তু আজ সকালে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ায় ফের দুশ্চিন্তার কালো মেঘ জমতে শুরু করেছে ৷ ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ৷

বন্যার আশঙ্কা
বন্যার আশঙ্কা

কলকাতা, 24 অগাস্ট : একটানা বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই ৷ ইতিমধ্যেই কয়েকটি জেলার বিভিন্ন জায়গায় জল ঢুকেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে ফের নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস ৷ আজ সকালে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন অঞ্চলে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে । আগামী 48 ঘণ্টায় তা আরও ঘনীভূত হবে । যার জেরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । সেইসঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিও হতে পারে । উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও বীরভূমে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস । মঙ্গল ও বুধবার বৃষ্টির দাপট বাড়বে । আগামীকাল উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপট বেশি থাকবে । পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ 24 পরগনা, ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলিতে জলস্তর বিপদসীমা ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷

ইতিমধ্যে ক্রমাগত বৃষ্টির জেরে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ কিন্তু বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমায় সেই পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে ৷ হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দামোদর নদের জল এখনও পর্যন্ত 12.9 গেজে অর্থাৎ বিপদসীমায় পৌঁছায়নি । বর্তমানে নদের জলস্তর 11.7 গেজে রয়েছে৷ সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে খানাকুল, পুরশুড়া, ধনিয়াখালি, বলাগড়ের পরিস্থিতিতে নজর রাখা হয়েছে ৷ আরামবাগে মোতায়েন করা হয়েছে NDRF-এর একটি টিম । নামানো হচ্ছে সিভিল ডিফেন্স ।

হুগলির তুলনায় হাওড়ার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ৷ তবে প্রত্যেক দিনের মতো আজও জোয়ারের জল ঢুকেছে গ্রামীণ হাওড়ার নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে । জলস্তর আগের তুলনায় অনেকটাই নেমেছে ৷ তাই আপাতত বিপদের আশঙ্কা দেখছেন না প্রশাসনিক কর্তারা । DVC জল না ছাড়লে নতুন করে কোনও সমস্যা তৈরি হবে না বলেই মত জেলা প্রশাসনের । তবে প্রত্যেকটি ব্লকে যথেষ্ট ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে।

একনজরে বন্যাপ্রবণ জেলাগুলোর পরিস্থিতি

অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের চৌকা গ্রামের শুশুনিয়া খালের বাঁধ ভেঙে নতুন করে জল ঢুকতে শুরু করেছে ওই এলাকার মাঠে । চাষের জমি জলের তলায় ৷ বৃষ্টির জেরে সবং ব্লকের 13 নম্বর বিষ্ণুপুর অঞ্চলে নাগলকাটায় কাঠের সেতু এখনও জলের তলায় ৷ আজ এলাকার পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান রাজ্যসভার সাংসদ মানসরঞ্জন ভুঁইঞা, জেলাশাসক রেশমি কমল, SP দীনেশ কুমার ৷

প্রায় একই পরিস্থিতি পূর্ব মেদিনীপুরেও ৷ পূর্ব মেদিনীপুরে গতরাত থেকে চলছে বৃষ্টি । যার ফলে পুনরায় রূপনারায়ণ, কংসাবতী ও চন্ডিয়া নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে । বিপদসীমার খুব গা ঘেঁষে বয়ে চলেছে কংসাবতী নদীর জল । যদিও জেলা প্রশাসনের তরফে নদীর বাঁধগুলিতে সর্বদা নজরদারি চালানো হচ্ছে । বাঁধের কোনও জায়গায় ফাটল বা গর্ত দেখা দিলেই তা দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে ৷ বৃষ্টির জেরে কংসাবতী নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় পৌরসভার চার, আট, এক নম্বর ওয়ার্ডের বেশকিছু অংশ জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মজুত করা হয়েছে শুকনো খাবার ও ত্রিপল । নদীর বাঁধ সংলগ্ন এলাকার ফ্লাড সেন্টারগুলিকেও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ।

গত দু'দিন জেলায় বৃষ্টিপাত কিছুটা কমায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা কেটেছে বীরভূমে । যদিও, নদ-নদীগুলি জলে এখনও পরিপূর্ণ । তবে বিপদসীমার থেকে নিচে রয়েছে জলস্তর ৷ যদিও যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন ৷ প্রশাসনের তরফে মজুত করা হয়েছে পর্যাপ্ত প্লাস্টিক, নৌকা ৷ NDRFকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে । জানা গিয়েছে, গত দু'দিনে 210 মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বীরভূমে ।

তবে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় রাজ্যের একাধিক এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস ৷ তিনদিন রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে ৷ ফলে, নতুন করে মাথায় চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে একাধিক জেলা প্রসাশনের ৷

কলকাতা, 24 অগাস্ট : একটানা বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই ৷ ইতিমধ্যেই কয়েকটি জেলার বিভিন্ন জায়গায় জল ঢুকেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে ফের নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস ৷ আজ সকালে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন অঞ্চলে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে । আগামী 48 ঘণ্টায় তা আরও ঘনীভূত হবে । যার জেরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । সেইসঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিও হতে পারে । উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও বীরভূমে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস । মঙ্গল ও বুধবার বৃষ্টির দাপট বাড়বে । আগামীকাল উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপট বেশি থাকবে । পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ 24 পরগনা, ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলিতে জলস্তর বিপদসীমা ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷

ইতিমধ্যে ক্রমাগত বৃষ্টির জেরে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ কিন্তু বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমায় সেই পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে ৷ হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দামোদর নদের জল এখনও পর্যন্ত 12.9 গেজে অর্থাৎ বিপদসীমায় পৌঁছায়নি । বর্তমানে নদের জলস্তর 11.7 গেজে রয়েছে৷ সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে খানাকুল, পুরশুড়া, ধনিয়াখালি, বলাগড়ের পরিস্থিতিতে নজর রাখা হয়েছে ৷ আরামবাগে মোতায়েন করা হয়েছে NDRF-এর একটি টিম । নামানো হচ্ছে সিভিল ডিফেন্স ।

হুগলির তুলনায় হাওড়ার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ৷ তবে প্রত্যেক দিনের মতো আজও জোয়ারের জল ঢুকেছে গ্রামীণ হাওড়ার নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে । জলস্তর আগের তুলনায় অনেকটাই নেমেছে ৷ তাই আপাতত বিপদের আশঙ্কা দেখছেন না প্রশাসনিক কর্তারা । DVC জল না ছাড়লে নতুন করে কোনও সমস্যা তৈরি হবে না বলেই মত জেলা প্রশাসনের । তবে প্রত্যেকটি ব্লকে যথেষ্ট ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে।

একনজরে বন্যাপ্রবণ জেলাগুলোর পরিস্থিতি

অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের চৌকা গ্রামের শুশুনিয়া খালের বাঁধ ভেঙে নতুন করে জল ঢুকতে শুরু করেছে ওই এলাকার মাঠে । চাষের জমি জলের তলায় ৷ বৃষ্টির জেরে সবং ব্লকের 13 নম্বর বিষ্ণুপুর অঞ্চলে নাগলকাটায় কাঠের সেতু এখনও জলের তলায় ৷ আজ এলাকার পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান রাজ্যসভার সাংসদ মানসরঞ্জন ভুঁইঞা, জেলাশাসক রেশমি কমল, SP দীনেশ কুমার ৷

প্রায় একই পরিস্থিতি পূর্ব মেদিনীপুরেও ৷ পূর্ব মেদিনীপুরে গতরাত থেকে চলছে বৃষ্টি । যার ফলে পুনরায় রূপনারায়ণ, কংসাবতী ও চন্ডিয়া নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে । বিপদসীমার খুব গা ঘেঁষে বয়ে চলেছে কংসাবতী নদীর জল । যদিও জেলা প্রশাসনের তরফে নদীর বাঁধগুলিতে সর্বদা নজরদারি চালানো হচ্ছে । বাঁধের কোনও জায়গায় ফাটল বা গর্ত দেখা দিলেই তা দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে ৷ বৃষ্টির জেরে কংসাবতী নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় পৌরসভার চার, আট, এক নম্বর ওয়ার্ডের বেশকিছু অংশ জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মজুত করা হয়েছে শুকনো খাবার ও ত্রিপল । নদীর বাঁধ সংলগ্ন এলাকার ফ্লাড সেন্টারগুলিকেও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ।

গত দু'দিন জেলায় বৃষ্টিপাত কিছুটা কমায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা কেটেছে বীরভূমে । যদিও, নদ-নদীগুলি জলে এখনও পরিপূর্ণ । তবে বিপদসীমার থেকে নিচে রয়েছে জলস্তর ৷ যদিও যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন ৷ প্রশাসনের তরফে মজুত করা হয়েছে পর্যাপ্ত প্লাস্টিক, নৌকা ৷ NDRFকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে । জানা গিয়েছে, গত দু'দিনে 210 মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বীরভূমে ।

তবে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় রাজ্যের একাধিক এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস ৷ তিনদিন রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে ৷ ফলে, নতুন করে মাথায় চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে একাধিক জেলা প্রসাশনের ৷

Last Updated : Aug 24, 2020, 10:44 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.