কলকাতা, 9 সেপ্টেম্বর: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করেছেন কলকাতা কর্পোরেশনের পৌর ইঞ্জিনিয়ার থেকে শ্রমিক, কর্মীরা। এই আন্দোলন করতে গিয়েই খোদ মেয়রের কাছে জুটেছে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে টিভিতে এরা মুখ দেখায় পরিবারের লোক দেখবে বলে।
মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছিলেন, যারা ডিএ চাইছে আন্দোলন করছেন তারা ভালো বেতন পান। তাদের ফের টাকা দেব নাকি, যাদের কাছে টাকা নেই যারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া তাদের হাতে টাকা দেওয়া উচিত ৷ কেন্দ্র বকেয়া টাকা পাঠালে তখন ওদের বকেয়া আমরা মিটিয়ে দেব। এমনকী যাদের ইচ্ছে করছে না তাদের রাজ্য সরকারি চাকরি ছেড়ে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি খোঁজার নিদান দিয়েছিলেন।
বকেয়া ডিএ এখনও দেয়নি রাজ্য বা কলকাতা কর্পোরেশন।
তবে এর মধ্যেই সম্প্রতি বেতন বাড়ল মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। এক থেকে দু'হাজার নয়। প্রায় 40 হাজার টাকা। এই তালিকায় আছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পরিষদ দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার, কাউন্সিলর পরেশ পাল, রত্না চট্টোপাধ্য়ায় ৷ কারণ তাঁরা কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলরের সঙ্গেই রাজ্য বিধানসভার সদস্য। এর পরেই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন, কলকাতা কর্পোরেশনজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় ফ্লেক্স, পোস্টার লাগিয়েছে কেএমসি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড অ্যালায়েড সার্ভিসে অ্যাসেসিয়েশন।
তারা ফ্লেক্সে দাবি করেছেন, অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বাড়ে না, 100 দিনের কাজে মজুরি বাড়ে না, কর্মীদের বকেয়া ডি এ দেওয়া হয় না ৷ কিন্তু মন্ত্রী বিধায়কদের কয়েকশ গুনভাতা বৃদ্ধি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই প্রসঙ্গে সংগঠনের সম্পাদক মানস সিনহা বলেন, "যারা বেশি পাচ্ছে তাদের পাওয়ার দরকার নেই। তাই ডিএ দেওয়ার দরকার নেই। মেয়র বেতন বৃদ্ধির পক্ষে নন। তাই নৈতিকতার প্রশ্নে মেয়র কি পদত্যাগ করবেন? আমরা তার পদত্যাগ চাই ।"
আরও পড়ুন: টক টু মেয়রে এসেছে একাধিক অভিযোগ, আজ জরুরী বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম