কলকাতা, 11 জুন : কোভিড রোগীর মৃতদেহ সৎকার নিয়ে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ আসছিল কলকাতা পৌরনিগমের সদর দফতরে। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পাঁচজন কর্মীকে সাসপেন্ড করল পৌরসভা ৷ এরা হলেন শম্ভু মণ্ডল , আনন্দ মল্লিক , সমীর হালদার , সঞ্জয় রজক ও বিশ্বজিৎ মণ্ডল। শম্ভু মণ্ডল পৌরসভার মর্গ, পিস ওয়ার্ল্ডের নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন ৷ অন্যদিকে আনন্দ মল্লিক কেওড়াতলা মহাশ্মশানের ডোমের কাজ করতেন ৷ বাকি তিন জন পৌরনিগমের শববাহী গাড়িচালক এবং খালাসির কাজ করত ৷
অভিযোগ, 14 জুন কেওড়াতলা মহাশ্মশানে রাজেশ সিঙ্ঘানিয়া নামে কোভিডে আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃতদেহ পরিজনের দাহ করাতে গিয়েছিলেন ৷ সেইসময় শ্মশানে ভিড় থাকায় দ্রুত মৃতদেহ সৎকার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে 5 হাজার টাকা দাবি করে আনন্দ ৷ অন্যদিকে সমীর হালদার , সঞ্জয় রজক ও বিশ্বজিৎ মণ্ডল কোভিডে মৃতের দেহ শ্মশানে নিয়ে আসার জন্য 2,700 টাকা দাবি করেন ৷ এই দুটি ভিন্ন ঘটনাই পৌরনিগমের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানান অভিযোগকারীরা ৷ এরপরই পুরো বিষয়টি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অতীন ঘোষকে জানানো হয় ৷ সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং অভিযুক্তদের শোকজ করা হয় ৷
ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অতীন ঘোষ বলেন , "যাঁরাই কোভিড রোগীর দেহ সৎকারের জন্য কোনওরকমভাবে অতিরিক্ত টাকার দাবি করবে , তাঁদের বিরুদ্ধে সরাসরি পৌরনিগমের কন্ট্রোলরুমে বা আমার ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন অভিযোগকারীরা ৷ সব শ্মশানের বাইরে সাইনবোর্ডে কলকাতা পৌরনিগমের নম্বর দেওয়া রয়েছে ৷ তাই নির্ভয়ে অভিযোগ জানানো যাবে ৷ "
আরও পড়ুন : মালদায় বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি , আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত 1
এদিকে আগামী 14 তারিখ বিকেল চারটে থেকে 15 তারিখ রাত ন'টা পর্যন্ত মেরামতির জন্য বন্ধ থাকবে বিরজু নালা মহাশ্মশান। এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কলকাতা পৌরনিগম। এই শ্মশানে দুটি চুল্লিতে কোভিডে রোগীর দেহ দাহ হয়। 14 তারিখ ও 15 তারিখ বন্ধ থাকায় কোভিড মৃতদেহ দাহ করা হবে ধাপা ও নিমতলা মহাশ্মশানে।