কলকাতা, 10 মার্চ: আগামী 14 মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Exam)। তার আগে সাংবাদিক বৈঠক করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরলেন সংসদের সভাপতি। এই বছর সংসদের পক্ষ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে আরএফডি মেশিন। এই প্রথম রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর (RFD) মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়। স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতে ব্যবহার করা হবে এই মেশিন।
আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই পরীক্ষার সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়মাবলী জানিয়ে দেওয়া হয়। পুরো রাজ্যে 206টি স্পর্শকাতর এলাকা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই প্রত্যেকটি কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিংয়ের ব্যবস্থাপনা থাকছে। তার মধ্যেও অতি স্পর্শকাতর যে কেন্দ্রগুলি সেখানে আরএফডি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংসদ সূত্রে খবর, মালদা জেলায় প্রায় 50 থেকে 52টি স্পর্শকাতর কেন্দ্র রয়েছে, সেখানেই সবথেকে বেশি এই মেশিন ব্যবহার করা হবে।
আরএফডি মূলত ব্যবহার হয় বোর্ডের পরীক্ষায়। এই প্রথম ব্যবহার হচ্ছে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে। সংসদ সভাপতি জানিয়েছেন, যদি এই পাইলট প্রজেক্টের তাঁরা সাফল্য পান তাহলে আগামিদিনে এই মেশিনের মাধ্যমে বৃহত্তর ভাবনা চিন্তা করবেন ৷ প্রসঙ্গত, সকাল 10টা থেকে 1.15 পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা 8.52 লক্ষ। আগের বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল 7.45 লক্ষ। অতএব এবার আগের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা 1 লক্ষ বেশি।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে সেমেস্টার চালুর প্রস্তাবের বিরোধিতা এআইডিএসও-র
এমনকী ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যাও বেশি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পরীক্ষাকেন্দ্র 2 হাজার 349টি। এবারে একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে মোট 120টি বিষয়ের উপর প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে। মোট 1 হাজার 400 জন হেড এক্সামিনার এবং 55 হাজার এক্সামিনার পরীক্ষা পরবর্তী মূল্যায়নের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। এছাড়া পরীক্ষার সময় উচ্চমাধ্যমিক সংসদের কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। সংসদের পক্ষ থেকে একটি হেল্পলাইন নম্বরও জারি করা হয়েছে। দরকারে পরীক্ষার্থীরা সেই নম্বরে ফোন করে তাদের সমস্যার উত্তর পেতে পারেন।