কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর : সরকারি হাসপাতাল থেকে সময়মতো জন্মের শংসাপত্র বিলি নিয়ে উঠে এসেছে একাধিক অভিযোগ। এই জন্মের শংসাপত্র নিয়ে অভিযোগের সমস্যার সমাধান করতে কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম কথা বললেন রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে। পাশাপাশি এই বিষয়ে কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে মুখ্যসচিবের দফতরে।
শনিবার, 4 সেপ্টেম্বর 'টক টু কেএমসি' তে ফোন করে হুগলির আদিসপ্তগ্রামের বাসিন্দা শুভায়ু মল্লিক মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন । তিনি ফোনে জানান, 2020 সালের 3 ডিসেম্বর আরজি কর হাসপাতালে তাঁর স্ত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু প্রায় আট মাস কেটে যাওয়া গেলেও এখনও তার শিশুর জন্ম শংসাপত্র হাতে পাননি। বহুবার আরজিকর হাসপাতালে গিয়ে আবেদন জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। তাই তিনি নিরুপায় হয়ে মুখ্য প্রশাসকের কাছেই ফোনে অভিযোগ জানান ৷
আরও পড়ুন : Malda Duare Sarkar : নিরক্ষর গ্রামবাসীদের সরকারি প্রকল্পের ফর্ম পূরণ কন্যাশ্রীদের, অভিভূত বিডিও
ফোনে এই অভিযোগ আসার পরেই এদিন ফিরহাদ হাকিম সরাসরি ফোনে কথা বলেন মুখ্যসচিবের সঙ্গে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে জন্ম শংসাপত্র পেতে সাধারণ মানুষকে যে ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে শংসাপত্র পরবর্তীকালে নাম বদল নতুন নাম নথিভুক্তকরণের ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে বলে জানান তিনি । বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে কোনও শিশু জন্মালে হাসপাতাল পক্ষ থেকে শিশুর জন্মের প্রমাণপত্র দেওয়া হয়। 7 দিনের মধ্যে এসে কলকাতার ক্ষেত্রে তথ্য কলকাতা পৌরনিগমের কাছে তা জমা দিয়ে পৌরনিগমের শংসাপত্র নিতে হয়।
সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব এই বিষয়টি দ্রুত সমস্যার সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। বর্তমান নিয়মে শিশু জন্মানোর পরে সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রমাণপত্র দেওয়া হয়। জন্মের নথি সংক্রান্ত রেজিস্টার হাসপাতাল থেকে কলকাতা পৌরনিগমে সাত দিনের মধ্যেই চলে যায়। কিন্তু তা মাসের পর মাস কেটে গেলেও পৌরনিগমের কাছে এসে পৌঁছাচ্ছে না। ফলে কলকাতা পৌরনিগমের কাছেও যথাযথ জন্মের তথ্য থাকছে না বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন : Student Credit Card : জনসংযোগে ঘাটতি, দক্ষিণ দিনাজপুরে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পেতে নামমাত্র আবেদন জমা
মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, "এর ফলে ভবিষ্যতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। 10 বছর বা 20 বছর বাদে যদি কোনও শিশুর জন্মের শংসাপত্রের ডুব্লিকেট কপি বার করতে হয়, সেক্ষেত্রে কলকাতা পৌরনিগম দিতে পারবে না। কারণ সরকারি হাসপাতাল থেকে সময় মতো তথ্য কলকাতা পৌর নিগমের স্বাস্থ্য দফতরে আসে না। হাসপাতাল থেকে রেজিস্টার না আসায় কলকাতা পৌরনিগমের কাছে সেই সদ্য জন্ম হওয়া শিশু সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য অজানাই থেকে যাচ্ছে।"
কলকাতা পৌর নিগমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, জন্মের সঠিক তথ্য কলকাতা পৌরনিগমের কাছে না পৌঁছলে পৌর নিগমের কিছু করার নেই ৷
আরও পড়ুন : Patha Bandhu : জলপাইগুড়িতে পথবন্ধুদের পরিচয়পত্র ও জ্যাকেট দিল পুলিশ
এরপরই পৌর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এদিন মুখ্যসচিবের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। রেজিস্টার এবং সাব-রেজিস্ট্রার সংক্রান্ত সমস্যা এবং নামের নথি ও নামবদল সংক্রান্ত হয়রানি মেটানোর জন্য মুখ্যসচিবের কাছে আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ।