কলকাতা, 4 নভেম্বর: দক্ষিণ কলকাতার গরফা থানা এলাকার হালতুতে নির্মাণের জন্য গাছ কেটে ফেলছিলেন প্রোমোটার। তা দাঁড়িয়ে দেখছিল পুলিশ ৷ অগত্যা উদ্বিগ্ন নাগরিকরা ফোন করে অভিযোগ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। ফোন পাওয়া মাত্র এক মুহূর্ত নষ্ট হতে দেননি কলকাতার মেয়র ৷ সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে ফোন করে গাছ কাটার কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। শুক্রবার এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন মহানাগরিক।
ফিরহাদ নিজেই গরফা থানায় ফোন করে বলেন,"যিনি গাছ কাটাচ্ছেন তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ডায়েরি করুন। কার জন্য অপেক্ষা করছেন? আগে গাছ কাটা আটকান।" জানা গিয়েছে, কার্যত ধমকের সুর ছিল ফিরহাদের গলায় ৷ হালতু সুচেতানগর কলোনি এলাকায় গাছ কাটতে দেখেই বাঁধা দেন এলাকার বাসিন্দা সমীর চক্রবর্তী। সমীরবাবুদের পারিবারিক জমি ভাগাভাগি করার পর 207 বর্গফুট জমি খাস জমি হিসেবে চিহ্নিত হয়। সেখানেই একাধিক বড় বড় গাছ রয়েছে। ওই জমিতে প্রমোটিং হচ্ছে ৷ তাই জমিতে থাকা একাধিক বড় গাছ কেটে ফেলছিল প্রোমোটার।
পরিবেশের কথা বিন্দুমাত্র না ভেবেই এমন নৃশংস পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সমীর চক্রবর্তী থানায় যান ওসির কাছে। তবে তাঁর দাবি, পুলিশ তাঁকে জানায়, বন দফতরের চিঠি ছাড়া তাঁদের কিছু করার নেই। এরপর টক টু মেয়র-এ ফোন করে সরাসরি মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেই এই অভিযোগ জানান তিনি।
মেয়র জানিয়েছেন, কোথাও বন দফতরের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করা যাবে না। পুলিশকে বলা হবে, গাছ কাটতে দেখলেই গ্রেফতার করতে হবে ৷ যিনি গাছ কাটছেন তাঁর কাছে যদি বন দফতরের লিখিত অনুমতি থাকে, তবে তিনি পুলিশকে দেখান। অপেক্ষা করা যাবে না। বনদফতর আসতে আসতে গাছ কেটে সাফ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: পারদ নামতেই কমছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, স্বস্তির কথা শোনালেন ফিরহাদ
কলকাতা দূষিত শহরগুলোর তালিকায় রয়েছে। পরিবেশের যা অবস্থা কোনওভাবে গাছ কাটা বরদাস্ত করা হবে না। এভাবে গাছ কাটতে থাকলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বড় আকার নেবে। বেশ কিছু দিন আগেই 93 নম্বর ওয়ার্ডে এক দোকানদার, দোকানের সামনে থাকা তিনটি বড় গাছ কেটে ফেলেন। সেই ঘটনায় মেয়র থানায় অভিযোগ করেন। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় ৷