কলকাতা, 21 এপ্রিল: নারদা মামলায় শুক্রবার ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দিলেন কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন পুলিশকর্তা এসএমএইচ মির্জা । তবে এদিন এই মামলায় বিধায়ক মদন মিত্রের হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ কেউ মারা যাওয়ায় এদিন তিনি হাজিরা দিতে পারেননি ৷
উল্লেখ্য, নারদা মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে এরা প্রত্যেকেই জামিন পেলেও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইডি'র সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের কারণে এখনও এই মামলা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাচ্ছেন না এই নেতা-মন্ত্রীরা । এদিন আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত জানান, ইডি চার্জশিটে যে নথি দিয়েছিল তার আসল কপি নেই । আদালত এদিন ইডিকে সেই নথির আসল কপি সংগ্রহ করে আনতে নির্দেশ দিয়েছে । আগামী 31 জুলাই ফের হাজিরা দিতে হবে এই চারজনকে ৷ ওইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি ৷
এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বাইরে শোভন চট্টোপাধ্যায় কিছুটা হেঁয়ালির সুরেই বলেন,"তেলের শিশি ভাঙল বলে খুকুর পরে রাগ করো । তোমরা যে সব বুড়ো খোকা ভারত ভেঙে ভাগ করো, তার বেলা ?" আইনি প্রক্রিয়ায় সাহায্য করতেই তিনি নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও সকালবেলায় এসে আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন বলে এদিন মন্তব্য করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ৷ এদিন তাঁর সঙ্গে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও আদালতে উপস্থিত ছিলেন ৷
উল্লেখ্য, নারদা মামলায় জড়িয়েছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়েরও নাম ৷ তিনি মারা যাওয়ায় তাঁর নাম এই মামলা থেকে বাদ যেতে পারে ৷ অন্যদিকে, এই নারদা মামলায় রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম জড়ালেও তিনি বিজেপি'তে যোগদান করায় তাঁকে সিবিআই ইডি-গ্রেফতার করেনি বলেও রাজ্যের শাসকদলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, নারদা নামের একটি স্টিং অপারেশনে এই নেতাদের টাকা নেওয়ার ছবি ধরা পড়ে বলে অভিযোগ ৷ 2016 সালের বিধানসভা ভোটের আগে তা প্রকাশ্যে আসে ৷
আরও পড়ুন: কৌস্তভ বাগচীকে সিআইএসএফ নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের