কলকাতা, 13 অগস্ট: ইস্টবেঙ্গল সমর্থক মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম বৃষ্টিস্নাত যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে কার্যত হুঙ্কার দিলেন। "মোহনবাগান, আমরা ফিরে এসেছি। যেখানেই দেখব আবার মারব। লাল-হলুদ ধাঁধাঁয় মোহনবাগানের চোখ ঝলসে গিয়েছে," ববি হাকিমের এই বক্তব্য ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি জয়ের উৎসবকে অন্য মাত্রা দিয়ে দিল। ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, "আগেও বলেছি খেলা মাঠে হয়। ইস্টবেঙ্গল ফিরে এসেছে।"
কোচ কুয়াদ্রাত অবশ্য আবেগে ভাসতে নারাজ। জানাচ্ছেন, সবে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দল কোথায় ছিল আর কোথায় যেতে হবে তা জানা রয়েছে। লাল-হলুদ সাজঘরের দেওয়ালে 'নেভার সে ডাই' লিখে রেখেছেন তিনি। ফুটবলাররাও সেই মন্ত্র আত্মস্ত করছেন দেখে তিনি খুশি। ডার্বির জয় সমর্থকদের আনন্দ দিয়েছে দেখে আপ্লুত তিনি। তবে আবেগে ভেসে যেতে রাজি নন। ডুরান্ড কাপের শেষ আটে যেতে 16 অগস্ট পঞ্জাব এফসিকে হারাতে হবে। তাই ডার্বি জয়েও কোনও আনন্দ উৎসব করতে দেননি তিনি। কোনও ব্যক্তি বিশেষকে নয়, পুরো দলকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন। মন্দার দেশাই, হরমানজিৎ খাবরা থেকে শুরু করে সিভেরিও সকলকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: জ্বলল মশাল, সাড়ে চার বছরের শাপমুক্তি ঘটিয়ে ডার্বির রং লাল-হলুদ
ডার্বিতেও রেফারিং নিয়ে সরব লাল-হলুদ কোচ। বলছেন, তাঁদের যে সমস্ত ভুলে কার্ড দেখানো হয়েছে, মোহনবাগানের ক্ষেত্রে তা হয়নি। পাশাপাশি, ডুরান্ডে 30 জন ফুটবলারের জায়গায় মোহনবাগান ইতিমধ্যে 33 জনকে খেলিয়ে ফেলেছেন বলেও তাঁর অভিযোগ। ইস্টবেঙ্গল এই নিয়ে চিঠি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুয়াদ্রাত।
অন্যদিকে, জয় আসতেই এতদিনের সমস্ত না পাওয়ার জবাব সুদে আসলে ফেরত দিল লাল-হলুদ জনতা। নানা স্লোগানে ভরে গিয়েছে সোশাল মিডিয়া। টুইটারে ট্রেন্ড করছে ইস্টবেঙ্গলের জয়। সাড়ে চার বছর পর যুবভারতীর গ্যালারিতে জ্বলেছে মশাল ৷ সমর্থকরা ভাবছেন, কুয়াদ্রাত সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে এসেছেন। কুয়াদ্রাতের মত, তিনি নন পুরো দলটাই এই পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: 'সমর্থকদের হাসিমুখগুলো আজীবন মনে থাকবে', 'মিরাকল' ঘটিয়ে নির্লিপ্ত কুয়াদ্রাত