কলকাতা, 7 অক্টোবর: তৃণমূলের তরফে সম্পূর্ণ ক্ষোভ প্রকাশ পেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী (সিআইএসএফ)-কে গুলি চালাতে হত। রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবিতে দিল্লি অভিযান প্রসঙ্গে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
শনিবার রাজ্যপাল আনন্দ বোস দার্জিলিং রাজভবনে তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেছেন। তবে কলকাতায় দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাজ্যপালকে বঞ্চিত যারা দিল্লি গিয়েছিল, তাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে। মানুষ রীতিমতো ক্ষোভ ফুঁসছে। এদিন রাজ্যেপাল প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, "উনি (রাজ্যপাল) তো বলেছেন ঘেরাও নয়, ঘরমে আও (ঘরে এসো)। উনি আসুন, আমরাও যাব। তবে তার আগে সেই মানুষগুলো যাবে যাদের টাকা মেরে বসে আছেন।"
পাশাপশি এদিন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ নিরঞ্জন জ্যোতি কলকাতায় এসেছেন। তাঁকেও এদিন আক্রমণ করেন ফিরহাদ। তাঁর অভিযোগ, এর আগে দিল্লিতে মন্ত্রীর দফতরে গিয়েই দিল্লিতে পুলিশি হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়কদের। পুলিশ টেনে-হিঁচড়ে বের করে নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের। এদিন সেই মন্ত্রী কলকাতায় ! অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলের উদ্দেশে কটাক্ষের সুরে বলেছেন, "আসুন আমদের এখানে মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেব।" তারও পালটা দিয়েছেন ফিরহাদ ৷
আরও পড়ুন: বকেয়া আদায়ে বিজেপির সুকান্তকে ফোন করার পরামর্শ অভিষেকের
তিনি বলেন, "যারা বসে আছে চিঠি নিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করুন। উনি পার্টি অফিসে থাকবেন আর সেখানে আমরা কেন যাবে ? নিরঞ্জন জ্যোতি পার্টি অফিসে এসে রাজনীতি করছেন। বিজেপির অনেকে ভাবছেন এই আন্দোলনের ফলে দলের গ্রাম থেকে জনপ্রিয়তা কমে যাচ্ছে। জমিদারি মনোভাব। টাকা দেব না ঔদ্ধত্ব। উনি ডাহা মিথ্যা বলছেন। ওনার দিল্লির দফতরে কনফারেন্স রুমে বসে ছিলাম আমরা। প্রত্যেকের আইডেন্টিটি কার্ড দেখে ঢোকানো হয়েছিল। উনি সেখানেই আসতে পারতেন। আজ এখানে এসে বিবৃতি দিচ্ছেন ! পার্টির স্বার্থে দৌড়ে এসেছেন।" উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি এদিন বলেন, "আমি ওনাদের জন্য দফতরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বসে ছিলাম।"