ETV Bharat / state

Wetland in Kolkata: মহানগরের জলাশয় চিহ্নিতকরণে তিন মাস সময় বেঁধে দিলেন মেয়র - পরিবেশকর্মী

শহরের জলাভূমি কিংবা ছোট-বড় ঝিল অথবা পুকুর গ্রাস করছেন প্রোমোটাররা ৷ সেই জায়গায় গজিয়ে উঠছে বহুতল ৷ এনিয়ে পরিবেশ আদালতের দ্বারস্ত হয়েছিলেন পরিবেশকর্মীরা ৷ আর তারপরই বছরখানেক ধরে নড়ে বসেছে কলকাতা কর্পোরেশন। সোমবার সম্পত্তি কর মূল্যায়ন বিভাগের বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জলাশয় ও পুকুর চিহ্নিতকরণের সময় বেঁধে দিলেন ৷

Wetland in Kolkata
কলকাতা পৌরনিগম
author img

By

Published : Aug 15, 2023, 7:53 AM IST

কলকাতা, 15 অগস্ট: আগামী তিন মাসের মধ্যে কলকাতা শহরে শেষ করতে হবে জলাশয় ও পুকুর চিহ্নিতকরণের কাজ। সোমবার সম্পত্তি কর মূল্যায়ন বিভাগের এক বৈঠকে আধিকারিকদের এই দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দেন কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পূর্ব কলকাতার জলাভূমি হোক বা উত্তর, দক্ষিণ, কলকাতার ছোট-বড় ঝিল, পুকুর অধিকাংশই গিয়েছে প্রোমোটারের গ্রাসে। মাথা তুলেছে বহুতল। আর এই ঘটনা নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ কর্মীরাও।

বেলাগাম জলাজমি ভরাটের প্রভাব পড়েছে কলকাতার পরিবেশে। তাই বছরখানেক ধরে নড়ে বসেছে কলকাতা কর্পোরেশন। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা জলাশয় জিআইএস ট্যাগিং করতে হবে। অর্থাৎ সরেজমিনে গিয়ে খতিয়ে দেখে প্রতিটা পুকুর বা জলাশয় চিহ্নিত করতে হবে। দিতে হবে অ্যাসেসমেন্ট নম্বর। যাতে কেউ আর নতুন করে জল জমি বুজিয়ে বাড়ি করতে না-পারে। কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, বছর খানেকের বেশি সময় ধরে এই কাজ চলছে। ইতিমধ্যে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে সব মিলিয়ে 700-র বেশি জলাশয় ও পুকুর জিআইএস ট্যাগ করা হয়েছে।

মিলেছে অ্যাসেসমেন্ট নম্বর। এখনও বিভাগীয় প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে 350-400 জলাশয় ও পুকুর। তবে এখনও প্রায় অর্ধেক কাজ বাকি। তাই জলাশয় চিহ্নিতকরণের কাজে গতি আনতে এইবার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বেঁধে দিলেন মহানাগরিক। আগামী 3 মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে এই কাজ। এই বিষয় এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কলকাতার জমির ক্ষেত্রে অ্যাসেসমেন্ট নম্বর থাকলেও জলাজমি বা পুকুরের ক্ষেত্রে ছিল না। কত বড় পুকুর বা জমি প্রয়োজন হলে সেটা পুরনো নথির উপর ভরসা করতে হত। নথি না-মিললে বা ত্রুটি থাকলে কিছু করা যেত না। বহু ক্ষেত্রেই জলাশয় বুজিয়ে দিলেও ধরা পড়ত না।

তিনি আরও জানান, তবে জিআইএস ট্যাগিং করার মধ্য দিয়ে জলাশয় বা পুকুরের পুঙ্খানপুঙ্খভাবে তথ্য থাকবে সার্ভারে। প্রতি জলজমি বা পুকুরের একটি করে অ্যাসেসমেন্ট নম্বর থাকবে। যাতে জলা জমি নিয়ে কিছু সমস্যা হলে মুহূর্তে মেটানো সম্ভব ৷ দীর্ঘ বছর 10 কলকাতার বহু জলাশয় ও পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। সেখানে বুজিয়ে বহুতল উঠেছে। এই নিয়ে বিস্তর আন্দোলন থানায় অভিযোগ করা, পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবেশ কর্মীরা।

আরও পড়ুন: হকারদের বেআইনি কর্মকাণ্ডে রাশ টানতে বিশেষ নজরদারি সেল কর্পোরেশনের

কলকাতা, 15 অগস্ট: আগামী তিন মাসের মধ্যে কলকাতা শহরে শেষ করতে হবে জলাশয় ও পুকুর চিহ্নিতকরণের কাজ। সোমবার সম্পত্তি কর মূল্যায়ন বিভাগের এক বৈঠকে আধিকারিকদের এই দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দেন কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পূর্ব কলকাতার জলাভূমি হোক বা উত্তর, দক্ষিণ, কলকাতার ছোট-বড় ঝিল, পুকুর অধিকাংশই গিয়েছে প্রোমোটারের গ্রাসে। মাথা তুলেছে বহুতল। আর এই ঘটনা নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ কর্মীরাও।

বেলাগাম জলাজমি ভরাটের প্রভাব পড়েছে কলকাতার পরিবেশে। তাই বছরখানেক ধরে নড়ে বসেছে কলকাতা কর্পোরেশন। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা জলাশয় জিআইএস ট্যাগিং করতে হবে। অর্থাৎ সরেজমিনে গিয়ে খতিয়ে দেখে প্রতিটা পুকুর বা জলাশয় চিহ্নিত করতে হবে। দিতে হবে অ্যাসেসমেন্ট নম্বর। যাতে কেউ আর নতুন করে জল জমি বুজিয়ে বাড়ি করতে না-পারে। কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, বছর খানেকের বেশি সময় ধরে এই কাজ চলছে। ইতিমধ্যে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে সব মিলিয়ে 700-র বেশি জলাশয় ও পুকুর জিআইএস ট্যাগ করা হয়েছে।

মিলেছে অ্যাসেসমেন্ট নম্বর। এখনও বিভাগীয় প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে 350-400 জলাশয় ও পুকুর। তবে এখনও প্রায় অর্ধেক কাজ বাকি। তাই জলাশয় চিহ্নিতকরণের কাজে গতি আনতে এইবার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বেঁধে দিলেন মহানাগরিক। আগামী 3 মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে এই কাজ। এই বিষয় এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কলকাতার জমির ক্ষেত্রে অ্যাসেসমেন্ট নম্বর থাকলেও জলাজমি বা পুকুরের ক্ষেত্রে ছিল না। কত বড় পুকুর বা জমি প্রয়োজন হলে সেটা পুরনো নথির উপর ভরসা করতে হত। নথি না-মিললে বা ত্রুটি থাকলে কিছু করা যেত না। বহু ক্ষেত্রেই জলাশয় বুজিয়ে দিলেও ধরা পড়ত না।

তিনি আরও জানান, তবে জিআইএস ট্যাগিং করার মধ্য দিয়ে জলাশয় বা পুকুরের পুঙ্খানপুঙ্খভাবে তথ্য থাকবে সার্ভারে। প্রতি জলজমি বা পুকুরের একটি করে অ্যাসেসমেন্ট নম্বর থাকবে। যাতে জলা জমি নিয়ে কিছু সমস্যা হলে মুহূর্তে মেটানো সম্ভব ৷ দীর্ঘ বছর 10 কলকাতার বহু জলাশয় ও পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। সেখানে বুজিয়ে বহুতল উঠেছে। এই নিয়ে বিস্তর আন্দোলন থানায় অভিযোগ করা, পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবেশ কর্মীরা।

আরও পড়ুন: হকারদের বেআইনি কর্মকাণ্ডে রাশ টানতে বিশেষ নজরদারি সেল কর্পোরেশনের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.