কলকাতা, 18 মার্চ: সরকারি কর্মীদের ডিএ আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক যে কোনও ইস্যুতেই মুখ খুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূলের শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) । তার জেরে অনেক ক্ষেত্রেই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে দলকে । সূত্রের খবর, এই নিয়ে কালীঘাটে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ধমক খেতে হয়েছে ববিকে। পাশাপাশি এও শোনা গিয়েছে তাঁকে কলকাতা পৌরনিগমের বাইরে অন্য কোনও ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করতে লাগাম টানতে বলা হয়েছে । এবার সেই নির্দেশে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ফিরহাদ ৷ তাও আবার রবীন্দ্র সংগীত (Rabindra Sangeet) অবলম্বন করে ।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, "কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সংগীতহারা... ৷" এর পর তিনি বলেন, আমি কলকাতা পৌরনিগমের বিষয় ছাড়া কোনও মন্তব্য করব না । যাঁরা দলের মুখপত্র তারাই বলবেন ।" সাগরদিঘি বিধানসভায় বড় ব্যবধানে হারের পর সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দেয় তৃণমূল নেতৃত্বের । তাই সামনে পঞ্চায়েতে যাতে সংখ্যালঘু ভোট হাতছাড়া না-হয় সে বিষয়ে সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে বৈঠকে বসেন । এই বৈঠকেই পঞ্চায়েতে প্রাথমিক পরিকল্পনা ঠিক হয় । পাশাপশি জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বে রদবদল আনেন । বীরভূম জেলার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে রাখেন ।
এদিকে ফিরহাদের হাতছাড়া হয় মালদা ও মুর্শিদাবাদ । তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রিয় ববিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "ববি তুই বেশি কথা বলছিস । পৌরনিগম নিয়ে বলবি । তার বাইরে কোনও বিষয় তোকে কথা বলতে হবে না । বলার আগে আমায় জিজ্ঞাসা করে নিবি এটা যেন মনে থাকে ।" এরপরেই শনিবার রাজনৈতিক বিষয় প্রশ্ন করা হলে দিদির নির্দেশ মুখে না-এনেই রবীন্দ্র সংগীতের মাধ্যমে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি। সূত্রের খবর, শুধু ফিরহাদ হাকিম নয়, বেশ কয়েকজন সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা নিয়ে সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েছেন। যদিও ঘনিষ্ঠ মহলের তরফে জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধমকের সুরে বললেও বাস্তবে তাঁর মুখ খোলা নিয়ে দলের তরফে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই ।
আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে হারলেও সংখ্যালঘুদের সমর্থন হারায়নি তৃণমূল, বৈঠকে বার্তা মমতার