কলকাতা, 1 জানুয়ারি : বছর শুরুর দিনেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ৷ দমদম বিমানবন্দর সংলগ্ন কৈখালিতে একটি রংয়ের গুদামে আগুন লাগে (Kaikhali Godown Fire) ৷ ঘটনাস্থলে 18টি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা ৷ তবে সেই কাজে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদের ৷ কারণ, সময় যত এগিয়েছে, ততই বেড়েছে আগুনের লেলিহান শিখার দৈর্ঘ্য ৷ রংয়ের কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও তার আগেই তা ছড়িয়ে পরে পাশের একটি গেঞ্জি কারখানায় ৷ যা এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ৷
মৃত ব্যক্তির নাম কানায় সাঁতরা। বয়স ৫২ বছর। তিনি ওই কারখানার নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। সকালে আগুন লাগার পর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা বলছিলেন, যে একজন ব্যক্তি গুদামে আটকে পড়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান যে তাঁরা বাঁচাও-বাঁচাও আওয়াজ শুনেছিলেন। কিন্তু দমকল দফতরের প্রথম কোনও মৃত্যুর ঘটনার কথা না-জানানো হলেও বিকেল পাঁচটা নাগাদ এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেন দমকল কর্মীরা। তাঁর দেহ পুরো ঝলসে গিয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : Alipurduar Flyover Fire : ফ্লাইওভারের নিচে পুড়ছে মানুষ, ভয়ানক দৃশ্যের সাক্ষী আলিপুরদুয়ার
দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগে থাকতে পারে ৷ রংয়ের গুদাম হওয়ায় ভিতরে অনেক রাসায়নিক মজুত ছিল ৷ তাতে আগুন আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ৷ তবে উদ্ধারকাজে যাতে দেরি না-হয়, তার জন্য আগেভাগেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ৷ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং স্থানীয় বিধায়ক অদিতি মুন্সি ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সকাল এগারোটা নাগাদ তাঁরা প্রথম আগুন দেখতে পান ৷ তাঁরাই দমকলে খবর দেন ৷
আরও পড়ুন : Haldia IOC Fire : হলদিয়া আইওসি-র ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত হবে, আশ্বাস পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর