কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি: ফের অগ্নিকাণ্ড শহরে ৷ মঙ্গলবার বেলা বারোটা নাগাদ আগুন লাগে বড়বাজারের (Bara Bazar) ঘিঞ্জি এলাকায় একটি প্লাস্টিকের কারখানায়। সেখানে মূলত জরি, পুঁতি, চুমকি প্রভৃতি তৈরি হত বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দমকল সূত্রে খবর (Fire breaks out in a plastic factory at Bara Bazar)।
এদিন বড়বাজারের মালাপাড়া এলাকার 3বি, দর্পনারায়ণ ঠাকুর স্ট্রিটের একটি বাড়িতে আগুন লাগে। ওই বাড়িতেই তৈরি হত জরি, পুঁতি, চুমকি প্রভৃতি ৷ আগুন ছড়িয়ে পড়তেই খবর যায় দমকলে। দ্রুত দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। তবে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় দমকল আধিকারিকদের। তার উপর ব্য়স্ত সময় হওয়ায় আগুন লাগার খবর পেতেই সাধারণ মানুষ ঘটনাস্থলে জড়ো হতে থাকেন।
স্থানীয় এক দোকানকর্মী জানান, বেলা বারোটার দিকে হঠাৎ করে দর্পনারায়ণ ঠাকুর স্টিটের বাড়িতে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাওয়া যায়। প্লাস্টিক থেকে জরি, পুঁতি ও চুমকি তৈরি হওয়ায় সেখানে প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিক মজুত ছিল। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে দমকল সূত্রে খবর, বেলা আড়াইটে পর্যন্ত ওই বাড়িতে ভিতরে কাউকে আটকে থাকার খবর পাওয়া যায়নি। ফলে এই আগুনে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হলেও জখম বা হতাহতের খবর মেলেনি। তবে বিশাল অংকের ব্যবসায়িক ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাইপাসের ধারে মেডিকা হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে তিনটি ইঞ্জিন
এদিকে বড়বাজারের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্বভাবতই স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারণ, ওই এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি এখনও দগদগে সাধারণ মানুষের মধ্যে ৷ এর আগে বড়বাজারের এক প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। তারও আগে বাগরি মার্কেটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকদিন ধরে আগুন নেভাতে হয়েছিল দমকল কর্মীদের।