ETV Bharat / state

বাংলার মনীষীদের অপমানের অভিযোগ, রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে FIR

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গানকে বিকৃত করে কিছুদিন আগে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছিলেন রোদ্দুর । রবীন্দ্রভারতীর দোল উৎসবে দেখা যায় সেই বিকৃত গানের লাইন আবির দিয়ে লিখে ছবি তুলেছেন কয়েকজন যুবতি । তার সঙ্গে আরও নানা বিকৃত সব শব্দ পোশাকে এবং খোলা পিঠে লিখে ছবি তোলা হয় । সেই ছবি ছড়িয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায় । যা দেখে রবীন্দ্রভারতীর প্রাক্তনীদের একাংশ সরব হন । তারপরই আলোচনায় চলে আসে রোদ্দুর রায়ের নাম ।

Raddur roy
রোদ্দুর রায়
author img

By

Published : Mar 10, 2020, 7:35 PM IST

কলকাতা , 10 মার্চ : সোশাল মিডিয়াতে রোদ্দুর রায়-কে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছিল অনেক আগেই । তিনি বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করছেন বলে নেটিজ়েনদের একাংশের দাবি । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম সম্পর্কেও অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করছেন সোশাল মিডিয়ায় । এবার তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ল বেলেঘাটা থানায় । পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে দোল উৎসব । সোশাল মিডিয়ায় দেখা যায় সেই দোল উৎসবের বেশ কিছু ছবি । এক ঘণ্টাতেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় একটি ভিডিয়ো । কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গানকে বিকৃত করে কিছুদিন আগে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছিলেন রোদ্দুর । রবীন্দ্রভারতীর দোল উৎসবে দেখা যায় সেই বিকৃত গানের লাইন আবির দিয়ে চিঠি লিখে ছবি তুলেছেন কয়েকজন যুবতি । তার সঙ্গে আরও নানা বিকৃত সব শব্দ পোশাকে এবং খোলা পিঠে লিখে ছবি তোলা হয় । সেই ছবি ছড়িয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায় । যা দেখে রবীন্দ্রভারতীর প্রাক্তনীদের একাংশ সরব হন । তারপরই আলোচনায় চলে আসে রোদ্দুর রায়ের নাম । নেটিজ়েনদের একটা বড় অংশ সোশাল মিডিয়ায় সরব হয় । অবিলম্বে রোদ্দুরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানায় ।

আজ পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন । তাতে লিখেছেন, “শিক্ষক সংগঠনের হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সমাজ এবং সংস্কৃতি-কৃষ্টিকে রক্ষা করা । কারণ শিক্ষকেরা সমাজ গড়ার কারিগর । দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, নিজেকে আধুনিক সংস্কৃতির রূপকার বলে দাবি করা রোদ্দুর রায় তাঁর লেখা অথবা গানের মাধ্যমে সোশাল মিডিয়াতে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে বাংলার সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে কলুষিত করেন । সমাজ ও ছাত্র যৌবনকে এবং আগামী প্রজন্মকে অপসংস্কৃতি ও অন্ধকারের দিকে পরিকল্পিতভাবে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন । যা আগামী প্রজন্মকে ক্ষতি করছে এবং করবে বলে আমরা মনে করি । রোদ্দুর রায়ের অবশ্যই বাক-স্বাধীনতা থাকবে, তার মানে এই নয় যে গান এবং কবিতাতে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে প্রকাশ্যে অপসংস্কৃতি ছড়াবে । এমনকী বাংলার যে সকল মনীষী বিশ্বের দরবারে বাংলাকে তুলে ধরেছেন, সেই সকল মনীষীদের নামে অশ্রাব্য গালিগালাজ করছেন প্রকাশ্যে । ফলস্বরূপ রবীন্দ্রভারতীতে ছাত্র-ছাত্রীদের আচরণ বাংলা তথা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে । আমার এই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে বাধিত থাকব ।" এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও মামলা শুরু করা হয়েছে কি না তা অবশ্য জানায়নি লালবাজার ।

কলকাতা , 10 মার্চ : সোশাল মিডিয়াতে রোদ্দুর রায়-কে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছিল অনেক আগেই । তিনি বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করছেন বলে নেটিজ়েনদের একাংশের দাবি । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম সম্পর্কেও অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করছেন সোশাল মিডিয়ায় । এবার তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ল বেলেঘাটা থানায় । পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে দোল উৎসব । সোশাল মিডিয়ায় দেখা যায় সেই দোল উৎসবের বেশ কিছু ছবি । এক ঘণ্টাতেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় একটি ভিডিয়ো । কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গানকে বিকৃত করে কিছুদিন আগে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছিলেন রোদ্দুর । রবীন্দ্রভারতীর দোল উৎসবে দেখা যায় সেই বিকৃত গানের লাইন আবির দিয়ে চিঠি লিখে ছবি তুলেছেন কয়েকজন যুবতি । তার সঙ্গে আরও নানা বিকৃত সব শব্দ পোশাকে এবং খোলা পিঠে লিখে ছবি তোলা হয় । সেই ছবি ছড়িয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায় । যা দেখে রবীন্দ্রভারতীর প্রাক্তনীদের একাংশ সরব হন । তারপরই আলোচনায় চলে আসে রোদ্দুর রায়ের নাম । নেটিজ়েনদের একটা বড় অংশ সোশাল মিডিয়ায় সরব হয় । অবিলম্বে রোদ্দুরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানায় ।

আজ পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন । তাতে লিখেছেন, “শিক্ষক সংগঠনের হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সমাজ এবং সংস্কৃতি-কৃষ্টিকে রক্ষা করা । কারণ শিক্ষকেরা সমাজ গড়ার কারিগর । দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, নিজেকে আধুনিক সংস্কৃতির রূপকার বলে দাবি করা রোদ্দুর রায় তাঁর লেখা অথবা গানের মাধ্যমে সোশাল মিডিয়াতে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে বাংলার সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে কলুষিত করেন । সমাজ ও ছাত্র যৌবনকে এবং আগামী প্রজন্মকে অপসংস্কৃতি ও অন্ধকারের দিকে পরিকল্পিতভাবে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন । যা আগামী প্রজন্মকে ক্ষতি করছে এবং করবে বলে আমরা মনে করি । রোদ্দুর রায়ের অবশ্যই বাক-স্বাধীনতা থাকবে, তার মানে এই নয় যে গান এবং কবিতাতে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে প্রকাশ্যে অপসংস্কৃতি ছড়াবে । এমনকী বাংলার যে সকল মনীষী বিশ্বের দরবারে বাংলাকে তুলে ধরেছেন, সেই সকল মনীষীদের নামে অশ্রাব্য গালিগালাজ করছেন প্রকাশ্যে । ফলস্বরূপ রবীন্দ্রভারতীতে ছাত্র-ছাত্রীদের আচরণ বাংলা তথা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে । আমার এই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে বাধিত থাকব ।" এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও মামলা শুরু করা হয়েছে কি না তা অবশ্য জানায়নি লালবাজার ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.