কলকাতা, 10 নভেম্বর: রাজ্যে এই প্রথম নিজেদের পছন্দের সময়ে কৃষকরা সরাসরি খাদ্য দফতরের কাছে ধান বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন ৷ রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগ চলতি বছরে কৃষকদের থেকে ধান কেনার প্রক্রিয়া 1 নভেম্বর থেকে শুরু করেছে । চলবে টানা এক মাস । কৃষকদের থেকে সরাসরি 55 লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন (West Bengal Paddy Procurement) ।
খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, কৃষকরা তাঁদের নিজ নিজ জেলার নিকটতম ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রির জন্য তাঁদের সুবিধা মতো সময়সূচি ঠিক করতে পারবেন । কৃষকরা আগামী 30 দিনের মধ্যে স্লটের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে যেকোনও ক্রয় কেন্দ্র বেছে নিতে পারেন । আরও জানা গিয়েছে, যদি কোনও কৃষক নির্ধারিত দিনে তার ধান বিক্রি করতে ব্যর্থ হন, তবে তিনি নির্ধারিত তারিখের 10 দিন পরে আবার সময়সূচি ঠিক করতে পারবেন । প্রয়োজনে সময়সূচিও পরিবর্তন ও যে কোনও পরবর্তী উপলব্ধ তারিখ বেছে নিতে পারবেন তিনি (farmers can sell their paddy according to their convenient time in West Bengal)।
আরও পড়ুন: বাগডোগরায় যুদ্ধবিমানের জরুরি অবতরণে ক্ষতিগ্রস্ত রানওয়ে, বাতিল একাধিক বিমান
এর জন্য খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের সাইটে গিয়েও তারিখ নির্ধারণ করা যাবে ৷ খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের তরফে ইতিমধ্যে জেলার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে এই বার্তা দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে । ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) প্রতি কুইন্টাল 2 হাজার 40 টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে । সিপিসি (কেন্দ্রীকৃত ক্রয় কেন্দ্র), ডিপিসি (বিকেন্দ্রীকৃত ক্রয় কেন্দ্র) এবং মোবাইল সিপিসিগুলিতে ধান বিক্রি করলে কৃষকদের প্রতি কুইন্টালে 20 টাকা অতিরিক্ত দিচ্ছে রাজ্য সরকার ।
খাদ্য বিভাগ এই বছর প্রথমবারের মতো মোবাইল সিপিসি চালু করার পরিকল্পনা করেছে । যা প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকদের দোরগোড়ায় পরিষেবা পৌঁছে দেবে । ফলে সেখানকার কৃষকদের ধান বিক্রি করতে সুবিধা হবে ৷ মনে করা হচ্ছে, রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক যাঁরা ধান বিক্রির জন্য সিপিসিতে পৌঁছাতে পারে না, এই মোবাইল সিপিসিগুলি অনুমোদন পেলে তাঁদেরও সুবিধা হবে ৷