কলকাতা, 2 ফেব্রুয়ারি: বিশ্বমঞ্চে কাপজয়ী তিন বঙ্গতনয়া ৷ বিশ্বজয় করে শিলিগুড়ির বাসিন্দা রিচা যোগ দিয়েছেন সিনিয়র টিমে । এদিন ঘরে ফিরলেন চুঁচুড়ার তিতাস ও হাওড়ার হৃষিতা । বৃহস্পতিবার দুপুরে আমেদাবাদ থেকে শহরে ফিরলেন অনূর্ধ্ব-19 মহিলা বিশ্বকাপজয়ী তিতাস সাধু ও হৃষিতা বসু (Titas Sadhu and Hrishita Basu return to WB) ।
তাঁদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস । তিনি বলেন, "এর থেকে বড় আনন্দের আর গর্বের কিছু হয় না । সেই দলে আমাদের বাংলার চারজন রয়েছে । তিনজন প্লেয়ার, একজন বোলিং কোচ । তাঁরা যেভাবে ভারতবর্ষকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে, তার জন্য বাংলার মানুষ হিসেবে, ভারতীয় হিসেবে অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের ছোট ছোট মেয়েরা যেভাবে লড়াই করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এটা তাঁদের কাছে শেখার। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তাঁদের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল। আগামিদিনে সিনিয়র টিমে খেলবে, ভারত আবার মহিলা ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হবে (Fans in joy as Titas Sadhu Hrishita Basu return to WB) ।"
তিতাস সাধু (Titas Sadhu) বলেন, "মহিলা ক্রিকেটে এটা খুবই প্রয়োজন ছিল। ওয়ার্ল্ড কাপটা যে আমরা আনতে পেরেছি, তার জন্য আমরা গর্বিত । আমি তো শুধু নিজের পারফরম্যান্স করার জন্য নামিনি। আমি চেয়েছিলাম যতটা বেশি কন্ট্রিবিউট করতে পারি টিমকে জেতানোর জন্য । তারপর 'ম্যান অফ দ্য ম্যাচ' হতে পেরে খুব খুশি। পরের লক্ষ্য হবে আইপিএল, তারপরে সিনিয়র টিমে খেলা। আমার এই সাফল্য সবাইকে ডেডিকেট করতে চাই, যারা ছোটবেলা থেকে আমার সঙ্গে প্র্যাকটিস করে এসেছে।"
আরও পড়ুন: 'বাচ্চা মেয়েগুলোকে স্বপ্ন দেখিয়েছ তোমরাই', সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেফালিদের বললেন মাস্টার-ব্লাস্টার
আমেদাবাদে বিশ্বজয়ী দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিসিসিআই'য়ের তরফে । ছোটদের বরণ করে নিতে উপস্থিত ছিলেন লিটল মাস্টার । সচিন তেনডুলকরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সবাইকে সচিন স্যর এটাই জিজ্ঞাসা করছিলেন, ওখানে কী শিখতে পেরেছি ।"
আরও পড়ুন: ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নয়নে 3397 কোটি টাকা বরাদ্দ বাজেটে
হৃষিতা বসু (Hrishita Basu) বলেন, "ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে । আমাদের টিমের প্রত্যেকে বিশ্বাস করেছে, আমরা ট্রফি নিয়েই আসব । যেটা আমরা ভেবেছিলাম সেটাই আমরা করেছি । ইংল্যান্ড এত কম রানে আউট হয়ে যাবে ভাবিনি ।"