ETV Bharat / state

সাবধান, ফেস অ্যাপ ব্যবহারে মুহূর্তেই হারাতে পারেন প্রাইভেসি

author img

By

Published : Jul 18, 2019, 5:15 PM IST

Updated : Jul 18, 2019, 7:58 PM IST

ফেস অ্যাপ ব্যবহার থেকে সাবধান । মজা করতে গিয়ে হারাতে পারেন আপনার প্রাইভেসি । ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য, ফোন নম্বর, ঠিকানা, ছবি সবকিছু মুহূর্তেই চলে যেতে পারে অন্যের হাতে ।

ফাইল ফোটো

কলকাতা, 18 এপ্রিল : ইদানিং এই নতুন অ্যাপে মজেছেন অনেকে । অ্যাপটিতে নিজের ছবি আপলোড করে ক্লিক করুন । বার্ধক্যে কেমন দেখতে হবেন, তা মুহূর্তেই মোবাইলে স্ক্রিনে হাজির হচ্ছে । যখন বয়স বাড়বে তখন কেমন হবে স্কিন টোন, চুলের রং তাই নিয়েই মজে নেটিজেনরা । তবে সাবধান । আপনি যখন দৃষ্টিসুখে বিভোর তখন একে একে আপনার সব তথ্য মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যেতে পারে ।

কী এই ফেস অ্যাপ :

  • মূলত একটি মজার অ্যাপ ।
  • এর মাধ্যমে আপনি বয়সকালে কেমন দেখতে হবেন তা দেখা যায়।
  • এমন কী পরিবর্তন করতে পারেন স্কিন টোন, চুলের রং ।
  • অল্প বয়সে কেমন দেখতে হবেন তা দেখা যায় ।
  • পুরুষের বদলে পরিবর্তন করে স্ত্রীর মুখও করা যেতে পারে ।

কতটা নিরাপদ এই অ্যাপ :

তবে এই ফেস অ্যাপ কতটা নিরাপদ তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন । ইন্ডিয়ান স্কুল অব এথিক্যাল হ্যাকিংয়ের অধিকর্তা সন্দীপ সেনগুপ্ত বলছেন,

  • আপাতদৃষ্টিতে এই অ্যাপটিতে মজে রয়েছে মানুষজন । তবে মজার ছলে আপনার সমস্ত গোপনীয় তথ্য তাদের হাতে চলে যেতে পারে । ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য, ফোন নম্বর, ঠিকানা, ছবি সবকিছু মুহূর্তেই চলে যেতে পারে অন্যের হাতে ।
  • ফেস অ্যাপে শুধুমাত্র বয়স বাড়ানো কমানো নয়, স্কিন টোন, চুলের রং পরিবর্তন করা যেতে পারে । তবে যে সংস্থা এই অ্যাপ বাজারে এনেছে তারা প্রচুর ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করছে এই অ্যাপের মাধ্যমে ।
  • আজকাল অনেকে ফেস রিকগনিশনের মাধ্যমে ল্যাপটপ বা ফোন খোলেন । তাই আমাদের ফেস শুধুমাত্র আমাদের পরিচিতি নয় এটা আমাদের ডিভাইসের পাসওয়ার্ডও । এটা শুধু ফেসের ডেটাবেস নয় পাসওয়ার্ডেরও ডেটাবেস । এই ডেটাবেসের মাধ্যমে একজনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে ।
  • বৃহত্তর ক্ষেত্রে এতে দেশের নিরাপত্তাতেও সমস্যা তৈরি করতে পারে । তাই সামান্য মজার জন্য নিজের প্রাইভেশি নষ্ট করার আগে ব্যবহারকারীদের দু'বার ভাবা উচিত । আমরা যখন এই অ্যাপ ইনস্টল করছি তখন আমাদের ফোটো গ্যালারি বা ক্যামেরায় অ্যাকসেস পাচ্ছে । এমন নয় তো, এই অ্যাপটি আমাদের গ্যালারি থেকে সব ছবি তোলা শুরু করেছে ।
    দেখুন ভিডিয়ো
  • আজকাল গুগলের অ্যাপ স্টোরে অনেক অ্যাপই ম্যালওয়ার ছাড়া আর কিছু নয় । তাই এই অ্যাপ এতটাই জরুরি নয় যে আগামী দশবছর পর কেমন দেখতে হতে পারে সেজন্য আমরা আমাদের গোপনীয়তা, পাসওয়ার্ড সব দিয়ে দেব ।
  • তাহলে কি এই অ্যাপ ব্যবহার করা উচিত ? বিশেষজ্ঞদের মতে, সামান্য মজা ছাড়া এই অ্যাপ কিছু দেয় না । এটা ব্যবহার করে তেমন কোনও মহৎ কার্যসিদ্ধি হচ্ছে না । তাই এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে এই অ্যাপটিকে ।
  • এছাড়া এগুলি সব থার্ড পার্টি হ্যাকিং অ্যাপ । এরা এইসব তথ্যকে নাশকতামূলক কাজেও ব্যবহার করতে পারে ।

তাই নিজেকে বয়স্ক দেখার মজায় আপনি হারাতে পারেন আপনার গোপন তথ্য । সাবধান ।

কলকাতা, 18 এপ্রিল : ইদানিং এই নতুন অ্যাপে মজেছেন অনেকে । অ্যাপটিতে নিজের ছবি আপলোড করে ক্লিক করুন । বার্ধক্যে কেমন দেখতে হবেন, তা মুহূর্তেই মোবাইলে স্ক্রিনে হাজির হচ্ছে । যখন বয়স বাড়বে তখন কেমন হবে স্কিন টোন, চুলের রং তাই নিয়েই মজে নেটিজেনরা । তবে সাবধান । আপনি যখন দৃষ্টিসুখে বিভোর তখন একে একে আপনার সব তথ্য মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যেতে পারে ।

কী এই ফেস অ্যাপ :

  • মূলত একটি মজার অ্যাপ ।
  • এর মাধ্যমে আপনি বয়সকালে কেমন দেখতে হবেন তা দেখা যায়।
  • এমন কী পরিবর্তন করতে পারেন স্কিন টোন, চুলের রং ।
  • অল্প বয়সে কেমন দেখতে হবেন তা দেখা যায় ।
  • পুরুষের বদলে পরিবর্তন করে স্ত্রীর মুখও করা যেতে পারে ।

কতটা নিরাপদ এই অ্যাপ :

তবে এই ফেস অ্যাপ কতটা নিরাপদ তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন । ইন্ডিয়ান স্কুল অব এথিক্যাল হ্যাকিংয়ের অধিকর্তা সন্দীপ সেনগুপ্ত বলছেন,

  • আপাতদৃষ্টিতে এই অ্যাপটিতে মজে রয়েছে মানুষজন । তবে মজার ছলে আপনার সমস্ত গোপনীয় তথ্য তাদের হাতে চলে যেতে পারে । ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য, ফোন নম্বর, ঠিকানা, ছবি সবকিছু মুহূর্তেই চলে যেতে পারে অন্যের হাতে ।
  • ফেস অ্যাপে শুধুমাত্র বয়স বাড়ানো কমানো নয়, স্কিন টোন, চুলের রং পরিবর্তন করা যেতে পারে । তবে যে সংস্থা এই অ্যাপ বাজারে এনেছে তারা প্রচুর ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করছে এই অ্যাপের মাধ্যমে ।
  • আজকাল অনেকে ফেস রিকগনিশনের মাধ্যমে ল্যাপটপ বা ফোন খোলেন । তাই আমাদের ফেস শুধুমাত্র আমাদের পরিচিতি নয় এটা আমাদের ডিভাইসের পাসওয়ার্ডও । এটা শুধু ফেসের ডেটাবেস নয় পাসওয়ার্ডেরও ডেটাবেস । এই ডেটাবেসের মাধ্যমে একজনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে ।
  • বৃহত্তর ক্ষেত্রে এতে দেশের নিরাপত্তাতেও সমস্যা তৈরি করতে পারে । তাই সামান্য মজার জন্য নিজের প্রাইভেশি নষ্ট করার আগে ব্যবহারকারীদের দু'বার ভাবা উচিত । আমরা যখন এই অ্যাপ ইনস্টল করছি তখন আমাদের ফোটো গ্যালারি বা ক্যামেরায় অ্যাকসেস পাচ্ছে । এমন নয় তো, এই অ্যাপটি আমাদের গ্যালারি থেকে সব ছবি তোলা শুরু করেছে ।
    দেখুন ভিডিয়ো
  • আজকাল গুগলের অ্যাপ স্টোরে অনেক অ্যাপই ম্যালওয়ার ছাড়া আর কিছু নয় । তাই এই অ্যাপ এতটাই জরুরি নয় যে আগামী দশবছর পর কেমন দেখতে হতে পারে সেজন্য আমরা আমাদের গোপনীয়তা, পাসওয়ার্ড সব দিয়ে দেব ।
  • তাহলে কি এই অ্যাপ ব্যবহার করা উচিত ? বিশেষজ্ঞদের মতে, সামান্য মজা ছাড়া এই অ্যাপ কিছু দেয় না । এটা ব্যবহার করে তেমন কোনও মহৎ কার্যসিদ্ধি হচ্ছে না । তাই এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে এই অ্যাপটিকে ।
  • এছাড়া এগুলি সব থার্ড পার্টি হ্যাকিং অ্যাপ । এরা এইসব তথ্যকে নাশকতামূলক কাজেও ব্যবহার করতে পারে ।

তাই নিজেকে বয়স্ক দেখার মজায় আপনি হারাতে পারেন আপনার গোপন তথ্য । সাবধান ।

Intro: A new fun tool named 'faceapp' has taken the social media by storm. Looks like almost everyone is going gaga over the app. Though this app has been doing the rounds for a while now, however, the faceapp fever is high again.Body:So let's find out what is faceapp? According to experts with the help of this app the users can transform their faces to look 40 or 50 years older or younger than their age. This can also be used to look fairer or darker. The app can also help make funny faces.

Though a fun thing but the security experts warn against using this app as this might come with a cost.

Kolkata based cyber security expert Sandip Sengupta says, "You download the free app and start the game of altering your age. Apparently a harmless looking pleasure app might just get all your personal information and access them too. We all know that many of us use our own faces, face recognistion method, as passwords to open our personal laptops or mobile phones. To me it looks like that they're making a database of passwords that can lead to identity theft. Even the hackers world wide can try and access those person-related data or personal information."

This can also lead to sensitive particulars like bank account details, address, phone numbers and photographers getting leaked.

Thus, having so many faces on faceapp database it enables an app developed by an overseas IT assemblage to play around with millions of passwords.

When asked how safe is to use this app pat came his reply, "You could be giving access to your personal information. Hence, I feel that since this is not an utility app there is no need to use them for some excitement.Conclusion:These are all third party apps with a history of getting hacked at some point in time. The bottomline is none of these free third party not-so-serious apps guarantee its users total information secuity, according to experts.

Last Updated : Jul 18, 2019, 7:58 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.