কলকাতা, 25 ডিসেম্বর: "কোন আইনি যুক্তিতে সমাবর্তন হয়েছে ?" এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে রিপোর্ট তলব করতে পারেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস । সোমবার রাজভবন সূত্রের দাবি, "আজ বেলা সাড়ে 12টা নাগাদ রাজ্যপালের আইন পরামর্শদাতা এবং তাঁর সেক্রেটারিকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল । মূলত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, তার আর্থিক খরচ, অপসারণ করার পরও কিভাবে বুদ্ধদেব সাউ সমাবর্তন মঞ্চে উপস্থিত থাকেন এবং সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের থেকে জানতে চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে । আজকের মধ্যেই এই রিপোর্ট তলবের চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু হাতে পাবেন ।"
শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতরের যৌথ প্রচেষ্টায় পূর্ব নির্ধারিত দিনেই সমাবর্তন করার আগেই অন্তর্বর্তীর উপাচার্যকে অপসারণ করা কতটা আইনত যুক্তিসঙ্গত ? সেই বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল তাঁর আইনি পরামর্শদাতা ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন বলেই জানা গিয়েছে । কারণ, অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়ে রাজ্য সরকারের করা মামলা এই মুহূর্তে বিশ্ব আদালতে বিচারাধীন । সেই মামলার শনিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রাজ্যপাল তথা আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না । ফলে, আচমকাই যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্যর অপসারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
এদিকে গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় । আমন্ত্রিতদের তালিকায় অনুপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান জগদীশ কুমার মামিডালা, আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । এমনকি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও অনুপস্থিত ছিলেন । সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল অপসারিত অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ সার্টিফিকেট হাতে তুলে না দিলেও অনুষ্ঠানের সূচনা তাঁর হাত দিয়েই হয় । এদিকে আইনি জটিলতার কারণে কোর্ট বৈঠককে অনুমতি দেননি রাজ্যপাল তথা আচার্য । তারপরও কিভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই সামগ্রিক বিষয় নিয়ে রিপোর্ট তলব হতে পারে আজকেই ।
আরও পড়ুন: