ETV Bharat / state

কোন আইনি যুক্তিতে সমাবর্তন, যাদবপুরের রেজিস্ট্রারের কাছে রিপোর্ট তলব করতে পারেন রাজ্যপাল - Jadavpur University Convocation

Jadavpur University Convocation: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন আইনি যুক্তিতে সমাবর্তন হল, এই নিয়ে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর কাছে রিপোর্ট চাইতে পারেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস ৷ সোমবার রাজভবন সূত্রে এমন খবর পাওয়া গিয়েছে ৷

Jadavpur University Convocation
Jadavpur University Convocation
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 25, 2023, 2:09 PM IST

কলকাতা, 25 ডিসেম্বর: "কোন আইনি যুক্তিতে সমাবর্তন হয়েছে ?" এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে রিপোর্ট তলব করতে পারেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস । সোমবার রাজভবন সূত্রের দাবি, "আজ বেলা সাড়ে 12টা নাগাদ রাজ্যপালের আইন পরামর্শদাতা এবং তাঁর সেক্রেটারিকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল । মূলত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, তার আর্থিক খরচ, অপসারণ করার পরও কিভাবে বুদ্ধদেব সাউ সমাবর্তন মঞ্চে উপস্থিত থাকেন এবং সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের থেকে জানতে চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে । আজকের মধ্যেই এই রিপোর্ট তলবের চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু হাতে পাবেন ।"

শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতরের যৌথ প্রচেষ্টায় পূর্ব নির্ধারিত দিনেই সমাবর্তন করার আগেই অন্তর্বর্তীর উপাচার্যকে অপসারণ করা কতটা আইনত যুক্তিসঙ্গত ? সেই বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল তাঁর আইনি পরামর্শদাতা ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন বলেই জানা গিয়েছে । কারণ, অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়ে রাজ্য সরকারের করা মামলা এই মুহূর্তে বিশ্ব আদালতে বিচারাধীন । সেই মামলার শনিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রাজ্যপাল তথা আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না । ফলে, আচমকাই যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্যর অপসারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।

এদিকে গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় । আমন্ত্রিতদের তালিকায় অনুপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান জগদীশ কুমার মামিডালা, আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । এমনকি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও অনুপস্থিত ছিলেন । সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল অপসারিত অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ সার্টিফিকেট হাতে তুলে না দিলেও অনুষ্ঠানের সূচনা তাঁর হাত দিয়েই হয় । এদিকে আইনি জটিলতার কারণে কোর্ট বৈঠককে অনুমতি দেননি রাজ্যপাল তথা আচার্য । তারপরও কিভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই সামগ্রিক বিষয় নিয়ে রিপোর্ট তলব হতে পারে আজকেই ।

আরও পড়ুন:

  1. যাদবপুরের সমাবর্তন নষ্ট করার চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর থেকে হাতেখড়ি নেওয়া রাজ্যপালের, বিস্ফোরক সুজন
  2. বুদ্ধদেব সাউয়ের ভবিষ্যৎ কী? সমাবর্তন হলেও যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা
  3. রাজ্যপালকে বুড়ো আঙুল, বারণ না শুনে যাদবপুরে চলছে 66তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান

কলকাতা, 25 ডিসেম্বর: "কোন আইনি যুক্তিতে সমাবর্তন হয়েছে ?" এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে রিপোর্ট তলব করতে পারেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস । সোমবার রাজভবন সূত্রের দাবি, "আজ বেলা সাড়ে 12টা নাগাদ রাজ্যপালের আইন পরামর্শদাতা এবং তাঁর সেক্রেটারিকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল । মূলত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, তার আর্থিক খরচ, অপসারণ করার পরও কিভাবে বুদ্ধদেব সাউ সমাবর্তন মঞ্চে উপস্থিত থাকেন এবং সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের থেকে জানতে চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে । আজকের মধ্যেই এই রিপোর্ট তলবের চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু হাতে পাবেন ।"

শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতরের যৌথ প্রচেষ্টায় পূর্ব নির্ধারিত দিনেই সমাবর্তন করার আগেই অন্তর্বর্তীর উপাচার্যকে অপসারণ করা কতটা আইনত যুক্তিসঙ্গত ? সেই বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল তাঁর আইনি পরামর্শদাতা ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন বলেই জানা গিয়েছে । কারণ, অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়ে রাজ্য সরকারের করা মামলা এই মুহূর্তে বিশ্ব আদালতে বিচারাধীন । সেই মামলার শনিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রাজ্যপাল তথা আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না । ফলে, আচমকাই যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্যর অপসারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।

এদিকে গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় । আমন্ত্রিতদের তালিকায় অনুপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান জগদীশ কুমার মামিডালা, আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । এমনকি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও অনুপস্থিত ছিলেন । সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল অপসারিত অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ সার্টিফিকেট হাতে তুলে না দিলেও অনুষ্ঠানের সূচনা তাঁর হাত দিয়েই হয় । এদিকে আইনি জটিলতার কারণে কোর্ট বৈঠককে অনুমতি দেননি রাজ্যপাল তথা আচার্য । তারপরও কিভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই সামগ্রিক বিষয় নিয়ে রিপোর্ট তলব হতে পারে আজকেই ।

আরও পড়ুন:

  1. যাদবপুরের সমাবর্তন নষ্ট করার চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর থেকে হাতেখড়ি নেওয়া রাজ্যপালের, বিস্ফোরক সুজন
  2. বুদ্ধদেব সাউয়ের ভবিষ্যৎ কী? সমাবর্তন হলেও যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা
  3. রাজ্যপালকে বুড়ো আঙুল, বারণ না শুনে যাদবপুরে চলছে 66তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.