ETV Bharat / state

Panchayat Election 2023: 'সন্ত্রাসের দায় মুখ্যমন্ত্রীর', একান্ত সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক প্রাক্তন এনএসজি কম্যান্ডো - মনোনয়নের শেষদিনে সন্ত্রাস দেখেছে রাজ্য

ঘটনার দায় অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীর থেকে যায় কারণ তিনি হোম মিনিস্টার । আগামীতে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে । ভাঙড়ের ঘটনার পর বিস্ফোরক প্রাক্তন এনএসজি কমান্ডো দ্বীপাঞ্জন চক্রবর্তী ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By

Published : Jun 15, 2023, 9:38 PM IST

একান্ত সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক প্রাক্তন এনএসজি কম্যান্ডো

কলকাতা, 15 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের শেষদিনে সন্ত্রাস দেখেছে রাজ্য ৷ 24 ঘণ্টায় হিংসার বলি হয়েছেন 5 জন ৷ "এটাতো কিছুই নয় । পশ্চিমবঙ্গে আগামী একমাসে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা কেমন হতে চলেছে তা দেখিয়ে দিল দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড় ।" ইটিভি ভারতকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের প্রাক্তন কমান্ডো দ্বীপাঞ্জন চক্রবর্তী ।

ইটিভি ভারতকে তিনি জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা পুলিশ ফেলিওর । পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি দলদাস । আগামী নির্বাচনে কী অবস্থা হতে চলেছে তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ আজকের ভাঙড় । পুলিশ বাহিনীকে রাজ্য সরকার আগেই দলদাসে পরিণত করেছিল ৷ এবার নির্বাচন কমিশনকেও দলদাসে পরিণত করেছে । এখন যদি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা বা প্রার্থীরা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে প্রতিহত করে, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে । আর এর জন্য দায়ী থাকবে একমাত্র রাজ্য সরকারের ।

"পশ্চিমবঙ্গের কোনও আইপিএস আধিকারিকের মেরুদণ্ড নেই । সিদ্ধিনাথ গুপ্তাও অত্যন্ত দক্ষ আধিকারিক । কিন্তু হয়তো তাঁকে ভয় দেখিয়ে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে কিংবা তাঁকেও জোরজবরদস্তি দলদাসে পরিণত করা হয়েছে । ফলে এই প্রকারের ঘটনার দায় অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীর থেকে যায় কারণ তিনি হোম মিনিস্টার ।"

দ্বীপাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, "এখানে ব্যক্তি পুলিশের বা কোনও একজন বিশেষ পুলিশ আধিকারিকের কোনও ভূমিকা নেই । পুলিশ রাজ্য সরকারের অধীনে । ফলে এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । সেখানে কোনও দক্ষ আইপিএস আধিকারিক ঘটনাস্থলে গেলেও তিনি রাতারাতি সমস্ত কিছু সিস্টেম পরিবর্তন করে দিতে পারবেন না । আমি সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার হলে আমিও পারতাম না ।"

আরও পড়ুন: সব জেলায় 48 ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ হাইকোর্টের

ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের প্রাক্তন কমান্ডোর কথায়, এখানে মূল কথা হলো প্রশাসন কী চাইছে ? কারণ যে কোনও নির্বাচনের আগে পুলিশের যে সকল কাজ করণীয় যেমন প্রত্যেক জেলা পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ইন্সপেক্টর ইনচার্জের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা । তাছাড়াও কোনও এলাকায় কোন কোন দুষ্কৃতী রয়েছে তাদের অবিলম্বে নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করে এলাকা শান্ত রাখা ৷ রোডমার্চ করা এই সকল জিনিস রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি । এক্ষেত্রে আগে এলাকায় রোডমার্চে হয়নি এবং অস্ত্র উদ্ধারের প্রচেষ্টা পুলিশের তরফ থেকে দেখা যায়নি ।

একান্ত সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক প্রাক্তন এনএসজি কম্যান্ডো

কলকাতা, 15 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের শেষদিনে সন্ত্রাস দেখেছে রাজ্য ৷ 24 ঘণ্টায় হিংসার বলি হয়েছেন 5 জন ৷ "এটাতো কিছুই নয় । পশ্চিমবঙ্গে আগামী একমাসে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা কেমন হতে চলেছে তা দেখিয়ে দিল দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড় ।" ইটিভি ভারতকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের প্রাক্তন কমান্ডো দ্বীপাঞ্জন চক্রবর্তী ।

ইটিভি ভারতকে তিনি জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা পুলিশ ফেলিওর । পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি দলদাস । আগামী নির্বাচনে কী অবস্থা হতে চলেছে তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ আজকের ভাঙড় । পুলিশ বাহিনীকে রাজ্য সরকার আগেই দলদাসে পরিণত করেছিল ৷ এবার নির্বাচন কমিশনকেও দলদাসে পরিণত করেছে । এখন যদি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা বা প্রার্থীরা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে প্রতিহত করে, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে । আর এর জন্য দায়ী থাকবে একমাত্র রাজ্য সরকারের ।

"পশ্চিমবঙ্গের কোনও আইপিএস আধিকারিকের মেরুদণ্ড নেই । সিদ্ধিনাথ গুপ্তাও অত্যন্ত দক্ষ আধিকারিক । কিন্তু হয়তো তাঁকে ভয় দেখিয়ে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে কিংবা তাঁকেও জোরজবরদস্তি দলদাসে পরিণত করা হয়েছে । ফলে এই প্রকারের ঘটনার দায় অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীর থেকে যায় কারণ তিনি হোম মিনিস্টার ।"

দ্বীপাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, "এখানে ব্যক্তি পুলিশের বা কোনও একজন বিশেষ পুলিশ আধিকারিকের কোনও ভূমিকা নেই । পুলিশ রাজ্য সরকারের অধীনে । ফলে এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । সেখানে কোনও দক্ষ আইপিএস আধিকারিক ঘটনাস্থলে গেলেও তিনি রাতারাতি সমস্ত কিছু সিস্টেম পরিবর্তন করে দিতে পারবেন না । আমি সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার হলে আমিও পারতাম না ।"

আরও পড়ুন: সব জেলায় 48 ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ হাইকোর্টের

ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের প্রাক্তন কমান্ডোর কথায়, এখানে মূল কথা হলো প্রশাসন কী চাইছে ? কারণ যে কোনও নির্বাচনের আগে পুলিশের যে সকল কাজ করণীয় যেমন প্রত্যেক জেলা পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ইন্সপেক্টর ইনচার্জের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা । তাছাড়াও কোনও এলাকায় কোন কোন দুষ্কৃতী রয়েছে তাদের অবিলম্বে নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করে এলাকা শান্ত রাখা ৷ রোডমার্চ করা এই সকল জিনিস রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি । এক্ষেত্রে আগে এলাকায় রোডমার্চে হয়নি এবং অস্ত্র উদ্ধারের প্রচেষ্টা পুলিশের তরফ থেকে দেখা যায়নি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.