হাওড়া, 6 নভেম্বর: গত সোমবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট অভিজিৎ দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। আর তারপরই তাঁকে আজ, সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার নির্ধারিত সময়ে বাড়ি থেকে রওনা দেওয়ার পূর্বে অভিজিৎ দাস বলেন, "আমি তদন্তে ভীত নই, যা জানি সেই সব তথ্য দিয়ে তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করব।"
তিনি আরও বলেন, "আমি আড়াই বছর মন্ত্রীর (জ্যোতিপ্রিয়) এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছি। মন্ত্রীর অফিসে যে ফাইল আসত সেগুলি তিনি আমাকেই পাঠিয়ে দিতেন। যদিও ফাইলের ভিতরের বিষয়ে আমি জানতাম না।" এছাড়াও মা মমতা এবং এবং স্ত্রী সুকন্যার সংস্থার ডিরেক্টরশিপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "জ্যোতিপ্রিয়র সংস্থাকে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে আমি জানতাম, এর বেশি কিছু না। যদিও আমি 2014 সালে সংস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পর মা এবং স্ত্রীও সেই সংস্থার ডিরেক্টরশিপ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন।"
তাঁর কথায়, "মন্ত্রীর অফিসে বাকিবুর, অঙ্কিত এমনকী অনেক ব্যবসায়ীই যেতেন। আমি বাকিবুর, অঙ্কিতদের চিনি। যদিও তাঁদের মধ্যে টাকা লেনদেনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার কাছে ওই আড়াই বছরের যা তথ্য আছে তার ভিত্তিতে আমি তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করছি ও করব। আমি ইডির তদন্তে একেবারেই আতঙ্কিত নই।" প্রসঙ্গত, চলতি বছরে দুর্গাপুজা কাটতেই 26 অক্টোবর একসঙ্গে রাজ্যের 12টি স্থানে ইডি আধিকারিকরা হানা দেন।
এরমধ্যে হাওড়া-ইছাপুর এলাকার অভিজিৎ দাসের বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের একটি দল। হাওড়ার ভগবান চ্যাটার্জী লেন এলাকাতে অভিজিৎ দাসের বাড়িতে চলে এই তল্লাশি অভিযান। অভিজিৎ দাস জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খুব ঘনিষ্ঠ বলেই জানা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার 26 অক্টোবর সকাল সাড়ে ছ'টা নাগাদ 6 জনের ইডি আধিকারিকদের দল এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কদমতলায় অভিজিৎ দাসের বাড়িতে প্রবেশ করেন। সেখানে প্রায় আট ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালিয়ে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের ফোন থেকে বাকিবুরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বালু, খবর ইডি সূত্রে