কলকাতা, ২৬ অক্টোবর : ছাত্রাবস্থা থেকেই 30 B হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে শক্তির আরাধনা করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কখনও বন্ধ হয়নি পুজো৷ এবছরও চলছে পুজোর আয়োজন । কয়েকদিন ধরেই বাড়িজুড়ে সাজ-সাজ রব । আয়োজনের বিষয়টি তদারকি করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাঁর নির্দেশে ইতিমধ্যেই সমাজের সর্বস্তরের বিশিষ্ট মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে আমন্ত্রণপত্র । আগামীকাল সকাল থেকে উপোস করে মাতৃ আরাধনায় ব্রতী হবেন মমতা ।
কালীপুজোর দিনটিতেই মুখ্যমন্ত্রীর ৩০ বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ির দ্বার সাধারণ মানুষের জন্য অবারিত । শুধু পাড়ার লোকজনই নন, দূর-দূরান্ত থেকেও আসে মানুষ । পুজোর দিন বিকেল থেকেই লোকজন পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উঠোনে ৷ সেখানে অতিথি আপ্যায়নের যাবতীয় ব্যবস্থা থাকে । এইদিন দর্শনার্থীরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অতিথি । বাড়ির সামনের উঠোনে নব নির্মিত বড় কনফারেন্স রুম খুলে দেওয়া হয় অতিথিদের জন্য । সেখানে তাঁরা বসেন । জল, চা, কফি এবং বিস্কুট দিয়ে তাঁদের আপ্যায়ন করা হয় । পুজোর উপকরণ গোছানোর পাশাপাশি অতিথি আপ্যায়নের বিষয়টিও তদারকি করে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী । এছাড়া বাড়ির সামনেও আমন্ত্রিতরা চেয়ারে বসে আড্ডা দেন ৷ ব্যস্ততার মাঝেই দিদি এসে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন ৷ অতিথি আপ্যায়নের বিষয়ে এদিন কোনও বৈষম্য নেই ৷ সকলের জন্যই একইরকম ব্যবস্থা ।
সবাই যাতে সুষ্ঠুভাবে পুজো দেখতে পারে তার জন্য তৎপর থাকে প্রশাসন । গাড়িতে চাপিয়ে চেতলা নবনীড় বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পুজো দেখাতে নিয়ে আসেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । সকাল থেকে নির্জলা উপোস করে গভীর রাতে মায়ের পুজো দেন মমতা । পুজো শেষ হতে হতে ভোর হয়ে যায় । পরের দিন সকালে সকলের জন্য থাকে প্রসাদের ব্যবস্থা । নিজের হাতেই দধিকর্মা পরিবেশন করে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী । দুপুরে সকলের জন্য মায়ের ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে ৷