কলকাতা, 4 নভেম্বর: দূষণ রোধে আগেই শব্দবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে । তারপরও এবারের উৎসবে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া ঝাড়খণ্ড এবং বিহার থেকে বহু নিষিদ্ধ বাজি ঢুকেছে রাজ্যে । ফলে কড়াকড়ি করেও একশো শতাংশ শব্দবাজি জব্দ করতে পারেনি রাজ্যে । একথা খোদ স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূইয়া (Manas Ranjan Bhunia) । তাই, বাংলার সীমানায় কড়া নজরদারির পাশাপাশি রাজ্যেই সবুজবাজি প্রস্তুতিতে জোর দিতে চাইছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (Pollution Control Board) । এতে যেমন রাজ্যেই তৈরি সবুজবাজি রাজ্যের মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন, তেমনই নিষিদ্ধ বাজির প্রতি সাধারণের আগ্রহ কমবে । একই সঙ্গে সবুজবাজির জন্য অন্য রাজ্যের উপর নির্ভর থাকতে হবে না বলেই মত পরিবেশ মন্ত্রীর ৷
সবুজবাজি তৈরির ছাড়পত্র পেতে তিনি আগামী মাসের মধ্যে প্রস্তুতকারকদের আবেদন করার অনুরোধ করেন । একই সঙ্গে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাব্যক্তিদের নির্দেশ দিলেন যে, প্রস্তুতকারকদের আবেদন খতিয়ে দেখে আইন মেনে যত দ্রুত সম্ভব সবুজবাজি তৈরির ছাড়পত্র দেওয়া হোক ।
পরিবেশ দফতরের লক্ষ্য আগামী বছরের উৎসবে আরও দূষণ কমাতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে । ভিন্ন রাজ্যের অবৈধ বাজি রাজ্যে যাতে ঢুকতে না পারে তার জন্য সীমানা লাগোয়া জেলার পুলিশ প্রশাসনকে কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হবে ।
আরও পড়ুন: সবুজবাজি বিক্রি ও ব্যবহারে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেও নজরদারির নির্দেশ
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্রর দাবি, এবারের উৎসবের কয়েকদিনে রাজ্যের জুড়ে বিভিন্ন জায়গার শব্দ ও বায়ুর কোয়ালিটি রিপোর্ট পর্যালোচনা করা হয়েছে । তাতে দেখা যাচ্ছে যে, বহু জায়গায় রাতের বেলার থেকে দিনের বেলা শব্দের দাপট বেশি ছিল । যার থেকে মনে করা হচ্ছে এবারের উৎসবে শব্দ বাজির দাপট কম ছিল । তবে, দক্ষিণ কলকাতা ও শহরতলিতে বহু জায়গায় শব্দ ফেটেছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন কল্যাণবাবু । তিনি জানান, শব্দ বাজি একমদই ফাটেনি তা আমরা বলছি না । ফেটেছে বলেই তো বহু জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে । আমরা এবার সেইসব জায়গার রিপোর্ট তৈরি করেছি । স্থানীহ থানা-পুলিশকে এলাকা চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে । আগামীতে যাতে ওই সভা এলাকায় নতুন করে শব্দবাজি না ফাটে তার জন্য নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হবে ।
দূষণ রোধে সরকার, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । ঠিক একইভাবে বহু জায়গায় দেখা গিয়েছে শাসক দল কিংবা তার নেতাদের উদ্যোগে অবৈধবাজি পোড়ানো হয়েছে । একথা স্বীকার করে নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূইয়া বলেন, "দু-একটি জায়গায় এমনটা হয়েছে । আমরা জানতে পারার পর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছি । কারণ, ভিভিআইপি-দের জন্যেও আইন এক । ভিন্ন নয় । তাই, আইন মেনে সবাইকে চলতে হবে ।"