ETV Bharat / state

Kolkata Wetlands: পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এলাকায় জমি কেনা নিয়ে ক্রেতাদের সতর্ক করতে উদ্যোগী পরিবেশ দফতর - উদ্যোগী পরিবেশ দফতর

পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এলাকায় জমি কেনাবেচা নিষিদ্ধ । তার পরও জমি বিক্রি চলছে ৷ ফলে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা ৷ এই নিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার করতে চলেছে পরিবেশ দফতর ৷ বুধবার সেটাই জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া ৷

Kolkata Wetlands
Kolkata Wetlands
author img

By

Published : Apr 26, 2023, 7:50 PM IST

কলকাতা, 26 এপ্রিল: পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এলাকার জমি কেনাবেচা নিষিদ্ধ । তারপরও নানা ভাবে ওই এলাকার জমি কেনাবেচা চলছে । ক্রেতারা নানা ভাবে প্রতারিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ । প্রশাসন থেকে বারবার সতর্ক করলেও জমি কেনাবেচা রোধ করা যাচ্ছে না । তাই, রাজ্যের পরিবেশ দফতর এই এলাকার জমি কেনার আগে ক্রেতাদের সতর্ক করতে উদ্যোগী হয়েছে ।

এই নিয়ে পরিবেশমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, "প্রাথমিকভাবে, ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ইকেডব্লিউএমএ), রাজ্যের পরিবেশ দফতরের তত্ত্বাবধানে পপ-আপ বার্তার ব্যবস্থা করেছে । এই পপ-আপ বার্তা আইজি রেজিস্ট্রেশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে । আইজি রেজিস্ট্রেশনের পোর্টালে কেউ জমির জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে পপ-আপ বার্তায় জমি কেনাবেচা নিষিদ্ধর বিষয়টি জানাবে ।"

রাজ্যের পরিবেশ দফতরের দাবি, ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ডে সব ধরনের নির্মাণ কার্যকলাপ নিষিদ্ধ । কিন্তু, তারপরও বিশেষ করে বয়স্ক নাগরিকরা ইকেডব্লিউ এলাকায় কম দামের প্রলোভনে জমি কিনেছেন । এই অঞ্চলে নির্মাণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে । ফলে, পরবর্তীতে নির্মাণ কার্যক্রমের শুরুতেই আইনি বিপাকে পড়েন তাঁরা । তাই, সতর্ক করতেই এই উদ্যোগ ।

রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, "এই বিষয়টি মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে জানানো হয় । মুখ্যসচিবের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ে একটি বৈঠক হয় । আমরা নিশ্চিত করেছি যে ইকেডাব্লুতে কী করা যেতে পারে এবং কী করা যাবে না, সে সম্পর্কে পপ-আপ বার্তার আকারে তথ্য পাওয়া যাবে । আমরা আশাবাদী জমি সংক্রান্ত তথ্যের অভাব এখন কোনও ক্রেতার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না ।"

প্রসঙ্গত, ইকেডব্লিউ কলকাতা শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত একটি রামসার সাইট । যা 12,500 হেক্টর জমি জুড়ে বিস্তৃত নর্দমাযুক্ত মাছের পুকুরের বৃহত্তম সমাবেশ । যা উত্তর 24 পরগনা এবং দক্ষিণ 24 পরগনা জুড়ে 250টি জলাশয়-সহ মোট 37টি মৌজা জুড়ে রয়েছে । 1.5 লক্ষের বেশি জনসংখ্যা এই এলাকায় ৷ কলকাতার ফুসফুস ও কিডনি হিসাবে বিবেচিত এই এলাকা । এই এলাকা শুধুমাত্র ভারী বৃষ্টির ক্ষেত্রে মহানগরকে ব্যাপকভাবে প্লাবিত হওয়া থেকে রক্ষা করে তাই নয়, ভূগর্ভস্থ জল হ্রাসের থেকেও শহর এলাকাকে রক্ষা করে ।

আরও পড়ুন: জলাভূমি ভরাট রোধে রাজ্য ব্যর্থ ! কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকে অভিযোগের হুঁশিয়ারি নওশাদের

কলকাতা, 26 এপ্রিল: পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এলাকার জমি কেনাবেচা নিষিদ্ধ । তারপরও নানা ভাবে ওই এলাকার জমি কেনাবেচা চলছে । ক্রেতারা নানা ভাবে প্রতারিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ । প্রশাসন থেকে বারবার সতর্ক করলেও জমি কেনাবেচা রোধ করা যাচ্ছে না । তাই, রাজ্যের পরিবেশ দফতর এই এলাকার জমি কেনার আগে ক্রেতাদের সতর্ক করতে উদ্যোগী হয়েছে ।

এই নিয়ে পরিবেশমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, "প্রাথমিকভাবে, ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ইকেডব্লিউএমএ), রাজ্যের পরিবেশ দফতরের তত্ত্বাবধানে পপ-আপ বার্তার ব্যবস্থা করেছে । এই পপ-আপ বার্তা আইজি রেজিস্ট্রেশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে । আইজি রেজিস্ট্রেশনের পোর্টালে কেউ জমির জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে পপ-আপ বার্তায় জমি কেনাবেচা নিষিদ্ধর বিষয়টি জানাবে ।"

রাজ্যের পরিবেশ দফতরের দাবি, ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ডে সব ধরনের নির্মাণ কার্যকলাপ নিষিদ্ধ । কিন্তু, তারপরও বিশেষ করে বয়স্ক নাগরিকরা ইকেডব্লিউ এলাকায় কম দামের প্রলোভনে জমি কিনেছেন । এই অঞ্চলে নির্মাণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে । ফলে, পরবর্তীতে নির্মাণ কার্যক্রমের শুরুতেই আইনি বিপাকে পড়েন তাঁরা । তাই, সতর্ক করতেই এই উদ্যোগ ।

রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, "এই বিষয়টি মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে জানানো হয় । মুখ্যসচিবের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ে একটি বৈঠক হয় । আমরা নিশ্চিত করেছি যে ইকেডাব্লুতে কী করা যেতে পারে এবং কী করা যাবে না, সে সম্পর্কে পপ-আপ বার্তার আকারে তথ্য পাওয়া যাবে । আমরা আশাবাদী জমি সংক্রান্ত তথ্যের অভাব এখন কোনও ক্রেতার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না ।"

প্রসঙ্গত, ইকেডব্লিউ কলকাতা শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত একটি রামসার সাইট । যা 12,500 হেক্টর জমি জুড়ে বিস্তৃত নর্দমাযুক্ত মাছের পুকুরের বৃহত্তম সমাবেশ । যা উত্তর 24 পরগনা এবং দক্ষিণ 24 পরগনা জুড়ে 250টি জলাশয়-সহ মোট 37টি মৌজা জুড়ে রয়েছে । 1.5 লক্ষের বেশি জনসংখ্যা এই এলাকায় ৷ কলকাতার ফুসফুস ও কিডনি হিসাবে বিবেচিত এই এলাকা । এই এলাকা শুধুমাত্র ভারী বৃষ্টির ক্ষেত্রে মহানগরকে ব্যাপকভাবে প্লাবিত হওয়া থেকে রক্ষা করে তাই নয়, ভূগর্ভস্থ জল হ্রাসের থেকেও শহর এলাকাকে রক্ষা করে ।

আরও পড়ুন: জলাভূমি ভরাট রোধে রাজ্য ব্যর্থ ! কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকে অভিযোগের হুঁশিয়ারি নওশাদের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.