কলকাতা, 5 জুন: রাজ্যের সার্বিক বায়ু দূষণ রোধে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য পরিবেশ দফতর। তারপরও কিছু নির্দিষ্ট শহরাঞ্চলে বায়ু দূষণের মাত্রা কমানো সম্ভব হচ্ছে না। অথচ ওই সমস্ত এলাকার দূষণের উৎস এবং তা নিয়ন্ত্রণের জন্য সব রকম ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এত কিছু করেও কেন দূষণ বোধ করা যাচ্ছে না তা জানতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে রাজ্য পরিবেশ দফতর।
রাজ্যের নন অ্যাসাইনমেন্ট শহরগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে বলে সোমবার জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে এদিন বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে বিশেষ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছিল। কর্মসূচির মাঝে সাংবাদিক বৈঠক করেন মন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, "রাজ্যের নন অ্যাসাইনমেন্ট শহরগুলিতে, বিশেষ করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বেল্টে সন্ধ্যার পর বাতাসে দূষণের মাত্রা ব্যাপক হারে বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে যে, সন্ধ্যার পরে ওই সমস্ত শিল্প সংস্থাগুলি তাদের দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য যে যন্ত্র রাখা রয়েছে তা খুলে দিচ্ছে।" যার জেরে মাঝরাতে কিংবা ভোরে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এর ফলে দৃশ্যমানতাও কমে যাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী ৷ এর ফলে ওই সমস্ত এলাকার শিল্পাঞ্চলগুলিতে ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানো হবে ৷
মন্ত্রী জানিয়েছেন, কোন কারখানায় কখন মেশিন খুলে রাখা হচ্ছে, কখন লাগানো হচ্ছে তার তথ্য ছবি ভিডিয়ো-সহ জানতে ড্রোন ওড়ানো হবে। ড্রোন ছাড়া কী বিকল্প কিছু ছিল না? এই প্রশ্নের জবাবে দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, নির্ধারিত সময়ের বাইরে ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করা বা বায়ু দূষণ চেক করা বা কোনওরকম ভায়োলেশন হয়েছে কি না, তা জানার বা যাচাইয়ের উপায় থাকে না। যে কারণেই দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এই আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জেলা পুলিশ কমিশনার এবং আধিকারিকদের সহযোগিতায় ওই সমস্ত শিল্পাঞ্চলগুলিতে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হবে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন করে 20 জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নোটিশ জারির নির্দেশ হাইকোর্টের
এই ড্রোনগুলিতে যেমন নির্দিষ্ট এলাকার ছবি ভিডিও তথ্য পাওয়া যাবে ঠিক তেমনি রিয়েল টাইম ডাটা অনলাইনের মাধ্যমে কন্ট্রোল রুমে পৌঁছাবে। যে কারণে ওই ড্রনের সঙ্গে ভালো এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরাও লাগানো আছে বলেই দপ্তর আধিকারিকরা জানিয়েছেন। এদিকে গ্রামাঞ্চলের বায়ু দূষণ রোধ করতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য পরিবেশ দপ্তর ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সলিড বায়োমাস কুকিং স্টোর বা ধোয়া বিহীন ছিল প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া।