কলকাতা, 20 জুলাই : কলকাতা পৌরনিগমে কোরোনা সংক্রমণের জেরে বন্ধ হয়ে গেল জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র বিভাগ । কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই দিন আগে মৃত্যু হয় কলকাতা পৌরনিগমের জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র বিভাগের এক কর্মীর । আপাতত তাই 5 নম্বর মির্জা গালিব স্ট্রিটের জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র বিভাগটি আগামী তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । প্রথমে জীবাণুমুক্ত করা হবে । তারপর কর্মীদের জন্য বসানো হবে কাঁচের কিউবিক্যাল । তারপর চালু করা হবে ওই বিভাগটি ।
কোরোনার সংক্রমণে পৌরকর্মীর মৃত্যুতে জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র বিভাগের কর্মীরা আজ কর্মবিরতি পালন করেন কলকাতা পৌরনিগমের সদরদপ্তরে । দু'দিন আগে মারা যান ওই পৌরকর্মী । এরপর শনিবার থেকেই ওই বিভাগের কর্মীরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন । তাঁদের দাবি পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন ।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পৌরনিগমের পার্সোনাল ডিপার্টমেন্ট, অ্যাসেসমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, সেক্রেটারি ডিপার্টমেন্ট এমনকী কনভারজেন্সের ডিপার্টমেন্টের 18 জন কর্মী কোরোনা আক্রান্ত হয়েছেন । একজন কর্মী কোরোনা আক্রান্ত হয়ে মারাও গেছেন ।
পৌরনিগমের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে অমিতাভ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, গত 8 জুন থেকে 100 শতাংশ উপস্থিতির নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা পৌরনিগম । ফলে পৌরকর্মীদের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে আসতে হচ্ছে । এই নিয়ে আলোচনায় বসেছিল পৌরনিগমের শ্রমিক সংগঠনগুলো । কিন্তু কোনও ফল হয়নি । কলকাতা পৌরনিগমের একাধিক বিভাগের বহু কর্মী কোরোনা আক্রান্ত হয়েছেন । দু'দিনের আগে জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র বিভাগের এক কর্মী মারা গেছেন । তাই তাঁদের দাবি একশো শতাংশ উপস্থিতি এই নিয়ম প্রত্যাহার করতে হবে । সেইসঙ্গে প্রতিটি বিভাগের কর্মীদের উপযুক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে । যতদিন না তা হচ্ছে কর্মীরা উপস্থিত থাকলেও চলবে কর্মবিরতি । তাতেও সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে কর্মীরা বলেও জানিয়েছেন তিনি ।