ETV Bharat / state

অভিনব কায়দায় প্রায় কোটি টাকার প্রতারণা, গ্রেপ্তার লজিস্টিক সংস্থার প্রাক্তন কর্মী - লালবাজারের অ্যান্টি ফ্রড শাখা

সংস্থার কারেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে মিল ছিল কর্মীর স্যালারি অ্যাকাউন্টের ৷ সেটাকে কাজে লাগিয়েই প্রায় কোটি টাকার প্রতারণা করল ডেলিভারি প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক লজিস্টিক সংস্থায় ডেলিভারি বয় শুভঙ্কর দাস ৷ তাকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ । অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 9, 2019, 1:22 AM IST

কলকাতা, 9 অগাস্ট : রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এক সংস্থার কারেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে মিল ছিল কর্মীর স্যালারি অ্যাকাউন্টের । সেটাকে কাজে লাগিয়েই প্রায় কোটি টাকার প্রতারণা করে ওই কর্মী । প্রথমটায় ওই সংস্থা কিছুই বুঝতে পারেনি । এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই প্রতারণার খেলা ধরা পড়ে গত আর্থিক বছরে ওই কম্পানির অডিটে । বিষয়টি নিয়ে গিরিশ পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের হয় । মামলার তদন্ত ভার নেয় লালবাজারের অ্যান্টি ফ্রড শাখা । তদন্তে নেমে অবশেষে পরদা ফাঁস হল প্রতারকের । তাকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ । অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

ঘটনার সূত্রপাত গত বছর জানুয়ারি মাসে । 38 নম্বর বিবেকানন্দ রোডে অবস্থিত ডেলিভারি প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক লজিস্টিক সংস্থায় ডেলিভারি বয় হিসেবে চাকরি করত বছর পঁচিশের শুভঙ্কর দাস । এই সংস্থাটি অ্যামাজন, সিয়মি, পেটিএম-এর মত কম্পানির জিনিসপত্র ডেলিভারির কাজ করে । কম্পানিটির ডেলিভারি বয়রা সারাদিনের কালেকশন ক্যাশ ডিপোজ়িট মেশিনের মাধ্যমে কম্পানির অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেয় । ডিপোজ়িট স্লিপ প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হয় কম্পানির অ্যাকাউন্ট সেকশনে । সেটাই নিয়ম । শুভঙ্করেরও একই কাজ করার কথা ছিল । অভিযোগ, সেটা সে করেনি । গত মার্চ মাসে কম্পানিটির অডিটে ধরা পড়ে 92 লাখ 95 হাজার টাকা নয়ছয় হয়েছে । এরপর কম্পানির তরফে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করা হয় । সেই তদন্তে পাওয়া যায়নি কিছুই । শেষমেশ 30 মে ওই সংস্থার পূর্বাঞ্চলীয় সিকিওরিটি ম্যানেজার গিরিশ পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । কেসের গুরুত্ব বুঝে তদন্তভার নেয় লালবাজারের অ্যান্টি ফ্রড শাখা ।

গোয়েন্দারা জানুয়ারি মাস থেকে কম্পানির ডিপোজ়িটের সমস্ত তথ্য নেয় । সেখানে দেখা যায় শুভঙ্করের অ্যাকাউন্টের শেষ চারটি নম্বর 2826( সুরক্ষার জন্য দুটি নম্বর অপরিবর্তিত রেখে বাকি দুটি পরিবর্তন করা হয়েছে) । আবার কম্পানির অ্যাকাউন্টের শেষ চারটি নম্বর 4825 (এক্ষেত্রেও দুটি নম্বর অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে) । আর এখান থেকেই প্রতারণার সূত্রপাত । দুটি অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেই 82 সংখ্যাটি রয়েছে । অভিযোগ সেটাকে কাজে লাগিয়ে শুভঙ্কর কম্পানির অ্যাকাউন্টে টাকা না দিয়ে ডিপোজ়িট করে দিত নিজের অ্যাকাউন্টে । সাধারণভাবে ATM থেকে টাকা তোলা কিংবা ডিপোজ়িট মেশিনে টাকা জমা দেওয়ার পর যে স্লিপ পাওয়া যায় তাতে শেষ চারটি নম্বরই দেখা যায় । সেটাকে কাজে লাগিয়ে দুটি নম্বর কোনওভাবে ঘষে তুলে দিত শুভঙ্কর । সেই স্লিপ জমা করত কম্পানির অ্যাকাউন্ট সেকশনে । অসতর্কতাবশত কম্পানি 82 নম্বরটি দেখেই বিশ্বাস করে নিত, টাকা ডিপোজ়িট করা হয়েছে । বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই চাকরি ছেড়ে দেয় শুভঙ্কর । তদন্তকারীরা শুভঙ্করের অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট জোগাড় করে ব্যাঙ্ক থেকে । দেখা যায়, যেদিন যে টাকা কম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার কথা ছিল, তা জমা পড়েছে অভিযুক্তর অ্যাকাউন্টে । তখন পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায় ।

বর্তমানে শুভঙ্করের ওই অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নেই । সুচতুরভাবে সে ওই টাকা সরিয়ে দিয়েছে নিজের 6-7টি অ্যাকাউন্টে । পুরো বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরেই লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা হুগলি চণ্ডীতলার ঘোষপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শুভঙ্করকে । ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই অপরাধে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ।

কলকাতা, 9 অগাস্ট : রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এক সংস্থার কারেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে মিল ছিল কর্মীর স্যালারি অ্যাকাউন্টের । সেটাকে কাজে লাগিয়েই প্রায় কোটি টাকার প্রতারণা করে ওই কর্মী । প্রথমটায় ওই সংস্থা কিছুই বুঝতে পারেনি । এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই প্রতারণার খেলা ধরা পড়ে গত আর্থিক বছরে ওই কম্পানির অডিটে । বিষয়টি নিয়ে গিরিশ পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের হয় । মামলার তদন্ত ভার নেয় লালবাজারের অ্যান্টি ফ্রড শাখা । তদন্তে নেমে অবশেষে পরদা ফাঁস হল প্রতারকের । তাকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ । অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

ঘটনার সূত্রপাত গত বছর জানুয়ারি মাসে । 38 নম্বর বিবেকানন্দ রোডে অবস্থিত ডেলিভারি প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক লজিস্টিক সংস্থায় ডেলিভারি বয় হিসেবে চাকরি করত বছর পঁচিশের শুভঙ্কর দাস । এই সংস্থাটি অ্যামাজন, সিয়মি, পেটিএম-এর মত কম্পানির জিনিসপত্র ডেলিভারির কাজ করে । কম্পানিটির ডেলিভারি বয়রা সারাদিনের কালেকশন ক্যাশ ডিপোজ়িট মেশিনের মাধ্যমে কম্পানির অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেয় । ডিপোজ়িট স্লিপ প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হয় কম্পানির অ্যাকাউন্ট সেকশনে । সেটাই নিয়ম । শুভঙ্করেরও একই কাজ করার কথা ছিল । অভিযোগ, সেটা সে করেনি । গত মার্চ মাসে কম্পানিটির অডিটে ধরা পড়ে 92 লাখ 95 হাজার টাকা নয়ছয় হয়েছে । এরপর কম্পানির তরফে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করা হয় । সেই তদন্তে পাওয়া যায়নি কিছুই । শেষমেশ 30 মে ওই সংস্থার পূর্বাঞ্চলীয় সিকিওরিটি ম্যানেজার গিরিশ পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । কেসের গুরুত্ব বুঝে তদন্তভার নেয় লালবাজারের অ্যান্টি ফ্রড শাখা ।

গোয়েন্দারা জানুয়ারি মাস থেকে কম্পানির ডিপোজ়িটের সমস্ত তথ্য নেয় । সেখানে দেখা যায় শুভঙ্করের অ্যাকাউন্টের শেষ চারটি নম্বর 2826( সুরক্ষার জন্য দুটি নম্বর অপরিবর্তিত রেখে বাকি দুটি পরিবর্তন করা হয়েছে) । আবার কম্পানির অ্যাকাউন্টের শেষ চারটি নম্বর 4825 (এক্ষেত্রেও দুটি নম্বর অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে) । আর এখান থেকেই প্রতারণার সূত্রপাত । দুটি অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেই 82 সংখ্যাটি রয়েছে । অভিযোগ সেটাকে কাজে লাগিয়ে শুভঙ্কর কম্পানির অ্যাকাউন্টে টাকা না দিয়ে ডিপোজ়িট করে দিত নিজের অ্যাকাউন্টে । সাধারণভাবে ATM থেকে টাকা তোলা কিংবা ডিপোজ়িট মেশিনে টাকা জমা দেওয়ার পর যে স্লিপ পাওয়া যায় তাতে শেষ চারটি নম্বরই দেখা যায় । সেটাকে কাজে লাগিয়ে দুটি নম্বর কোনওভাবে ঘষে তুলে দিত শুভঙ্কর । সেই স্লিপ জমা করত কম্পানির অ্যাকাউন্ট সেকশনে । অসতর্কতাবশত কম্পানি 82 নম্বরটি দেখেই বিশ্বাস করে নিত, টাকা ডিপোজ়িট করা হয়েছে । বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই চাকরি ছেড়ে দেয় শুভঙ্কর । তদন্তকারীরা শুভঙ্করের অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট জোগাড় করে ব্যাঙ্ক থেকে । দেখা যায়, যেদিন যে টাকা কম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার কথা ছিল, তা জমা পড়েছে অভিযুক্তর অ্যাকাউন্টে । তখন পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায় ।

বর্তমানে শুভঙ্করের ওই অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নেই । সুচতুরভাবে সে ওই টাকা সরিয়ে দিয়েছে নিজের 6-7টি অ্যাকাউন্টে । পুরো বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরেই লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা হুগলি চণ্ডীতলার ঘোষপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শুভঙ্করকে । ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই অপরাধে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ।

Intro:কলকাতা, ৮ অগাস্ট: স্টেট ব্যাংকে এক সংস্থার কারেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে মিল ছিল কর্মীর সেলারি অ্যাকাউন্টের। সেটাকে কাজে লাগিয়ে প্রায় কোটি টাকার প্রতারণা কর্মীর। প্রথমটায় ওই সংস্থা কিছুই বুঝতে পারেনি। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই প্রতারণার খেলা ধরা পড়ে গত আর্থিক বছরে ওই কোম্পানির অডিটে। বিষয়টি নিয়ে গিরিশ পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। মামলার তদন্ত ভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের আন্টি ফ্রড সেকশন। তদন্তে গোয়েন্দাদের ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করতে হয় মগজাস্ত্র। অবশেষে পর্দা ফাঁস হল প্রতারকের। তাকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।Body:ঘটনার সূত্রপাত গত বছর জানুয়ারি মাসে। তখন 38 নম্বর বিবেকানন্দ রোডে অবস্থিত ডেলিভারি প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক লজিস্টিক সংস্থায় ডেলিভারি বয় হিসেবে চাকরি করতেন বছর পঁচিশের শুভঙ্কর দাস। এই সংস্থাটি অ্যামাজন, সিয়মি, পেটিএময়ের মত কোম্পানির জিনিসপত্র ডেলিভারির কাজ করে। কম্পানিটির ডেলিভারি বয়রা সারাদিনের কালেকশন ক্যাশ ডিপোজিট মেশিনের মাধ্যমে কোম্পানির অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেয়। ডিপোজিট স্লিপ প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হয় কোম্পানির একাউন্ট সেকশনে। সেটাই নিয়ম। শুভঙ্করেরও একই কাজ করার কথা ছিল। অভিযোগ, সেটা তিনি করেননি। গত মার্চ মাসে কোম্পানিটির অডিটে ধরা পড়ে 92,95,000 টাকা নয়ছয় হয়েছে। সূত্র জানাচ্ছে এরপর কোম্পানির তরফে আভ্যন্তরীণ তদন্ত করা হয়। সেই তদন্তে পাওয়া যায়নি কিছুই। শেষমেষ গত 30 মে ওই সংস্থার পূর্বাঞ্চলীয় সিকিউরিটি ম্যানেজার গিরিশ পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কেসের গুরুত্ব বুঝে তদন্ত ভার নেয় লালবাজারের অ্যান্টি ফ্রড শাখা।
Conclusion:গোয়েন্দারা গত জানুয়ারি মাস থেকে কোম্পানির ডিপোজিট এর সমস্ত তথ্য নেয়। সেখানে দেখা যায় শুভংকরের একাউন্টের শেষ চারটি নম্বর ২৮২৬( সুরক্ষার জন্য দুটি নম্বর অপরিবর্তিত রেখে বাকি দুটি পরিবর্তন করা হয়েছে)। আবার কোম্পানির একাউন্টের শেষ চারটি নম্বর ৪৮২৫( এক্ষেত্রেও দুটি নম্বর অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে)। আর এখান থেকেই প্রতারণার সূত্রপাত। দুটি অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেই ৮২ সংখ্যাটি রয়েছে। অভিযোগ সেটাকে কাজে লাগিয়ে শুভঙ্কর কোম্পানির একাউন্টে টাকা না দিয়ে ডিপোজিট করে দিত নিজের অ্যাকাউন্টে। সাধারণভাবে এটিএম থেকে টাকা তোলা কিংবা ডিপোজিট মেশিনে টাকা জমা দেওয়ার পর যে স্লিপ পাওয়া যায় তাতে শেষ চারটি নম্বরই দেখা যায়। সেটা কে কাজে লাগিয়ে দুটি নম্বর কোন ভাবে ঘষে তুলে দিত শুভঙ্কর। সেই স্লিপ জমা করত কোম্পানির একাউন্ট সেকশনে। অসতর্কতাবশত কম্পানি ৮২ নম্বরটি দেখেই বিশ্বাস করে নিত, টাকা ডিপোজিট করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই চাকরিটি ছেড়ে দেয় শুভঙ্কর। তদন্তকারীরা শুভঙ্কর এর অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট জোগাড় করে ব্যাংক থেকে। দেখা যায়, যেদিন যে টাকা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার কথা ছিল, তা জমা পড়েছে অভিযুক্তর একাউন্টে। তখন পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায়। বর্তমানে শুভংকরের ওই অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও টাকা নেই। অভিযোগ, সুচতুরভাবে তিনি ওই টাকা সরিয়ে দিয়েছেন নিজের 6-7 টি অ্যাকাউন্টে। পুরো বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরেই লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা হুগলি চন্ডীতলার ঘোষ পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শুভঙ্করকে। ধৃতকে জেরা করে এই অপরাধে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.