কলকাতা, 29 নভেম্বর : বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটের খরচের হিসেব রাখতে থাকে একজন এক্সপেন্ডিচার অবজারভার (Expenditure Observer)। পুরভোটের (Municipal Corporation Election) ক্ষেত্রে স্পেশাল অবজার্ভার ও জেনারেল অবজার্ভার থাকলেও থাকে না এক্সপেন্ডিচার অবজারভার। সেক্ষেত্রে খরচের খতিয়ান জমা দিতে হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছে। তাই রাজ্যে আসন্ন পুরভোট প্রচার শুরু হতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল একজন প্রার্থী বা তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট সর্বোচ্চ কত টাকা খরচ করতে পারবেন।
কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যার অনুপাতে খরচের হিসেব দেওয়া হয়েছে। কোনও ওয়ার্ডে 6 হাজারের কম ভোটার হলে একজন প্রার্থী মোট খরচ করতে পারবেন 42 হাজার টাকা। এরপর ভোটার প্রতি 7 টাকা করে খরচ বাড়ানো যাবে। পাশাপাশি কোনও ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা 10 হাজার পর্যন্ত হলে একজন প্রার্থী খরচ করতে পারবেন সর্বাধিক 80 হাজার টাকা। অর্থাৎ, যে ওয়ার্ডে যত জনসংখ্যা সেই ওয়ার্ডের প্রার্থী তত বেশি খরচ করতে পারবেন। এভাবে কোনও ওয়ার্ডের জনসংখ্যা 50 হাজার পর্যন্ত হলে একজন প্রার্থী ভোটার প্রতি 8 টাকা করে খরচ করতে পারবেন। আবার কোনও ওয়ার্ডের জনসংখ্যা যদি 50 হাজারের বেশি হয় তবে ওই প্রার্থী 4 লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবেন প্রচারের জন্য।
কমিশন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত পৌরসভা নির্বাচন অর্থাৎ 2015 শেষবার যে পুর নির্বাচন হয়েছিল সে তুলনায় এবার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে প্রায় 35 শতাংশ (Election Commission increased expenditure about 35% for Upcoming Municipal Elections)। সব খরচের হিসেব নির্বাচন কমিশনকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জমা দিতে হবে। 2015 পুরভোটে ঠিকঠাক খরচের খতিয়ান না দিতে পারায় 392 জন প্রার্থীকে 'ডিসকোয়ালিফায়েড' বা 'অযোগ্য' ঘোষণা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷