কলকাতা, 28 জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের কলকাতা থেকে অপহরণের অভিযোগ উঠল ৷ ওই প্রার্থীরা দক্ষিণ 24 পরগনার মথুরাপুরের একটি পঞ্চায়েতে জিতেছেন ৷ তাঁদের মধ্যে তিনজন বিজেপি প্রার্থী ও একজন বাম সমর্থিত নির্দল ৷ সেখানে বিরোধী প্রার্থীদের বোর্ড গঠন আটকাতেই এই অপহরণ বলে অভিযোগ । কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ এই নিয়ে শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ।
এই প্রার্থীরা সকলেই মথুরাপুর-1 ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৷ ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট 15টি আসন ৷ পঞ্চায়েত ভোটে সেখানে বিজেপি 6টি আসনে জিতেছে ৷ নির্দল হিসেবে দু’জন জিতেছেন ৷ আর সিপিএম জিতেছে তিনটি আসনে ৷ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে চারটি আসন ৷ সেখানে বোর্ড গড়তে আটজন সদস্য় প্রয়োজন ৷ যা কোনও দলের কাছে নেই ৷
কিন্তু সেখানে বিরোধীরা বোর্ড গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ৷ কিন্তু তৃণমূলের তরফ থেকে তাঁদের চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তৃণমূলের হাত থেকে বাঁচাতে তাঁদের ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস সংলগ্ন পঞ্চসায়রের একটি গেস্ট হাউসে রাখা হয় ৷ সেখানেই তাঁদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরণ করা হয় ৷ ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ তবে আদালতে এসে ওই প্রার্থীদের খুঁজে দেওয়ার আবেদন করেছেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ৷
অভিযোগ, ওই চার প্রার্থীকে তাঁদের অপহরণের জন্য চারটে গাড়িতে দুষ্কৃতীরা এসেছিলেন বলে অভিযোগ ৷ কান্তি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের দাবি, ওই প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে ৷ কারণ, এই নিয়ে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না ৷ তাঁর আরও দাবি, শুক্রবার সকাল 10টা 45 মিনিটে থানায় অভিযোগ করতে গেলে তারা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি ৷ সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পুলিশ । তাই তিনি এই নিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন ৷
আরও পড়ুন: বিরোধী দলের প্রার্থীদের ব্যালট বিকৃত করেছেন বিডিও, এসডিও; রিপোর্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির
এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে ৷ আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ।