ETV Bharat / state

Egg Production in Bengal: ডিম উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার পথে বাংলা, জানালেন অমিত মিত্র - ডিম উৎপাদন

রাজ্য চাইছে ডিমের উৎপাদন বাড়িয়ে অন্ধ্র্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলির উপর নির্ভরতা কমাতে ৷ ডিম উৎপাদনে রাজ্যকে সাবলম্বী করে তুলতে ৷ সেই লক্ষ্য পূরণ আগামী বছরের মধ্যেই হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে (Egg Production in Bengal) ৷

ETV Bharat
ডিম উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার পথে বাংলা, দাবি অমিত মিত্রের
author img

By

Published : Dec 23, 2022, 10:58 PM IST

কলকাতা, 23 ডিসেম্বর: এবার ডিম উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার পথে বাংলা । এখন আর রাজ্যকে ডিমের জন্য তামিলনাড়ু বা অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না । গত কয়েক বছর থেকেই রাজ্য সরকার ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির উপর জোর দিচ্ছিল (Egg Production in Bengal) । একদিকে যেমন এই শিল্পকে উৎসাহিত করে সমাজের বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কথা ভাবছিল রাজ্য সরকার, একইভাবে তাদের লক্ষ্য ছিল মাংস এবং ডিম উৎপাদনে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা কমানো (West Bengal egg production) ।

নবান্নের তথ্য বলছে, এই রাজ্যে বছরে মোট ডিমের চাহিদা 1 হাজার 440 কোটি । তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে মোট 1 হাজার 203 কোটি ডিম উৎপাদন হচ্ছে (Egg Production in Bengal is increasing) । সুতরাং প্রত্যেক বছর বাইরের রাজ্য থেকে 237 কোটি ডিম আমদানি করতে হয় । শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র জানিয়েছেন, আর মাত্র 200 কোটি ডিম উৎপাদন বাড়াতে পারলেই ডিম উৎপাদনের ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বাবলম্বী হয়ে যাবে রাজ্য ।

আরও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুতেই 82 হাজার পড়ুয়া পাবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড

অমিত মিত্র (Amit Mitra) এদিন আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই মুহূর্তে 84টি বড় সংস্থা এই ডিম উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত । ফলে আশা করা যাচ্ছে আগামী বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসবে । এদিন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ডিম নিয়ে তামিলনাড়ু এবং অন্ধপ্রদেশের উপর নির্ভরতার কথা বলেন ।

তিনি বলেন, "বাম আমলে রাজ্যকে এই দুই রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে হতো । ফলে এই সমস্ত রাজ্যে ডিমের দাম বাড়লে তার ফল ভুগতে হতো রাজ্যবাসীকে । এই মুহূর্তে পুরোপুরি তামিলনাড়ু বা অন্ধপ্রদেশের উপর নির্ভরতা প্রত্যাহার না করা গেলেও এ রাজ্যে ডিমের উৎপাদন বেড়েছে । খুব স্বাভাবিকভাবেই এর সুফল বাংলার মানুষ পাচ্ছেন । সবচেয়ে বড় কথা মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানের পর বহু বড় সংস্থা এ রাজ্যে এসে ডিম উৎপাদনে অংশগ্রহণ করেছে আর এর ফলে ক্রমে আত্মনির্ভরতার পথে এগোচ্ছে বাংলা ।"

প্রাণী পালন দফরের তথ্য বলছে, এখন এই রাজ্যে যে ডিম উৎপাদিত হয়, তার সিংহভাগই আসে অসংগঠিত ক্ষেত্র থেকে । বছরে 631 কোটি ডিম আসে সেখান থেকেই । প্রয়োজনের নিরিখে তা 43.82 শতাংশ । বাকিটা আসে বেসরকারি ফার্ম এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন থেকে । দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে অসংগঠিত এবং লাইভ স্টক ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন ফার্মে ডিমের উৎপাদন বাড়বে । ফলে এই ছবিটা অনেকটাই বদলে যাবে । এই সময়ের মধ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে ডিমের উৎপাদন বছরে 727 কোটিতে পৌঁছবে । সরকারি ডিমের উৎপাদনও 6.28 কোটি থেকে বেড়ে হবে 47 কোটি । সংগঠিত ক্ষেত্রেও তা প্রায় 50 লক্ষ বাড়বে । ফলে দক্ষিণ ভারতের উপর নির্ভরতা আর থাকবে না ।

কলকাতা, 23 ডিসেম্বর: এবার ডিম উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার পথে বাংলা । এখন আর রাজ্যকে ডিমের জন্য তামিলনাড়ু বা অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না । গত কয়েক বছর থেকেই রাজ্য সরকার ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির উপর জোর দিচ্ছিল (Egg Production in Bengal) । একদিকে যেমন এই শিল্পকে উৎসাহিত করে সমাজের বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কথা ভাবছিল রাজ্য সরকার, একইভাবে তাদের লক্ষ্য ছিল মাংস এবং ডিম উৎপাদনে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা কমানো (West Bengal egg production) ।

নবান্নের তথ্য বলছে, এই রাজ্যে বছরে মোট ডিমের চাহিদা 1 হাজার 440 কোটি । তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে মোট 1 হাজার 203 কোটি ডিম উৎপাদন হচ্ছে (Egg Production in Bengal is increasing) । সুতরাং প্রত্যেক বছর বাইরের রাজ্য থেকে 237 কোটি ডিম আমদানি করতে হয় । শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র জানিয়েছেন, আর মাত্র 200 কোটি ডিম উৎপাদন বাড়াতে পারলেই ডিম উৎপাদনের ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বাবলম্বী হয়ে যাবে রাজ্য ।

আরও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুতেই 82 হাজার পড়ুয়া পাবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড

অমিত মিত্র (Amit Mitra) এদিন আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই মুহূর্তে 84টি বড় সংস্থা এই ডিম উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত । ফলে আশা করা যাচ্ছে আগামী বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসবে । এদিন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ডিম নিয়ে তামিলনাড়ু এবং অন্ধপ্রদেশের উপর নির্ভরতার কথা বলেন ।

তিনি বলেন, "বাম আমলে রাজ্যকে এই দুই রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে হতো । ফলে এই সমস্ত রাজ্যে ডিমের দাম বাড়লে তার ফল ভুগতে হতো রাজ্যবাসীকে । এই মুহূর্তে পুরোপুরি তামিলনাড়ু বা অন্ধপ্রদেশের উপর নির্ভরতা প্রত্যাহার না করা গেলেও এ রাজ্যে ডিমের উৎপাদন বেড়েছে । খুব স্বাভাবিকভাবেই এর সুফল বাংলার মানুষ পাচ্ছেন । সবচেয়ে বড় কথা মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানের পর বহু বড় সংস্থা এ রাজ্যে এসে ডিম উৎপাদনে অংশগ্রহণ করেছে আর এর ফলে ক্রমে আত্মনির্ভরতার পথে এগোচ্ছে বাংলা ।"

প্রাণী পালন দফরের তথ্য বলছে, এখন এই রাজ্যে যে ডিম উৎপাদিত হয়, তার সিংহভাগই আসে অসংগঠিত ক্ষেত্র থেকে । বছরে 631 কোটি ডিম আসে সেখান থেকেই । প্রয়োজনের নিরিখে তা 43.82 শতাংশ । বাকিটা আসে বেসরকারি ফার্ম এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন থেকে । দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে অসংগঠিত এবং লাইভ স্টক ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন ফার্মে ডিমের উৎপাদন বাড়বে । ফলে এই ছবিটা অনেকটাই বদলে যাবে । এই সময়ের মধ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে ডিমের উৎপাদন বছরে 727 কোটিতে পৌঁছবে । সরকারি ডিমের উৎপাদনও 6.28 কোটি থেকে বেড়ে হবে 47 কোটি । সংগঠিত ক্ষেত্রেও তা প্রায় 50 লক্ষ বাড়বে । ফলে দক্ষিণ ভারতের উপর নির্ভরতা আর থাকবে না ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.