ETV Bharat / state

"লজ্জা লাগছে, সরকার জনসমর্থন হারাবে"; পার্শ্ব শিক্ষকদের উপর লাঠিচার্জের নিন্দায় শিক্ষাবিদরা

শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, "এটা তো একটা দুর্ভাগা দেশ । যেখানে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির জন্য বৃষ্টির মধ্যে পথে নামতে হয় । আমাদের খুব লজ্জা লাগে রাজ্য সরকার (পুলিশ) সহানুভূতিহীন হয়ে তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে ‌। এটাকে ধিক্কার জানাবার ভাষা আমার নেই ।"

শিক্ষাবিদরা
author img

By

Published : Aug 18, 2019, 6:04 PM IST

কলকাতা, 18 অগাস্ট : বহুদিন ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন পার্শ্ব শিক্ষকরা । গত শুক্রবার তাঁরা বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে বিকাশ ভবন অভিযান করেন । কিন্তু সল্টলেকে ঢোকার মুখেই আটকে দেয় পুলিশ । এরপরই পুলিশের সঙ্গে পার্শ্ব শিক্ষকদের ধস্তাধস্তি হয় । পুলিশের বাধা পেয়ে তাঁরা ফিরে যান । এরপর গতকাল নদিয়ার কল্যাণীতে জমায়েত করেন । সেখানে তাঁদের অবস্থানে লাঠিচার্জ করে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে শিক্ষা মহলে । নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরাও । পাশাপাশি আন্দোলন ও প্রতিবাদ না করতে দিলে আখেরে এই সরকার আরও জনসমর্থন হারাবে এবং BJP-কে আরও সুবিধা করে দেওয়া হবে বলে মত শিক্ষাবিদদের একাংশের ।

শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, "এটা তো একটা দুর্ভাগা দেশ । যেখানে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির জন্য বৃষ্টির মধ্যে পথে নামতে হয় । আমাদের খুব লজ্জা লাগে রাজ্য সরকার (পুলিশ) সহানুভূতিহীন হয়ে তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে ‌। এটাকে ধিক্কার জানাবার ভাষা আমার নেই ।"

আরও পড়ুন : কল্যাণীতে পার্শ্ব শিক্ষকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ

শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায় বলেন, "কয়েকদিন আগেই শিক্ষাবন্ধুরা একটা আন্দোলনে গেছিলেন । সেখানে তাঁদের বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দিতে দেওয়া হয়নি । পার্শ্ব শিক্ষকরা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে ধরে রেখেছেন । তাঁরা যে কাজটা করছেন সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কেন না কলেজ এবং স্কুলে শিক্ষকের প্রচণ্ড অভাব । আমি নিজে দুটো স্কুলের সঙ্গে যুক্ত আছি । আমি সেখানে দেখছি যে, অনেক শিক্ষকের পদ খালি আছে । কাজেই আমরা পার্শ্ব শিক্ষকদের দিয়ে কাজ চালাচ্ছি । পার্শ্ব শিক্ষকরাই কার্যত এই পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে ধরে রেখেছেন । তাঁরা গতকাল যখন তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে কল্যাণী স্টেশনে গেলেন তখন তাঁদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেওয়া হল । কোনও রকম অসভ্যতা বা হিংসার প্রকাশ তো তাঁদের মধ্যে দেখা যায়নি । এটা ছিল একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ । সেখানে তো এমন কিছু হয়নি যে তাঁরা কাউকে লাঠি মেরেছেন বা ঢিল ছুঁড়েছেন । জমায়েত লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । এটা কী হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে? আমরা কি গণতন্ত্রে বাস করছি? না স্বৈরাতন্ত্রে বাস করছি? অথবা, একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে বাস করছি । মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে সংবিধানের 19 ধারা অনুসারে । আমরা যদি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করি সেখানে পুলিশের লাঠিচার্জ করাটা একটা বিরাট ব্যাপার । এটা প্রমাণ করে যে, আমাদের বর্তমান সরকার গণতন্ত্র মানতে চাইছে না । তারা লাঠি, বন্দুকের জেরে মানুষকে শায়েস্তা করতে চাইছে । এই দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক । এতে করে তারা আরও জনসমর্থন হারাবে ।"

শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক সংহতি মঞ্চের সভাপতি তরুণকান্তি নস্কর বলেন, "পার্শ্ব শিক্ষকরা তাঁদের দাবি নিয়ে বহুদিন ধরেই আন্দোলন করছেন । বহুদিন ধরে বেতন বাড়ানো হয়নি । এই অবস্থায় বিকাশ ভবনের সামনে তাঁরা বসতে চেয়েছিলেন, পুলিশ মেরে তুলে দিয়েছে । নৈহাটি স্টেশনের সামনে থেকেও মেরে তুলে দেওয়া হয়েছে । কল্যাণীতেও একই অবস্থা । শিক্ষিকারাও রেহাই পাননি । একদিকে ওরা BJP-র অগণতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে বলবে, অন্যদিকে প্রতিবাদ, আন্দোলন কিছুই করতে দেবে না । এতে কিন্তু BJP-কেই সুবিধা করে দিচ্ছে । আমি এর তীব্র নিন্দা করছি ।"

কলকাতা, 18 অগাস্ট : বহুদিন ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন পার্শ্ব শিক্ষকরা । গত শুক্রবার তাঁরা বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে বিকাশ ভবন অভিযান করেন । কিন্তু সল্টলেকে ঢোকার মুখেই আটকে দেয় পুলিশ । এরপরই পুলিশের সঙ্গে পার্শ্ব শিক্ষকদের ধস্তাধস্তি হয় । পুলিশের বাধা পেয়ে তাঁরা ফিরে যান । এরপর গতকাল নদিয়ার কল্যাণীতে জমায়েত করেন । সেখানে তাঁদের অবস্থানে লাঠিচার্জ করে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে শিক্ষা মহলে । নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরাও । পাশাপাশি আন্দোলন ও প্রতিবাদ না করতে দিলে আখেরে এই সরকার আরও জনসমর্থন হারাবে এবং BJP-কে আরও সুবিধা করে দেওয়া হবে বলে মত শিক্ষাবিদদের একাংশের ।

শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, "এটা তো একটা দুর্ভাগা দেশ । যেখানে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির জন্য বৃষ্টির মধ্যে পথে নামতে হয় । আমাদের খুব লজ্জা লাগে রাজ্য সরকার (পুলিশ) সহানুভূতিহীন হয়ে তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে ‌। এটাকে ধিক্কার জানাবার ভাষা আমার নেই ।"

আরও পড়ুন : কল্যাণীতে পার্শ্ব শিক্ষকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ

শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায় বলেন, "কয়েকদিন আগেই শিক্ষাবন্ধুরা একটা আন্দোলনে গেছিলেন । সেখানে তাঁদের বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দিতে দেওয়া হয়নি । পার্শ্ব শিক্ষকরা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে ধরে রেখেছেন । তাঁরা যে কাজটা করছেন সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কেন না কলেজ এবং স্কুলে শিক্ষকের প্রচণ্ড অভাব । আমি নিজে দুটো স্কুলের সঙ্গে যুক্ত আছি । আমি সেখানে দেখছি যে, অনেক শিক্ষকের পদ খালি আছে । কাজেই আমরা পার্শ্ব শিক্ষকদের দিয়ে কাজ চালাচ্ছি । পার্শ্ব শিক্ষকরাই কার্যত এই পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে ধরে রেখেছেন । তাঁরা গতকাল যখন তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে কল্যাণী স্টেশনে গেলেন তখন তাঁদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেওয়া হল । কোনও রকম অসভ্যতা বা হিংসার প্রকাশ তো তাঁদের মধ্যে দেখা যায়নি । এটা ছিল একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ । সেখানে তো এমন কিছু হয়নি যে তাঁরা কাউকে লাঠি মেরেছেন বা ঢিল ছুঁড়েছেন । জমায়েত লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । এটা কী হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে? আমরা কি গণতন্ত্রে বাস করছি? না স্বৈরাতন্ত্রে বাস করছি? অথবা, একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে বাস করছি । মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে সংবিধানের 19 ধারা অনুসারে । আমরা যদি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করি সেখানে পুলিশের লাঠিচার্জ করাটা একটা বিরাট ব্যাপার । এটা প্রমাণ করে যে, আমাদের বর্তমান সরকার গণতন্ত্র মানতে চাইছে না । তারা লাঠি, বন্দুকের জেরে মানুষকে শায়েস্তা করতে চাইছে । এই দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক । এতে করে তারা আরও জনসমর্থন হারাবে ।"

শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক সংহতি মঞ্চের সভাপতি তরুণকান্তি নস্কর বলেন, "পার্শ্ব শিক্ষকরা তাঁদের দাবি নিয়ে বহুদিন ধরেই আন্দোলন করছেন । বহুদিন ধরে বেতন বাড়ানো হয়নি । এই অবস্থায় বিকাশ ভবনের সামনে তাঁরা বসতে চেয়েছিলেন, পুলিশ মেরে তুলে দিয়েছে । নৈহাটি স্টেশনের সামনে থেকেও মেরে তুলে দেওয়া হয়েছে । কল্যাণীতেও একই অবস্থা । শিক্ষিকারাও রেহাই পাননি । একদিকে ওরা BJP-র অগণতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে বলবে, অন্যদিকে প্রতিবাদ, আন্দোলন কিছুই করতে দেবে না । এতে কিন্তু BJP-কেই সুবিধা করে দিচ্ছে । আমি এর তীব্র নিন্দা করছি ।"

Intro:
কলকাতা, ১৮ অগাস্ট: বহুদিন ধরেই বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন পার্শ্ব শিক্ষকরা। গত শুক্রবার তাঁরা বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে বিকাশ ভবন অভিযান করেন। কিন্তু সল্টলেকে ঢোকার মুখেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের সঙ্গে পার্শ্ব শিক্ষকদের। সল্টলেক থেকে সেদিন চলে গেলেও দাবি নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে শনিবার নদীয়ার কল্যাণীতে জমায়েত করলে পুলিশ তাঁদের রাতের অন্ধকারে আলো নিভিয়ে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে শিক্ষা মহলে। নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরাও। পাশাপাশি, আন্দোলন, প্রতিবাদ না করতে দিলে আখেরে এই সরকার আরও জনসমর্থন হারাবেন ও বিজেপির সুবিধা করে দেবেন বলে মত শিক্ষাবিদদের একাংশের।
Body:এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, "এটা তো একটা দুর্ভাগা দেশ। যেখানে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির জন্য পথে নামতে হয় এবং বৃষ্টির মধ্যে। আমাদের খুব লজ্জা লাগে রাজ্য সহানুভূতিহীন হয়ে তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে‌। এটাকে ধিক্কার জানাবার ভাষা আমার নেই।"

শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায় বলেন, "কয়েকদিন আগেই শিক্ষাবন্ধুরা একটা আন্দোলনে গেছিলেন। সেখানে তাঁদের হটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিকাশ ভবনে তাঁদের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দিতে দেওয়া হয়নি। গতকাল যেটা ঘটেছে, পার্শ্ব শিক্ষকরা পুরো পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে ধরে রেখেছে। তাঁরা যে কাজটা করছেন সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কলেজ এবং স্কুলে শিক্ষকের প্রচণ্ড অভাব। আমীন নিজে দুটো স্কুলের সঙ্গে যুক্ত আছি। আমি সেখানে দেখছি যে, অনেক শিক্ষকের পদ খালি আছে। কাজেই আমরা পার্শ্ব শিক্ষকদের দিয়ে কাজ চালাচ্ছি। কাজেই পার্শ্ব শিক্ষকরাই কার্যত এই পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে ধরে রেখেছেন। তাঁরা কালকে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে যখন কল্যানী স্টেশনে গেলেন তখন তাঁদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেওয়া হল। কোনও রকম অসভ্যতা বা হিংসার প্রকাশ তো তাঁদের মধ্যে দেখা যায়নি। এটা ছিল একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। সেখানে তো এমন কিছু হয়নি যে তাঁরা কাউকে লাঠি মেরেছে, ঢিল ছুঁড়েছে। তাঁরা নিত্যান্ত নিরিহ পার্শ্ব শিক্ষক। তাঁদের জমায়েত লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কী হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে? আমরা কি গণতন্ত্রে বাস করছি? না স্বৈরাতন্ত্রে বাস করছি? অথবা, একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে বাস করছি। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে সংবিধানের ১৯ ধারা অনুসারে। অতএব, আমরা যদি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করি সেখানে পুলিশের লাঠিচার্জ করাটা একটা বিরাট ব্যাপার। এটা প্রমাণ করে যে, আমাদের বর্তমান সরকার গণতান্ত্র মানতে চাইছেন না। তাঁরা লাঠি, বন্দুকের জেরে মানুষকে সায়েস্তা করতে চাইছে। এই যে দৃষ্টিভঙ্গি এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এতে করে তাঁরা আরও জনসমর্থন হারাবে।"

শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক সংহতি মঞ্চের সভাপতি তরুণ কান্তি নস্কর বলেন, "প্রথমত, পার্শ্ব শিক্ষকরা তাঁদের দাবি নিয়ে বহুদিন ধরেই আন্দোলন করছেন। তাঁদের বহুদিন ধরে বেতন বাড়ানো হয়নি। এই অবস্থায় তাঁরা বিকাশ ভবনের সামনে বসতে চেয়েছিলেন, তাঁদের মেরে তুলে দিয়েছে। তারপরে নৈহাটি স্টেশনে গেছে, সেখান থেকে মেরে তুলে দিয়েছে। তারপরে কল্যাণীতে গেছে, সেখান থেকে মেরে তুলে দিয়েছে। শিক্ষিকাদেরও রেহাই দেয়নি। একদিকে তাঁরা বিজেপির অগণতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে বলবে, অন্যদিকে তাঁরা প্রতিবাদ, আন্দোলন কিছুই করতে দেবে না। এতে কিন্তু তাঁরা বিজেপিরই সুবিধা করে দিচ্ছে। আমি এটার তীব্র নিন্দা করছি।"
Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.