কলকাতা, 23 এপ্রিল: দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক প্রোফাইলে একাধিক পোস্ট করেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। হাজারের উপর চাকরিপ্রার্থী শিক্ষামন্ত্রীর ফেসবুকে কয়েকদিন ধরে দ্রুত নিয়োগের আবেদন জানাচ্ছেন । এমনকী দ্রুত ভাতা চালুর দাবি জানাচ্ছিলেন অতিথি অধ্যাপকরাও। শিক্ষামন্ত্রীর ফেসবুক প্রোফাইলকে হাতিয়ার করে এভাবে চাকরি ও বিভিন্ন দাবি জানানোর পদ্ধতি নজিরবিহীন । আজ সেই সব দাবির উত্তর ফেসবুকেই দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, বর্তমানে রাজ্যে কোরোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে যে সংকট চলছে তা কেটে গেলেই এই বিষয়গুলি নিয়ে সমাধানসূত্র বের করা হবে।
কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য জমায়েত না করতে বলা হয়েছে । কিন্তু, তার জন্য শিক্ষক নিয়োগের আন্দোলন থমকে যায়নি। বরং, আন্দোলনের চরিত্র বদল করে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আবার সরব হয়েছেন রাজ্যের আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, লকডাউন উঠলেই আইনি জট কাটিয়ে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। শুধু আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা নয়। একই পদ্ধতিতে রাজ্যের অতিথি অধ্যাপকরাও ভাতা চালুর দাবি জানিয়েছেন। ।
আজ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী ও অতিথি অধ্যাপকদের দাবির জবাব দিলেন। তিনি লিখেছেন, "আপনারা অনেকেই আমাকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে করা পোস্টগুলিতে অন্য বিষয়গুলো নিয়েও মতামত দিচ্ছেন। আপার প্রাইমারি নিয়ে জানাই, বিষয়টি বিচারাধীন। সমাধানসূত্র থাকলেও এই মুহূর্তে তা করা সম্ভব হচ্ছে না। অতিথি শিক্ষকদের বিষয়ে বলি, ভেরিফিকেশন অনেক দূর এগোনোর পর বর্তমান সময়ে আটকে পড়েছে। যদিও কলেজগুলি যাদের নিয়োগ করেছিল তাঁদেরকে সেইভাবেই ভাতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কারণ, ওই সকল অতিথি শিক্ষকদের নিয়োগের ওই সময়কালে সরকারের অনুমোদন ছিল না। সংকট কেটে গেলেই এই বিষয়ে সমাধানসূত্র বের হবে। সবাই সুস্থ থাকুন, ঘরে থাকুন।"
শিক্ষামন্ত্রীর জবাব দেওয়া সেই পোস্টেও ইতিমধ্যেই 1 হাজারের বেশি মন্তব্য পড়েছে। সেখানেও তাঁদের দাবির কথা বলেছেন আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থী ও অতিথি অধ্যাপকরা। অতিথি অধ্যাপকরা লিখেছেন," আমরা অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছি। বিকাশ ভবনও খুলে গেছে। এবারে অনলাইনে অনুমোদন দিয়ে আমাদের নুন-ভাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।" আবার কেউ লিখেছেন,"দুর্দিনেও অভুক্ত অবস্থাতেই অতিথি অধ্যাপকরা অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন । তাঁরা নিজেদের কর্তব্যে অবিচল। আমাদের নুন-ভাতের সুরক্ষার আবেদন জানাই। " আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা লিখেছেন,"'সমাধানসূত্র থাকলেও', মানে আপনারা চাইলেই আপার প্রাইমারির নিয়োগ করতে পারেন। স্যার নিয়োগটা করুন। আমরা বাঁচতে চাই। আমাদের বাঁচান। দয়া করে আমাদের নিয়োগ সম্পূর্ণ করুন। " এভাবেই শিক্ষামন্ত্রীর প্রোফাইলে আবেদন, নিবেদন, দাবি জানিয়ে চলেছেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী ও অতিথি অধ্যাপকরা।