কলকাতা, 13 অগাস্ট : জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আবারও তোপ দাগলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । জাতীয় শিক্ষানীতিতে ধ্রুপদী ভাষায় বাংলা স্থান পায়নি।এই বিষয়েই আজ জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি ।
এদিন শিক্ষা নিয়ে একটি ওয়েবিনারে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বাংলাকে বাতিল করার স্পর্ধা দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । কারণ কাজি নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যজিৎ রায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান ওরা জানে না । শিক্ষাতে যুগ্ম তালিকায় রয়েছে সেটা অস্বীকার করেছে ওরা এবং আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি । ওরা সংসদকেও বাইপাস করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় জাতীয় শিক্ষানীতি পাশ করিয়েছে ।"
জাতীয় শিক্ষানীতি প্রকাশের পরপরই শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত করতে গেলে যে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন তার ব্যয়ভার কে বহন করবে? আজ আবারও সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি । ইতিমধ্যেই জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর । সেই কমিটিতে সাংসদ ও শিক্ষাবিদ সৌগত রায়, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি, পবিত্র সরকার, অভীক মজুমদার, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাশ রয়েছেন ।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে তৈরি কমিটি 15 অগাস্টের মধ্যে তাঁদের মূল্যবান মতামত জানাবেন । তারপরে আমরা তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে জমা দেব এবং আমাদের স্ট্যান্ডপয়েন্ট জানানো হবে ।" কমিটি গঠনের পাশাপাশি শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গণসংগঠনের কাছ থেকেও মতামত চাওয়া হয়েছে শিক্ষানীতি নিয়ে । শুধু শিক্ষক সংগঠন নয়, শিক্ষার সঙ্গে কাজ করা গণসংগঠন ও শিক্ষাবিদদেরও জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে মতামত জানাতে পারেন বলে জানানো হয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে ।